১০০ সিসির মার্কিন বাইক আনলো রানার

দেশীয় মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের বহরে এবার যোগ হলো মার্কিন বাইক ইউএম। এখন থেকে ইউএম এর কয়েকটি মডেলের বাইক দেশে বিক্রি ও বাজারজাত করবে প্রতিষ্ঠানটি।

রানার শুরুতে চীনের ডায়াংয়ের সঙ্গে একজোট হয়ে দেশের বাজারে ডায়াং-রানার মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড চালু করে। এসব মোটরসাইকেল উৎপাদনের জন্য ভালুকায় সংযোজন কারখানাও স্থাপন করা হয়। এই সিরিজের বাইকগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ডায়াংয়ের পর রানারের সঙ্গে যুক্ত হয় ফ্রিডম। এখন রানার ডায়াং এবং ফ্রিডমের অটোমোবাইল টেকনোলজি শিখে নিয়ে নিজেরাই রানার ব্র্যান্ডের বাইক বিক্রি করছে। এসব বাইক বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।

সম্পতি রানার মার্কিন টু হুইলার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড মটরস (ইউএম) এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। ইউএম এর নিত্যনতুন মডেলের বাইক বাংলাদেশে আসছে। যদিও রানার অনেক দিন আগে থেকেই ইউএম এর রেনেগেড কমান্ডো বাইক বিক্রি করছে। জিপসি ঘরানার এই বাইকগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বেশ কয়েকটি মডেলের ইউএম-এর কমিউটার বাইক বাজারে আসছে।

ইতোমধ্যে রানারের মালিবাগ ও শ্যামল বিক্রয় কেন্দ্রে ইউএম-এর কয়েকটি বাইক প্রদর্শন করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটির দেখা মিললো মালিবাগে। এটি ১০০ সিসির বাইক। মডেল নিট্রক্স ১০০।

রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের মালিবাগ বিক্রয়কেন্দ্রের এক্সিকিউটিভ (সেলস) মো. ইসমাইল হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, এর আগে বিশ্বখ্যাত ইউএম-এর জিপসি বাইক রেনেগেড বিক্রি করেছে রানার। এবার এলো এই কোম্পানির কমিউটার বাইক। ঢাকার কয়েকটি শোরুমে ইউএম-এর বাইক প্রদর্শন করা হচ্ছে।

মো. ইসমাইল হোসেন জানান, নিট্রক্স ১০০ ইউএম এর জনপ্রিয় একটি সেগমেন্ট। প্রতিবেশি দেশ ভারতসহ অনেক দেশেই বাইকটি দেদারসে বিক্রি হচ্ছে।

মো. ইসমাইল হোসেন আরো জানান, ইউএম নিট্রক্স ১০০ মডেলের বাইকটির দাম এখনো নির্ধারণ করেনি রানার। তবে এর দাম দেড় লাখ টাকার মধ্যে থাকবে।

প্রথম দেখায় যে কারো বাইকটি পছন্দ হবে। আকর্ষণীয় স্পোটি লুক রয়েছে। বেশ শক্তপোক্ত। ডায়মন্ড ফ্রেমে এর চেসিস ডিজাইন করা হয়েছে। আরোহীর ভ্রমণকে আরো উপভোগ্য ও নিরাপদ করার জন্য এর রয়েছে প্রশ্বস্ত পাদানি। যেটা উভয় পাশেই চেসিসের সঙ্গে সংযুক্ত করা রয়েছে।

গ্রাফিক্স ফুয়েল ট্যাঙ্কে কমলা রঙের প্রলেপ। এই রঙের আধিক্য রয়েছে সাইট গার্ড এবং অ্যালয় রিমেও। হেডলাইট বেশ অ্যাগ্রেসিভ। হাতলটা সাধারণ মানের। তবে এই হাতলের থ্রটলে হাত রেখে সিটে মেরুদন্ড সোজ করে বসা যাবে। ফলে ব্যাকপেইন হওয়ার আশঙ্কা নেই। লম্বা সিটের শেষ প্রান্তে রয়েছে কেরিয়ার। যেটা গ্রাব রেইল হিসেবেও কাজ করবে।

সেলফ স্টার্টার সমৃদ্ধ নিট্রক্স ১০০ তে ক্লাসিক লুকের সঙ্গে স্পোটি লুকের মিশেল রয়েছে। এর স্পিডোমিটার অ্যানালক। তবে বাইকটিতে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার না করে ডিস্ক ব্রেক সংযোজন করলে ভালো হতো। ১০০ সিসির এই শক্তিশালী ইঞ্জিনের বাইকটি দ্রুত থামানোর জন্য ড্রাম ব্রেক যথেষ্ট নয়।

ঝাঁকুনি থেকে আরোহীকে সুরক্ষিত রাখতে সামনে আছে টেলিস্কোপিক ফর্ক। পেছনে কয়েল টাইপ শক অ্যাবসর্ভার।

কিক স্টার্টের পাশাপাশি বাইকটি পাওয়ার স্টার্টার রয়েছে।

ইউএম এর সকল বাইকেই একটা শক্তপোক্ত ম্যাসকুলার ভাব রয়েছে। এই বাইকটিও তাই। এর ইঞ্জিন দেখলে মনেই হবে না এটি ১০০ সিসির ইঞ্জিন। ১৫০ সিসির ইঞ্জিনের চেয়েও এই বাইকটির ইঞ্জিন বড় ও শক্তিশালী বলে মনে হবে।

এই বাইকটি এখন কেবলমাত্র প্রদর্শনের জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। শিগগিরই এগুলো বিক্রি করা হবে। বেশ কয়েকটি মডেলের ইউএম বাইক বিক্রি ও বাজারজাত করবে রানার। এসব বাইক কিস্তিতেও কেনার সুযোগ রয়েছে।

 

সূত্রঃ ঢাকাটাইমস২৪