চলন্ত মোটরসাইকেলে আগুন লেগে যাওয়ার কারনসমুহ এবং প্রতিকার

এখন গ্রীষ্মকাল, প্রচন্ড রোদ আর গরম। বিগত কয়েক দিনে ফেসবুকে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চলন্ত অবস্থায় আচমকা আগুন লাগা ঘটনার ছবি দেখা গেল। অনেকের প্রশ্ন, কি কি কারণে চলন্ত মোটরসাইকেলে আগুন লাগতে পারে ? চেষ্টা করব এই আগুন লাগার কারণগুলো চিহ্নিত করার এবং কিভাবে এমন দূর্ঘটনা থেকে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করার।

যদি একটি মোটরসাইকেলের ওয়ারিং অনেক পুরোনো হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনা বেশী থাকে। তবে যে ব্যাটারিগুলো মোটরসাইকেলে ব্যবহৃত হয় তা লিমিটেড ভোল্টের হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র শর্ট সার্কিটের কারণে সম্পূর্ণভাবে আগুন ধরা সম্ভব নয়। আগুন লাগার সাথে ইঞ্জিন ওভারহিট হওয়ার কারণ জড়িত রয়েছে।

আমরা মোটরসাইকেলে যে ফুয়েল ব্যবহার করি তার সংযোগ লাইনে ত্রুটি আগুন লাগার একটি কারণ হতে পারে। অর্থাৎ যদি স্পার্কিং হয়, তখন এই ফুয়েল এবং ইঞ্জিনের ওভারহিট আগুন জ্বালাতে পারে। ফুয়েল পাইপে কোন লিক থাকলেও এমনটি ঘটতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিম্নমানের মোটরসাইকেলে এই আগুন লেগে থাকে।

সল্প মূল্যে একটি বাইক তৈরি করতে কোম্পানিগুলো অনেক সময় নিম্ন মানের ওয়ারিং এবং যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে। তাই একটি মোটরসাইকেল কেনার আগে সেটির ইলেকট্রিক ফিচারগুলো ভালো ভাবে যাচাই বাছাই করা উচিত.

করণীয়ঃ

১। নির্দিষ্ট সময় পর পর ব্যাটারির চার্জিং লেভেল পরীক্ষা করা উচিত। মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত কোন ফিচার যেমনঃ হর্ন, লাইট ইত্যাদি ব্যাবহার করলে ভালো মানের কেবল নিশ্চিত করা জরুরি। সব মিলিয়ে নিয়মিত সার্ভিসিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

২। প্রতিটি বাইকের ওয়ারিংয়ে ফিউজ থাকা জরুরি। এতে প্রাথমিক শর্ট সার্কিট রোধ হয়।

৩। ভালো মেকানিকের নিকট ওয়ারিং চেক করে নেয়া যেতে পারে।

৪। ইঞ্জিন ওভারহিট হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন। এমন সমস্যা চলতে থাকলে যে কোম্পানির মোটরসাইকেল ব্যবহার করেছেন, তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

৫। ফুয়েল লাইনে কোন লিক আছে কিনা এবং ফুয়েল গড়িয়ে পড়ছে কিনা তা খেয়াল রাখুন।

৬। ভালো মানের ফুয়েল ব্যবহার করুন।

৭। একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর বাইকের ইঞ্জিনকে রেস্ট দিন।

৮। ঠান্ডা জায়গায় মোটরসাইকেল পার্ক করুন।

 

আশা করি কোন ভূল-ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।

 

লিখেছেনঃ মোঃ মাহামুদুল হক শিপন