আপনার মোটরসাইকেলের নির্ধারিত টায়ার প্রেশার সম্পর্কে জানা এবং সে অনুযায়ী তা ব্যবহার করার কি কোন প্রয়োজন রয়েছে? উত্তরটি হচ্ছে হ্যা, অবশ্যই রয়েছে। টায়ারের প্রেশার নিয়ে আলোচনা করা ততোট আকর্ষণপূর্ণ হলেও এটি মোটরসাইকেলের একটি গুরুত্বপুর্ন অংশ। আরামদায়ক রাইডিং এবং ভাল কন্ট্রোলিং এর জন্য অবশ্যই আপনাকে টায়ারের আদর্শ এবং নির্ধারিত প্রেশার মেনে চলতে হবে। টায়ার প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো তাদের মেনুয়াল বইয়ে সপ্তাহে অন্তঃত একবার টায়ার প্রেশার পরিমাপের কথা বলে থাকেন কিন্তু মোটরসাইকেল এক্সপার্টদের মতে তা প্রতিদিন করা উচিত। যেকোন ভ্রমণের পুর্বে বাইকের ত্রুটিপুর্ন কন্ট্রোলিং এবং ব্রেকিং সিস্টেম থেকে সুরক্ষা পেতে চাইলে অবশ্যই টায়ার প্রেশার যাচাই করতে হবে।
সাধারনত টায়ার তৈরি করা হয় রাবার থেকে যার ভিতরের অংশ পরিপূর্ন থাকে বাতাস দিয়ে। প্রত্যেকটি মোটরসাইকেল টায়ারের প্রেশার এর সাইজ এবং ধারন ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। বাইকে ভাল গ্রিপ পেতে হলে টায়ারকে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছাতে হয়। সঠিক তাপমাত্রার জন্য অবশ্যই নির্ধারিত টায়ায় প্রেশার প্রদান করতে হবে। টায়ার প্রেশার সম্পর্কে আমরা সাধারনত দুটি ভুল করে থাকি। সেটি হল হাই প্রেশার এবং লো প্রেশার। আমাদের অধিকাংশ রাইডাররাই টায়ারের সঠিক প্রেশার সম্পর্কে অবগত নন। আসুন এই ভুল দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
লো প্রেশারঃ অনেক রাইডার মনে করেন টায়ারের লো প্রেশার বাইককে অধিক গ্রিপ প্রদান করে এবং স্লিপ করার হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু নির্ধারিতর চেয়ে কম প্রেশার প্রদান করলে তা টায়ারের অভ্যান্তরিন তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে টায়ারের আকৃতি ও সাইজের ক্ষতি হতে পারে। এটি মোটরসাইকেলের কর্মক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ হ্রাস করে। এটি মূলত টায়ারের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।
হাই প্রেশারঃ টায়ারে হাই প্রেশার ব্যবহারও এক ধরণের ভুল ধারনা। এটি মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রিপিং এ সমস্যার সৃষ্টি করে। এটি টায়ারের সাথে রাস্তার ফ্রিকশনের পরিমান কমিয়ে দেয়। যার ফলে একজন রাইডার ভাল গ্রিপ পান না এবং ব্রেকিং সিস্টেমে সমস্যা তৈরি করে। টায়ারে অধিক পরিমান প্রেশারের ফলে তা সহজেই পাংচার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আসুন জেনে নিই কোন সাইজের টায়ারে কি পরিমান প্রেশার প্রদান করবেনঃ
টায়ার সাইজ | সিঙ্গেল | পিলিওন থাকলে | পিলিওন + লাগেজ |
৮০/৯০-৩.২৫ | ৩২-৩৩ পিএসআই | ৩২-৩৩ পিএসআই | ৩৩-৩৪ পিএসআই |
১০০/৮০-৩.৫০ | ৩২-৩৩ পিএসআই | ৩৩-৩৪ পিএসআই | ৩৪-৩৫ পিএসআই |
১১০/৭০ | ৩৪-৩৫ পিএসআই | ৩৫-৩৬ পিএসআই | ৩৬-৩৭ পিএসআই |
টায়ার সাইজ | সিঙ্গেল | পিলিওন থাকলে | পিলিওন + লাগেজ |
১০০/৯০ | ৩৩-৩৪ পিএসআই | ৩৫-৩৬পিএসআই | ৩৭-৩৮ পিএসআই |
১১০/৯০ | ৩৩-৩৪ পিএসআই | ৩৫-৩৬ পিএসআই | ৩৭-৩৮ পিএসআই |
১২০/৮০-১৩০/৯০ | ৩৪-৩৫ পিএসআই | ৩৬-৩৮ পিএসআই | ৩৮-৪০ পিএসআই |
১৪০/৭০ | ৩৫-৩৬ পিএসআই | ৩৭-৩৮ পিএসআই | ৩৮-৪০ পিএসআই |
রাইডিং এ যাওয়ার আগে টায়ারের প্রেশার পরিমাপ করুন এবং সাথে অবশ্যই একটি প্রেশার গজ (প্রেশার পরিমাপের যন্ত্র) রাখুন। রাইডিং এর পরপরই কখনই প্রেশার পরিমাপ করবেন না। চলন্ত অবস্থায় চাকার অভ্যান্তরিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং মিটারে সঠিক চাপ প্রদর্শন করে না। রাইডের অন্তঃত তিন ঘন্টা পর প্রেশার পরিমাপ করা উচিত। সবসময় সঠিক ও নির্ধারিত পরিমান টায়ার প্রেশার ব্যবহার করুন এবং নিজেকে অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করুন।
- Hero Hunk DD ১৭০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ ( লিখেছেন- শান্ত) - এপ্রিল ২, ২০২৪
- Hero Hunk ১০,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ফাহিম হোসেন তপু) - মার্চ ১১, ২০২৪
- Hero Hunk ৪২,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ইফাজ আহমেদ) - মার্চ ১০, ২০২৪
You must be logged in to post a comment.