বাইক নিয়ে নিঝুম দ্বীপ ভ্রমন (বনে রাত্রীযাপন)

আমরা সাধারণত ট্যুরের জন্য কমন জায়গাগুলো বেশি বেছে নেই। কিন্তু চেষ্টা করবেন নতুন নতুন স্পট এক্সপ্লোর করার জন্য। কিছুদিন আগে ঘুরে এলাম নোয়াখালি জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত নিঝুম দ্বীপে, যার একদিকে বঙ্গোপসাগর, একদিকে নদী আর চর জুড়ে বিশাল ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট যেখানে দেখা মিলবে হরিণের পাল।

ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপ দু’টি পথে যাওয়া যায়। সড়ক পথে ঢাকা থেকে মাইজদী-নোয়াখালী হয়ে চেয়ারম্যানঘাট যেখানে সী-ট্রাক, ট্রলার এবং স্পীড-বোট পাবেন। সী-ট্রাক মূলত ছোট আকারের লঞ্চ। সী-ট্রাকে জনপ্রতি ৯৫ টাকা, ট্রলারে ১৫০ টাকা এবং বাইকের ১৫০ টাকা নিয়ে থাকে। তবে বাইক উঠা এবং নামানোর জন্য ঘাটে প্রতিবার ২০০ টাকা করে দিতে হবে লেবার চার্জ। এবং ঘাটের ফী জনপ্রতি ৫ টাকা। আর এই রুটে স্পীড-বোটের ভাড়া জনপ্রতি ৪০০ টাকা।

চেয়ারম্যানঘাট থেকে সী-ট্রাক কিংবা ট্রলারে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘন্টা এবং স্পীড-বোটে সময় লাগে ২০-২৫ মিনিট। হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে নেমে বাই রোডে যেতে হবে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। হাতিয়ার মোক্তারিয়া ঘাট থেকে ট্রলারে ১০ মিনিটে পৌঁছে যাবেন নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে। যেখানে জনপ্রতি ট্রলার ভাড়া ৩০ টাকা এবং বাইকের জন্য ১৩০ টাকা (ওঠা-নামা লেবার চার্জ সহ)।

আপনারা চাইলে লঞ্চ যোগে ঢাকা থেকে সরাসরি যেতে পারেন হাতিয়া। হাতিয়া তমরুদ্দী ঘাট থেকে মোক্তারিয়া ঘাটের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিঃমিঃ। মোক্তারিয়া ঘাট থেকে ট্রলারে চলে যাবেন নিঝুম দ্বীপে। ঢাকা থেকে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫ টা এবং ৬ টায় ফারহান ৩ এবং তাসরিফ ২ নামে ২টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। হাতিয়া গিয়ে পৌঁছে ভোর ৬ টা থেকে সকাল ১০ টা নাগাদ।

আমরা যাওয়ার সময় লঞ্চ এবং আসার সময় সড়ক পথ ব্যবহার করেছিলাম। লঞ্চে ডেকের ভাড়া জনপ্রতি ৩০০ টাকা এবং প্রতি বাইকের জন্য ৩০০ টাকা করে দিতে হবে। এই লঞ্চে অনেকগুলো কেবিন রয়েছে। সিংগেল কেবিনের ভাড়া ১০০০ টাকা এবং ডাবলের ভাড়া ১৮০০ টাকা। লঞ্চে বাইক ওঠা এবং নামানোর জন্য প্রতিবার গুনতে হতে ২০০ টাকা করে লেবার চার্জ।

আমাদের লঞ্চ জার্নির অভিজ্ঞতা বেশ ভাল ছিল। রাতে লঞ্চের ক্যান্টিনে সেরে নিতে পারেন রাতের খাবার। লঞ্চে খাবারের দাম একটু বেশি আর মানের দিকে থেকে মোটামুটি। এই লঞ্চে নামাজ এবং অযু করার জন্যও নির্ধারিত স্থান রয়েছে।

লঞ্চগুলো সদরঘাট থেকে ছেড়ে মুন্সিগঞ্জের কালিগঞ্জ, ভোলার ইলিশা বিশ্বরোড, দৌলত খাঁ, তজুমুদ্দিন, মনপুরা হয়ে হাতিয়ায় পৌঁছায়। এই সময়ে লঞ্চ গুলো প্রায় ২৩৩ কি.মি. নৌ পথ অতিক্রম করে।

যদিও আমরা কেবিন ভাড়া করেছিলাম কিন্তু গল্প, আড্ডা আর যাত্রা উপভোগ করতে করতেই সারা রাত কাটিয়ে দিয়েছিলাম।

রাতভর কূল-কিনারাহীন নদীর মাঝে ছুটে চলা এই বিশালাকার লঞ্চে কিছুক্ষণ পর পর চায়ে চুমুক দিতে আমরা ভূলিনি।

ভোর ৫ টায় আমরা পৌঁছে যাই হাতিয়ার একদম কাছে। কিন্তু ভাটার কারণ চরে আটকা পরে পড়ে আমাদের লঞ্চ তাসরিফ ২। জোয়ারের অপেক্ষা না করে আমরা বাইকসহ উঠে পরি ট্রলারে এবং পৌঁছে যাই হাতিয়াতে। সকালের নাস্তা সেরে রওনা দেই মোক্তারিয়া ঘাটের উদ্দ্যেশে। একটা কথা বলে রাখি, এখানে যারা বাইক নিয়ে প্রথমবার আসবেন তাদের গুগল ম্যাপ ফলো না করাই ভাল। রবং স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করে চলে যাবেন গন্তব্যের দিকে। রাস্তার অবস্থা খুবই বেগতিক। স্পোর্টস বাইক নিয়ে এই রাস্তায় রাইডের অভিজ্ঞতা খুব একটা আনন্দের ছিল না। ঠিক এই জায়গায় একটা অফ-রোড বাইকের অভাব অনুভব করছিলাম। যেহেতু আমরা ভ্রমণ পিপাসু আর বাইক নিয়ে শ’শ কিলোমিটার পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে, সুতরাং এই ৪০-৪৫ কিলোমিটার যাত্রা একটুও বোরিং মনে হয়নি।

হাতিয়ার মোক্তারিয়াঘাট থেকে ট্রলারে নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে পৌঁছাতে আমাদের সময় লাগল মাত্র ১০-১৫ মিনিট। ঘাটে নেমে আমরা চললাম নামা বাজারের দিকে।

আসুন আরো একটু গভীরভাবে জেনে নেই এই নিঝুম দ্বীপ সম্পর্কে। নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। এটি নোয়াখালী জেলার  হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৩ সালে দ্বীপটি জাহাজমারা ইউনিয়ন হতে পৃথক হয়ে স্বতন্ত্র ইউনিয়নের মর্যাদা লাভ করে। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান, আবার কেউ কেউ একে ইছামতীর চরও বলত। এ চরে প্রচুর ইছা মাছ পাওয়া যেত বলে একে ইছামতির চরও বলা হত। ইছা মাছ মূলত চিংড়ীর স্হানীয় নাম।

বাংলাদেশের বনবিভাগ ৭০-এর দশকে বন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চার জোড়া  হরিণ  ছাড়ে। নিঝুম দ্বীপ এখন হরিণের অভয়ারণ্য। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের হরিণশুমারি অনুযায়ী হরিণের সংখ্যা ২২,০০০। নোনা পানিতে বেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ কেওড়া গাছের অভয়ারণ্য। ম্যানগ্রোভ বনের  মধ্যে  সুন্দরবনের পরে নিঝুম দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বলে অনেকে দাবী করেন।

নিঝুম দ্বীপের এক দিকে মেঘনা নদী আর তিন দিকে বঙ্গোপসাগর ঘিরে রেখেছে। নিঝুমদ্বীপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো মাইলের পর মাইল জুড়ে কেওড়া বন আর সেই বনের পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা চিত্রা হরিণ।

বন বিভাগের আয়তাধীন টেন্ট অর্থ্যাত তাবু বুকিং করেছিলাম আমরা। এখানে মাঝারি মানের বেশ কিছু হোটেল কিংবা রিসোর্টও রয়েছে। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম প্রকৃতির আরো একটু কাছাকাছি থাকতে। টেন্টের ভাড়া ৬০০ টাকা এবং একটিতে ২ জন করে থাকা যায়। যারা নিঝুম দ্বীপে এসে টেন্টে রাত্রিযাপন করতে চান, তারা এই নাম্বারগুলোতে (০১৮১০২৯৮৪২৮, ০১৭০০৫৪১৩০৩ – সোহেল, ০১৮৩৭৪১১২১৪ – মাসুদ) যোগাযোগ করে টেন্ট বুক করতে পারবেন।

টেন্টের পর্যটকদের জন্য আলাদা টয়লেট রয়েছে। গোসল মূলত সবাই পুকুরে করে থাকে, তবে নারীদের জন্য সিকিউর ব্যবস্থ্যা রয়েছে।

পুকুরে গোসল সেরে নামা বাজারে গিয়ে সেরে নিলাম দুপুরের খাবার। তাবুতে খানিকটা বিশ্রাম নিতে নিতে ঘুমিয়া পড়েছিলাম ঘন্টাখানেক পর ঘুম ভাংতেই টেন্টের ফাঁক দিয়ে দেখতে পেলাম একটি হরিণ। এ যেন মেঘ না চাইতেই জল। সেলফি না তুলতে পারলেও হরিণের ছবি তুললে মিস করিনি আমরা কেউ। জানতে পারলাম এগুলো পালিত হরিণ। কিন্তু আমরা তো এসেছি বনের হরিণ দেখতে! প্ল্যান করলাম, আগামীকাল ভোরে যাব চোয়াখালি ফরেস্টে চাক্ষুস বন্য হরিণ দেখতে।

যাই হোক, বিকেলে বেড়িয়ে পড়লাম নামা বাজার সী-বিচ দেখতে।

বিচের পাশে খেজুর গাছ অথবা বন, আর এটাই হচ্ছে নিঝুম দ্বীপে বিশেষত্ব। নামা বাজার বীচে আগে আরো অনেক খেজুর ছিল কিন্তু দিনকে দিন বন্যা আর জোয়ার ভাটার কবলে পড়ে গাছ একেবারে কমে যাচ্ছে। পুরো নিঝুম দ্বীপেই অনেক খেঁজুরের গাছ দেখবেন, তাই যারা শীতকালে আসবেন তারা খেঁজুরের রস মিস করবেন না।

বীচের পাশে বাইক রাইড, মোবাইল ফোনে সেলফি আর আড্ডা দিতে দিতে সূর্য মামা অস্ত চলে গেল। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দু’টোই বেশ চমৎকার উপভোগ করতে পারবেন নিঝুম দ্বীপে আসলে। তবে বীচের পাশে শুয়ে বসে অলস সময় কাটানোর জন্য বেঞ্চ নেই এখানে।

রাতে নামা বাজারে খাওয়া সেরে নিলাম আমরা। বেশ কিছু মাঝারি মানের খাবার হোটেল পাবেন এখানে। খাবারের দাম খুব বেশি চড়া না, মানের দিক থেকে মাঝামাঝি। এখানকার মানুষজনের সাথে অল্প সময় মিশে মনে হয়েছে তারা ট্যুরিস্টদের সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করে। মিষ্টি আর মহিষের দুধের দই, এই দু’টো জিনিস বেশ ভাল লেগেছে আমাদের কাছে।

আর এখানে আমরা যেই টেন্টগুলোতে ছিলাম সেগুলো বন বিভাগের একটি প্রজেক্ট এবং একেবারে বনের পাশেই। এখানে নিরাপত্তা যথেষ্ট পরিমান আছে। এর দায়িত্বে নিয়োজিতরা যথেষ্ট তৎপর এবং ফ্রেন্ডলি। আমরা নিঝুম দ্বীপে থাকা কালে স্বয়ং ডিসি সাহেব এসেছিলান নিঝুম দ্বীপ পরিদর্শনে। আমাদের সাথে মত বিনিময় করেছিলেন এবং জানিয়েছেন, এই বনে কোন হার্মফুল প্রানী নেই এবং ট্যুরিস্টরা নিরাপদে থাকতে পারবেন।

আমরা বেশ ক্লান্ত ছিলাম, তবু টেন্টে চলল গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা।

প্ল্যান ছিল ভোরে ঘুম থেকে উঠে চোয়াখালী বনের গভীরে গিয়ে হরিণের পাল দেখা। কিন্তু সকালে উঠতে উঠতে আমাদের দেরি হয়ে যায়।

সকাল ১০ টায় নাস্তা সেরে বের হই ঘুরতে। দমার চর ঘুরে আমরা চলে যাই এই ট্যুরে আমাদের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ চোয়াখালী ফরেস্টে।

এই জায়গাগুলো ঘুরতে চাইলে আপনাদের স্থানীয় কাউকে গাইড হিসেবে নিয়ে যাওয়া উচিত। আমরা আমাদের টেন্টের দায়িত্বে থাকা সোহেল ভাইকে সাথে নিয়েছিলাম। যদিও এর জন্য সে কিছু দাবী করেনি কিন্তু আসার সময় আমরা ভাল মানের একটা টিপস দিয়েছিলাম। বনের যত গভীরে যাবেন, আপনি ততটাই ফীল করতে পারবেন এই বন। খাল পাড়াপাড়ের ব্রিজ হিসেবে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে গাছ। তাই এটা পাড় হতে খানিকটা সাহসিকতার প্রয়োজন রয়েছে যারা এতে অভ্যস্ত নয়। যদিও আমাদের কেউ এটাতে অভ্যস্ত ছিল না কিন্তু সবাই পাড় হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষমেস উপায় না পেয়ে পানিতে নেমে পড়ে আমাদের অনিন্দ্য ভাই।

পায়ের নিচে কেওড়া গাছের মূল আর ঘন জংগলে কাটাওয়ালা গাছ আপনার হাঁটার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু এগুলোই এডভেঞ্চার। আর প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আপনাকে অবশ্যই একটু পরিশ্রম করতেই হবে।

প্রায় ঘন্টাখানেক হেঁটে আমরা পৌঁছে গেলাম চোয়াখালি প্রজেক্টে। পুকুরের পানি খুব স্বচ্ছ আর চারদিক বনে ঘেরা। সাধারণত ভোর বেলা এখানে আসলে হরিণের দেখা মেলে। এই পুকুরটি মূলত হরিণের পানি খাওয়ার জন্যই বানানো হয়েছে। শেষমেশ আমাদের কপালে আর হরিণের দেখা মিলল না।

তাতে কি আরো গভীরে গেলাম। হরিণ দেখতে না পারলেও বনের নিস্তব্ধ পরিবেশে আমরা মুগ্ধ হই। দারুণ একটা অভিজ্ঞতা ছিল এই বন ভিজিটে। যেখানে ভাল লেগেছে বসে পড়েছি, আড্ডা দিয়েছি এমনকি ঘাসের উপর শুয়েও পড়েছি কয়েকবার।

গোসল আর দুপুরের খাবার সেড়ে ২য় বারের মত যাই নামাবাজার বীচ দেখতে। সন্ধ্যার পর ফিরে আসি টেন্টে। বার-বি-কিউ এক্সপার্ট প্রান্তর কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। আর আমরা অপেক্ষা করতে থাকি কখন চিকেনগুলোকে গো-গ্রাসে গিলতে পারব। এই ট্যুরে আমার সাথে ছিল অনিন্দ্য ভাই, আরিফ ইস্তিয়াক, প্রান্ত, অলি এবং তুবা। এদের প্রায় সবার সাথে পরিচয় বাইকার হিসেবে। ভ্রমণ পিপাসু, বাইকার কিংবা ট্রাভেলার হলে এভাবে পরিচয় মেলে অনেকের সাথে আর সময়ের সাথে সাথে সেগুলো পরিণত হয় আত্মার সম্পর্কে। ওরা সবাই আমাদের দেশি-বাইকার প্লাটফর্মটাকে খুব সাপোর্ট করে আর আমিও ওদের সাথে সময় কাটাতে খুব আনন্দবোধ করি।

আজ ফেরার পালা। দ্রুত যাতে ঢাকা পৌঁছা যায় এবং আমরা বাইক রাইড বেশি করতে পারি তাই সিদ্ধান্ত নিলাম নোয়াখালী হয়ে ব্যাক করব। ফেরার পথে আমাদের টোটাল বাইক রাইড করতে হয়েছিল প্রায় ২৭০ কিঃমিঃ। এছাড়া ২টি ট্রলারে নদী পাড় হতে হয়েছিল যেখানে সময় লেগেছিল ১৫ মিনিট এবং ১ ঘন্টা।

সকাল ১১ টায় আমরা যাত্রা শুরু করি। বন্দরটিলা ঘাট থেকে মোক্তারিয়াঘাট ট্রলারে পাড় হওয়ার পর। বাইকে প্রায় ৪৫ কিঃমিঃ রাইড করে আমরা চলে যাই হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে। যার প্রায় ৩৫ কিঃমিঃ রাস্তা বেশ ভাল। গ্রুপ রাইড করে সেফলি আমরা পৌঁছে যাই আমাদের গন্তব্য।

সী-ট্রাক চলে গেছে আগেই তাই বড় ট্রলারের অপেক্ষায় ছিলাম। ট্রলারে ওঠার আগে একটু ভয় পেয়েছিলাম বিশাল মেঘনা নদী দেখে। তবে ওঠার পর এই ভয় পুরোদমে কেটে যায় আর আমরা সবাই খুব ইনজয় করি।

চেয়ারম্যানঘাটে নেমে বাইক চেপে রওনা দেই ঢাকার উদ্দ্যেশে। কুমিল্লা পর্যন্ত রাস্তা খুব খারাপ, তবে ফোর লেনের কাজ চলছে। আশা করি, কিছুদিন পরে এই রুটে চলাচল অনেক স্মুথ হবে।

রাত ১২ টায় আল্লাহর রহমতে আমরা ঢাকায় পৌঁছে যাই সেফলি।

এই ছিল নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের গল্প। আল্লাহ বাচায় রাখলে, আগামীতে চেষ্টা করব এমন আরো ভ্রমণের গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হওয়ার।

লিখেছেনঃ দেওয়ান সোহান (ফাউন্ডার – দেশী-বাইকার ডট কম)

Related Posts

error: Content is protected !!