“মোটরসাইকেলের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন কিভাবে?” এবং “লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন ব্যাংক এবং উত্তর” যাবতীয় তথ্য নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট এর আগেও আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্সে করতে গিয়ে একজন মোটরসাইকেলিস্টের নানা জটিলতা পোহাতে হয়। ঢাকার বাইরে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা কিছুটা সময় সাপেক্ষ হলেও, লিখিত পরিক্ষা আর ফিল্ড টেস্টের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করলে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা সম্ভব। তেমনি ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করেছেন তা নিয়ে বিস্তারিত দেশি-বাইকার ফেসবুকে গ্রুপে পোস্ট করেছেন জামালপুরের বাইকার জাহিদ আনাম।
২২/০৩/১৮ ইং
BRTA অফিসে লার্নার ফর্ম পূরণ করে, সাথে সার্টিফিকেট, ভোটার আইডি কার্ড, মেডিকেল সার্টিফিকেট, ব্লাড গ্রুপ টেস্ট ছবি সহ জমা দিয়ে কিছু দিনের মধ্যে লার্নার কার্ড হাতে পাই। পরীক্ষার দিন এর জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। এস,এম,এস এর মাধ্যমে সাধারণত জানানো হয় যে লার্নার কার্ড রেডি হয়েছে কিনা। কিন্তু অধিকাংশ সময় অনেকে মেসেজ পায় না। সেক্ষেত্রে সরাসরি গিয়ে BRTA অফিসে খোঁজ নিয়ে হয়। লার্নার কার্ডেই পরিক্ষার সময় ও তারিখ লেখা থাকে।
০৫/০৬/১৮ ইং
পরীক্ষা দিতে যাই সকাল ৯ টায়। ২০ মার্ক এর ২০ মিনিট লিখিত পরীক্ষা দেই এবং রেজাল্ট এর জন্য অপেক্ষা করি, পাশ করি। রেজাল্ট পাওয়ার পর ভাইভা পরীক্ষার জন্য সিরিয়ালে থাকি। ভাইভাতে ৩/৪ টা সংকেত ধরা হয়, পাশ করি। তারপর মাঠে নিয়ে যাওয়া হয় ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষার জন্য।
মেজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তার সামনে জিগজ্যাগ ভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে দেখাতে হয় এটাই পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে নিজে নিজে ট্রাই করে নিলে ভাল হয়, ছোট বাইকে সহজে জিগজ্যাগ চালিয়ে পাশ করা যায়। পরীক্ষার পর এডমিট/লার্নার কার্ড জমা রেখে দেয় ও রেজাল্ট এর জন্য অপেক্ষা করতে বলে।
০২/০৭/১৮ ইং
আমি পাশ করেছি রেজাল্ট জানার পর ব্যাংকে ২৫৪২ টাকা জমা দিয়ে, DL ফর্ম পূরণ করি, সাথে আগের মতই সার্টিফিকেট, ভোটার আই,ডি কার্ড, মেডিকেল সার্টিফিকেট, ব্লাড গ্রুপ টেস্ট ছবি সহ এটাচ করে, কম্পিউটার অপারেটর এর কাছে দেখিয়ে ছবি ও আঙ্গুল এর ছাপ দেই।
তারপর মটোর কার পরিদর্শকের কাছে ফর্ম জমা দেই। তিনি ভলিউমে সব তথ্য তুলে লারনার/লাইসেন্স নাম্বার সহ প্রাপতি স্বীকার রসিদ দেন, আর এটাই অস্থায়ী লাইসেন্স।
এখন ৩/৪ মাস অপেক্ষার পালা। আর একটা কথা না বললেই নয় যে, আমার বাবা সরকারী চাকুরী করায় অনেকটা সুবিধা পেয়েছি। অন্যদের ক্ষেত্রে হয়তো সময় অনেক বেশি লেগে যাবে।
মোবাইল ফোনে মেসেজ আসলেই স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাব। এখন আর কোন টেনশন নাই, মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াই। পুলিশ দেখলেই ভাল লাগে।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে লিখলাম। কাউকে ছোট বা কস্ট দেওয়ার জন্য না। ক্ষমা দৃস্টিতে দেখবনে।
সবসময় গাড়ির কাগজ/বিমা/টেক্স টোকেন/ ড্রাইভিং লাইসেন্স সাথে রাখবেন। পায়ে শক্ত জুতা ও হেলমেট পড়বেন। নিজে সেফ থাকবেন পরিবার কেও সেফ রাখবেন।
ধন্যবাদঃ দেশি-বাইকার
বিঃদ্রঃ ড্রাইভিং লাইসেন্সে আবেদনের জন্য যাবতীয় ফর্ম BRTA-এর অফিসিয়ার ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এছাড়াও প্রতিটি BRTA অফিসের আসে পাশের ফটোকপির দোকানগুলো থেকেও কালেক্ট করে নিতে পারেন।
না বলা কথাঃ বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলার BRTA অফিসের কার্যক্রমের গতি এবং সততার উপড় ভিত্তি করে কম কিংবা বেশি সময় ধরে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া করতে হয়। ঘুষ ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রসেস করতে অনেক জেলায় প্রায় এক পর্যন্তও সময় লেগে যায়!
- শেল এডভান্স কিনে মালয়েশিয়া মটোজিপি টিকেট জেতার সুযোগ - আগস্ট ১৪, ২০২৩
- Bike Lock Combo: চুরি অসম্ভব? বাইকের ব্যাটারী ১০০% নিরাপদ? - জুলাই ২৪, ২০২৩
- ক্যাশব্যাক ও EMI অফারে বাইক কেনার সুযোগ দিছে টিভিএস সেলস পয়েন্ট - জুলাই ১৯, ২০২৩
You must be logged in to post a comment.