Race Fiero 150fr-এর ব্যবহারকারী তানভীর ফেরদৌস লিখেছেন বাইকটির ভাল-মন্দ রিভিউ

Race Fiero 150fr মূলত এটি একটি চায়নিজ বাইক। কিন্তুু চায়নিজ হলেও বাইকটি তৈরী করেছে চীনের নামকরা কোম্পানি CFMOTO। এর আগেও এই বাইকটি কিছু সংখ্যক বাংলাদেশে আমদানি হয়েছিল CF Moto 150NK নামে আর দাম বেশ খানিকটা বেশি ছিল।

রেস গ্লোবাল লিমিটেড হচ্ছে র‌্যাংস গ্রুপের একটি অঙ্গসংস্থান। যারা কিনা চীন এবং কোরিয়া থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের মোটরসাইকেল বাংলাদেশে আমদানি করছে। Race Fiero 150fr রেস গ্লোবাল লিমিটেডের সব থেকে হট ট্রেন্ড বাইক বলা যেতে পারে।

বাইকটি কেনার আগে, অনেকেই আমাকে বলেছে যে এত টাকা দিয়ে চাইনিজ বাইক কেনো কিনছেন ? চায়না বেশিদিন যায় না ! কিন্তুু আমার মনে হয় বাইকের যত্ন নিলে যেকোনো বাইক ভালো সার্ভিস দিবে আর যত্ন না করলে দামী বাইক ও খটখটি হয়ে যাবে।

চায়না বাইক কিনার আগে সবার একটাই প্রশ্ন থাকে যে এই বাইকটার পার্টস বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে কিনা ? এই বাইকটি এখনও ওতো জনপ্রিয় হয়নি যে এই বাইকের সকল পার্টস বাহিরের যেকোনো দোকানে পাওয়া যাবে তবে এই বাইকটির সকল পার্স তাদের নিজেস্ব শোরুম এ পাওয়া যায়। তবে পার্সের মূল্য তুলোনামূলক একটু বেশি।

বাইক কিনার আগে সবার একটাই ইচ্ছা থাকে যে তার বাইকটা দেখতে যেনো সুন্দর হয়। এই বাইকের সৌন্দর্য নিয়ে কিছু বলতে চাই না কারণ বাইকটা যে কতটা সুন্দর সেটা আপনারা সবাই জানেন। এর ডিজাইনার কোম্পানি হলো KTM কোম্পানির ডিজাইনরা যার নাম KYSKA.

Race Fiero 150fr

আজকে আমি আপনাদেরকে বলবো এই বাইকটির ভালোদিক, খারাপ দিক, মাইলেজ, স্পিড এই সব নিয়ে।

প্রথমত: এই বাইকটির এক্সিলারেশন অতটা বেশি না, আবার কমও না, মাঝামাঝি বলতে হবে। তাই স্পিড একটু ধীর গতিতে উঠে অন্যান্য স্পোর্টস বাইকের তুলনায়।

দ্বিতীয়ত: এর মধ্যে রয়েছে ECO MODE এবং SPORTS MODE। ECO MODE এ বাইকটি মাইলেজ দেয় ৩৮-৪০ কি.মি। আর SPORTS MODE এ বাইকটি মাইলেজ দেয় ৩৩-৩৫কি.মি। SPORTS MODE বাইকটিকে তাড়াতাড়ি স্পিড বাড়াতে ব্যবহার করা হয়।

Race Fiero 150fr meter

তৃতীয়ত: বাইকটিতে রয়েছে ওয়াটার কুলিং সিস্টেম আর একটি রেডিয়েটর ফ্যান যা বাইকের ইন্জিন গরম হলে অটোম্যাটিক চালু হয়ে যায় আর ঠান্ডা হলে অটোম্যাটিক বন্ধ হয়ে যায়।

চতুর্থ: এতে রয়েছে একটি সেন্সর যা বাইকটিতে স্টান্ড নামানো থাকলে গিয়ার দিলে অটোম্যাটিক স্টার্ট বন্ধ হয়ে যাবে।

পঞ্চম: এই বাইকটিতে রয়েছে ডাবোল হাইডোরোলিক ব্রেক। যা বাইকটিকে তাড়াতাড়ি স্পিড কমাতে সাহায্য করে। ডিস্ক এবং ব্রেক প্যাড দু’টোরই কোয়ালিটি অনেক ভালো।

Race Fiero 150 brake

ষষ্ঠ: এই বাইকটিতে ডাবোল স্টান্ড নেই। এইটা একটা সমস্যা।

সপ্তম: এই বাইকটিতে সবসময় ভালো তেল দিতে হবে, খারাপ তেল দিলে এর স্টার্ট নিতে সমস্যায় পড়তে হবে।

অষ্টম: বাইকটির পাকিং লাইট আর হেডলাইট সবসময় জ্বলে থাকে।

নবম: এর আরপিএম লক করা থাকার কারণে আমি টপস্পিড পেয়েছিলাম ১১৩ কিঃমিঃ/ঘন্টা আরও উঠতো। আশা করা যায় ৫,০০০কিমি পর আরপিএম লক খুলে দিলে ১২৫/১৩০ পর্যন্ত স্পিড তোলা সম্ভব।

দশম: এর ফুয়েল ট্যাংক ১০ লিটার তেল ধারণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ।

এগারো: এর বসার সিটগুলো অনেক শক্ত তাই বেশিক্ষণ একটানা বসে থাকলে ব্যথা হয়ে যায়।

বারো: এই বাইকের সার্ভিসিং বাহিরের কোনো মেকারের কাছ থেকে না করিয়ে সার্ভিস সেন্টারের লোকদের কাছে করানো সবচেয়ে ভালো।

Race Fiero 150fr user review

এটাই ছিলো আমার নিজস্ব মন্তব্য। কোনো কিছু ভুল লিখে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।আর সর্বশেষ কথা হচ্ছে বাইকটি আসলে ভালো, আপনারা কিনে পচতাবেন না।

লিখেছেনঃ তানভীর ফেরদৌস

Related Posts

error: Content is protected !!