Bajaj Pulsar NS 160 ইউজার রিভিউ (লিখেছেন অমর্ত্য রায়)

সবাইকে সালাম এবং নমস্কার,আমি অমর্ত্য রায় বিকাশ।আমি একজন শখের মটো-ট্রাভেলার।রাংগামাটি জেলায় আমার বসবাস।
আমার বাইকের মডেল বাজাজ পালসার এন এস ১৬০।
মুলত ১৬০-১৬৫ সিসি নেকেড সেগমেন্টে এই বাইকটি আমার কেনার কারণ হলো ট্রাভেলিং এর জন্য।
এর লুকস এবং পারফর্মেন্স ঈয়ং জেনারেশনের অধিকাংশ যুবকদের আকর্ষণ করে।
আমি এই বাইকে আমার ১০০০০ কিলোমিটার এর অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।
শুরুতে আশা যাক এর পারফরমেন্স এর দিক।এন এস হচ্ছে ১৬০সিসি সিংগেল সিলিন্ডার ৪ সট্রোক ওয়েল কুল্ড ইঞ্জিন।যা ১৫.৩ বিএইচপি
৮৫০০আরপিএম এ এবং
১৪.৬ এনএম টরক ৬৫০০ আরপিএম এ উৎপন্ন করে।
যার ফলে খুব দ্রুত গতি তুলতে পারবেন প্রয়োজন অনুযায়ী।


এর ফ্রন্ট টায়ার ৮০/১০০/১৭
এবং রেয়ার টায়ার ১২০/৮০/১৭( উভয় টিউবলেস) এই সেগমেন্টে এই বাইকের চাকা তুলনামূলক অনেক চিকন। কিন্তু চিকন চাকা হওয়া সত্ত্বেও পিছনের চাকা আপনাকে ভালো স্টেবিলিটি দিবে। কিন্তু সামনের স্টক ট্যায়ার ৯০/৯০/১৭ হলে ভালো হতো। এর ফ্রন্ট ব্রেকে রয়েছে ২৪০এমএম ডিস্ক ব্রেক, এবং রেয়্যারে রয়েছে ১৩০এমএম ড্রাম ব্রেক। যা এই সেগমেন্টে কম হলেও রোডে মোটামুটি ভালো পারফরম্যান্স দেয়। এর ওজন ১৪২ কেজি হওয়ার কারনে হাইওয়ে উচ্চ গতিতে বাইক স্টেবল থাকে। এর থ্রি পার্ট হ্যান্ডেলবার এবং সিট হাইট উচ্চ হওয়ার কারনে কম্ফোর্ট ভাবে রাইড করা যায়। কিন্তু যাদের উচ্চতা ৫ ফুট ৬ এর কম বাইকের উচ্চতার কারনে রাইড করতে সমস্যা হতে পারে।
এবার আসি মাইলেজে, আমি সাধারনত হিল এরিয়ায় রাইড বেশি করে থাকি। এতে আমি হিলে মাইলেজ পেয়েছি ৩৫-৩৮ এবং হাইওয়েতে পেয়েছি ৪০-৪২। আমার মতে এয়ার ফিল্টার এবং টায়ার প্রেসার মেইনটেইন করে চল্লে ভালো মাইলেজ পাওয়া যাবে।


সাধারণত বাজাজের সকল বাইকের বিল্ড কোয়ালিটি ভালো হয়ে থাকে, এই বাইকটিও ব্যাতিক্রম নয়। সর্বদিক মিলিয়ে ম্যোটো ট্রাভেলিং এ আমি সন্তুষ্ট। কিন্তু এর কিছু খারাপ এবং ভালো দিক প্রকাশ করছি। 


খারাপ দিক:


১। তুলনামূলক চাকা চিকন।
২। ব্রেকিং ভালো কিন্তু এই সেগমেন্টে সেরা নয়।
৩। লো স্পিড কর্নারিং এ সমস্যা হয়।
৪। আন্ডারব্যেলি এক্সস্ট এর কারনে বাইকের সাউন্ড ভালো আসেনা।
৫। ইঞ্জিন ওয়েল তুলনামূলক অনেক বেশি লাগে। নর্মালি ১৩০০ এমএল, এবং ওয়েল ফিল্টার চেঞ্জ করলে ১৩৫০এমএল, যা খুবি বেশি অসস্থিকর।


ভালো দিক:


১। এর হেডলাইটের পাওয়ার এই সেগমেন্টে ভালো।
২। ১৫.৩ বিএইচপি হওয়ার কারনে ০-১০০ খুব দ্রুত উঠানো যায়।
৩। বাইকটি নরমাল রাইড এবং অফরোড রাইডে অনেক কম্ফোর্টেবল।
৪|হাই স্পিড করনারিং ভালভাবে করা যায়।
৫।এর লুকস অনেক আকর্ষণিয়।
৬। আন্ডারবেলি এক্সস্টের কারনে বাইক অনেক স্টেবল থাকে।
৭।বাইক এর বিল্ড ক্যোয়ালিটি ভালো। 


পরিশেষে আমি এই বাইক নিয়ে সন্তুষ্ট।
সবাই হেলমেট পরিধান করে বাইক চালাবেন এবং গতি নিয়ন্ত্রণ করে বাইক রাইড করবেন।
হ্যাপি বাইকিং। 

লিখেছেনঃ Amartya Ray