আমদের দেশি-বাইকার ইউটুব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপে Haojue DR 160 বাইকটির রিভিউ চেয়েছিলেন অনেকে। তাই আজকে আমরা এই বাইকটির খুটিনাটি বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব। তাই আমরা চেষ্টা করব খুব শীঘ্রই এই বাইকটির একটি টেস্ট রাইড রিভিউ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হতে। তবে যেহেতু বাইকটির সাথে অনেকেই পরিচিত নয় তাই আজকের এই রিভিউটিতে আমরা বাইকটির অভারওল ফিচার এবং ডিটেইলস নিয়ে আলচনা করব।
এই বাইকটি প্রথম ডিসপ্লে করা হয়েছিল 5th ঢাকা বাইক শো-তে। ঢাকা বাইক শো-তে Haojue স্টলের অন্যতম আকর্ষন ছিল এই বাইকটি। তবে বাইকটি বাজারে লঞ্চ করতে বেশ খানিকটা সময় নিয়েছে বাংলাদেশে Haojue এর অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর কর্নফুলি মটরস. প্রাইস, ডিজাইন, আধুনিক সব ফিচারস এবং ১৬০সিসির পাওয়ারফুল ইঞ্জিনের জন্য এটি 160cc সেগমেন্টের one of the competitive বাইক হতে যাচ্ছে।
আপনারা জানেন বাংলাদেশের এই মুহুর্তে সবচেয়ে কম্পেটিটিভ সেগমেন্ট হচ্ছে 160 সিসি। যেখানে কম্পিট করছে Honda CB Hornet, Bajaj Pulsar NS 160, TVS Apache RTR 160 4V এবং Benelli 165s. Haojue এর এই নেকেড স্পোর্টস বাইকটি কি পারবে এই যায়গায় নিজের শক্ত অবস্থান তৈরী করতে? এই প্রশ্নরই উত্তর থাকছে আমাদের সম্পুর্ন রিভিউটি জুড়ে। তবে চলুন শুরু করা যাক আজকের রিভিউটি।
Pleased to be informed, Haojue is one of the top Chinese motorcycle manufacturer company. এই বাইকটির ডিজাইন এবং কালার কম্বিনেশন নিয়ে বেশ কাজ করেছে তারা। আলাদা আলাদা প্লাস্টিক দিয়ে এর সাইড প্যানেল তৈরী করা হয়েছে। সামনের এক্সটেনশন এবং সাইড প্যানেলে কিছুটা স্টিকারিং করা হয়েছে। এছাড়া গোল্ড আপ-সাইড ডাউন সাসপেন্সনটিও দেখতে বেশ চমৎকার। পিছনের হুইলে কোন মাডগার্ড না থাকার কারনে বেশ স্পোর্টি দেখায় বাইকটিকে।
বাইকটির ফ্রোন্ট-ইন্ড বেশ Aggressive. হেডলাইটটি কিছুটা আয়তনে ছোট এবং দেখতে বেশ চমৎকার। হেডলাইট এবং টেল লাইট ইউনিটে ব্যবহার করা হয়েছে LED লাইট। হেডলাইট ইউনিটে LED parking লাইট রয়েছে যা হেডলাইটে লম্বালম্বি ভাবে স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া এর সাইড ইন্ডিকেটর লাইটগুলোও LED.
এর মাস্কুলার ফুয়েল ট্যাংকটি কার্ভড ডিজাইনের এবং এর সামনে একটি Extension Kit স্থাপন করা হয়েছে। ফুয়েল ট্যাংকের সামনে রাখা হয়েছে ইগনিশন সুইচটি। এছাড়া ইগনিশন সুইচটিতে ব্যবহার করা হয়েছে Haojue Immobilization System (H.J.I.S), যার ফলে অন্য চাবি দিয়ে বাইকটি কখনই স্টার্ট নিবে না।
এর রাইডিং পজিশনটি বেশ কম্ফোর্টেবল মনে হয়েছে আমাদের কাছে। সিটটি Split হলেও বেশ বড় এবং চওড়া। এছাড়া এর পিলিওন সিটটিও পারফেক্ট। একজন পিলিওন রাইডিংয়ের সময় বেশ ভালভাবেই বস্তে পারবেন এটিতে। এর হ্যান্ডেলবারটি স্পোর্টি না হলেও সিটি এবং লং ট্যুরের জন্য বেশ আরামদায়ক হবে। আর হ্যান্ডেলবারটিও পিলিওন ফ্রেন্ডলি।
অনেকেই হয়ত জানেন না যে Haojue চীনের অন্যতম প্রসিদ্ধ মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানি। শুধুতাই নয়, Suzuki চায়না রিজিয়নের জন্য Haojue এবং Suzuki দীর্ঘদিন যাবত join venture এ কাজ করে আসছে। তাই এর overall ইঞ্জিন পার্ফরমেন্স নিয়ে বেশ আশাবাদী আমরা।
এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে Single-cylinder, four-stroke, two-valve, SOHC, 162 সিসির ইঞ্জিন এবং যাকে ঠান্ডা করার জন্য রাখা হয়েছে Air-cooled সিস্টেম। এই ইঞ্জিনটি 15 bhp maximum power at 9000 rpm এবং 14 Nm torque at 7500 rpm উৎপন্ন করতে পারে। স্মুথ ট্রান্সমিশনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে 5-Speed gearbox এবং Wet multi-plate clutch.
এছাড়াও এর ইঞ্জিনে যুক্ত করা হয়েছে EFI সিস্টেম। সচরাচর ২ লাখ টাকার মধ্যে বাইকগুলোতে EFI ইঞ্জিন দেখা যায় না। এর ফলে বাইকটি থেকে বেশ ভাল মাইলেজ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি আমরা। এছাড়া বাইকটিতে কোন কিক স্টার্টার নেই। অনেকেই ঠান্ডায় বাইক স্টার্টের সময় প্রবলেম ফেস করেন। EFI সিস্টেম থাকার কারনে বাইকটি স্টার্টের সময় খুব একটা প্রবলেম ফেস করবেন না।
এবার কথা বলা যাক বাইকটির সাসপেন্সন সেটিং নিয়ে। এর সামনে Install করা হয়েছে জাপানিজ ব্রান্ড KYB এর Inverted Up Side Down সাসপেন্সন এবং পিছনে Swingarm mono-shock সাসপেন্সন। বাইকটির মোট ৩টি কালার বাজারে নিয়ে এসেছে তারা। সেগুলো হচ্ছে Blue, Red এবং Black. Red এবং Black কালারটিতে কাল কালারের USD সাসপেন্সন ব্যবহার করলেও Blue কালারটিতে Golden USD সাসপেন্সন ব্যবহার করা হয়েছে।
বাইকটির বিল্ড-কোয়ালিটিও বেশ ভাল মনে হয়েছে আমাদের কাছে। স্বল্প সময় চালিয়ে বাইকটির ইঞ্জিন যথেষ্ট স্মুথ এবং এর উভয় সাসপেন্সন বেশ কার্যকর মনে হয়েছে।
বাইকটির সামনে ২৮০ মিমি এবং পিছনে ২২০ মিমি ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও এটিতে যুক্ত করা হয়েছে CBS ব্রেকিং। বাইকটি কিছুক্ষন চালিয়ে এর ব্রেকিং ভালই মনে হয়েছে আমাদের। তবে ইমার্জেন্সি ব্রেকিং এবং লং রাইডে এটি কেমন ফিডব্যাক দেবে তা টেস্ট রাইড না করে বলা সম্ভব নয়।
এর সামনে ১০০/৮০-১৭ এবং পিছনে ১৩০/৭০-১৭ সেকশনের টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া এর হুইলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যুক্ত করা হয়েছে Cast alloy wheels.
Haojue তাদের এই বাইকটির ড্যাশবোর্ডের ডিজাইনে বেশ Effort দিয়েছে। এর নেগেটিভ LCD Display মিটারটিতে Tachometer, speedometer, Gear Indicator সহ সকল প্রয়োজনীয় ফিচারস থাকছে। তবে দিনের আলোয় মিটারটির স্পষ্টতা কিছুটা কম।
বাইকটির বাজার মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ১৯৯,৫০০ টাকা। এই বাজেটের মধ্যে Haojue এই বাইকটিতে যে ফিচারসগুলো দিয়েছে তা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। বাইকটি দীর্ঘক্ষন চালানোর পর কিরকম পার্ফরমেন্স দেবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
আজ এ পর্যন্তই। সব সময় হেলমেট, রাইডিং কিটস এবং নিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক চালাবেন।
লিভ ফ্রি, রাইড সেইফ ./.
- Hero Hunk DD ১৭০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ ( লিখেছেন- শান্ত) - এপ্রিল ২, ২০২৪
- Hero Hunk ১০,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ফাহিম হোসেন তপু) - মার্চ ১১, ২০২৪
- Hero Hunk ৪২,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ইফাজ আহমেদ) - মার্চ ১০, ২০২৪
You must be logged in to post a comment.