Hero Hunk DD ১৭০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ ( লিখেছেন- শান্ত)

সবাই দেখলাম দেশি বাইকার ভ্লগে নিজের প্রিয় বাইকের রিভিউ দিচ্ছে তাই আমিও লিখতে বসলাম আমার,
দেখতে দেখতে ১৭০০০ কিলোমিটার চালিয়ে ফেললাম, তাহলে আমার শখের বাইকটাকে নিয়ে কিছু বলে যাই।
বাইকের শখ আমার খুব ছোট বেলা থেকেই, বাইক চালানো শিখিও ছোট বেলায় ক্লাস ৫ এ থাকতে। তার পর থেকে বাসায় অনেক বলাবলির পরেও কেনা হয়নি কারন আমি একবাপের এক ছেলে, আব্বু আম্মু এক্সিডেন্টের কথা চিন্তা করেই দেয়নি। তার ভিতর অনেক বছর কেটে গেলো আর আমার বাইকের প্রতি একটা গভীর লোভ হতে লাগলো। বাইক এতো ভালবাসতাম যে যেকোন বাইকের আওয়াজ শুনলে নাম বলতে পারতাম।

 

হটাৎ আমার আব্বু একদিন নিজেই বলল যে আমাদের একটা বাইক লাগে। আমিতো শুনে খুব খুশি, পরে সিদ্ধান্ত হলো কি বাইক কিনবো । জিক্সার কেনার আশায় থাকলেও হটাৎ নতুন Hero Hunk matt dd বাইক বের হলো দেখতে অনেক সুন্দর আব্বুরও পছন্দ হলো। কিন্তু কিনে নিয়ে আসার পর অনেকেই বলল “ধুর হানক গাড়ি ভাল না চাকা চিকন হ্যান ত্যান ” তখন আমি চিন্তা করলাম বাইক বিক্রি করে দিবো।আমার এক মেকানিক কাকা বলে না এটা ভালো বাইক, তার কথায় আর বিক্রি করলাম না।

 

এখন আসি বাইক বিষয়ঃ
150 cc এর matt green Hunk DD 164000৳ দিয়ে কেনা
১৭k চলার পথে শুধু সামনের ব্রেক প্যাড চেঞ্জ করছি আর হেড লাম্প।
ভালো দিক গুলি
১) তেলে ভাল মাইলেজ দেয় ৪৫+
২) ইঞ্জিনের সাউন্ড স্মুথ গতি ৬০+ হলে বিমানের মত সাউন্ড হয়।
৩) দাম হিসাবে স্পিড আমার কাছে খারাপ মনে হয়নি টপ ১২২kmp
৪) ভাল ইঞ্জিন অয়েল দিয়ার কারণে এখন নিউ বাইকের মত সাউন্ড।
৫) বাইক সারাদিন রাইড করলেও মনে হবে আরএকটু চালাই কারণ কম্ফোর্ট এর দিক দিয়ে হানকই সেরা।
৬) এগ্রেসিভ লুক।

 

এবার আসি খারাপ দিকঃ
১) হেড ল্যাম্পের আলো কম হাইওয়েতে চোখেই দেখায় না। আমি ৪০০ টাকা দিয়ে motoled লাগাইছি ভাল আলো পাচ্ছি। আসলে কোনো বাইকের স্টক লাইটের আলো ভাল হয় না।
২) পিছনের চাকা চিকন,  স্কিড করার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু না আমি পিছল রাস্তা কাদার রাস্তা সব স্থানে চালিয়েছি কিন্তু কখন স্লিপ করেনি আর অনেক হেলেও মোড় ঘুরেছি তবে মনের যদি সন্দেহ থাকে সেক্ষত্রে পেছনের টায়ার চেঞ্জ করে নিতে পারেন।
৩) হর্ণ এর আওয়াজ কম। আমি বাইকের সাথে যে হর্ণ ছিলো তার সাথে ৭০ টাকা দিয়ে একটা চাইনিজ হর্ণ লাগিয়েছি এখন দারুন আওয়াজ হয়।
আর আমার দেখা মতে দাম বিবেচনায় Hunk এর থেকে বেস্ট বাইক হয়না আমি ৪/৫ বার বিক্রির চিন্তা করেও বিক্রি করতে পারিনি কেননা বাইকের পারফর্মেন্স দারুন।

 

এখন অবশ্য দাম অনেক কম।
এই ছিলো আমার প্রিয় হাঙ্ক নিয়ে ১৭০০০ কিঃমিঃ পথ চলার কিছু কথা, আশা করি আমার অভিজ্ঞতাগুলো যারা এই বাইক কিনবে তাদের জন্য কাজে আসবে।
ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন কেননা এটা আমার প্রথম রিভিউ।
লিখেছেন – শান্তু