Yamaha FZs V2 এর ৩৪ হাজার কিঃমিঃ ইউজার রিভিউ (লিখেছেন মোঃ মূসা)

আমি মূলত একজন আরাম প্রিয় মানুষ এবং বাইক দিয়ে ট্রাভেলিং করতে ভালো লাগে আমার। বাইকে কম্ফোর্ট এবং কন্ট্রোলই আমার সব থেকে পছন্দের বিষয়। এজন্যই FZS V2 ক্রয় করি আমি।
আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ৩৪ হাজার+ রাইড করেছি। এই দুই বছরে ৩৪ হাজার রাইড করে আমার সীমিত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। ভূল হলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
FZs V2 Review
এই বাইক এর সম্বন্ধে কিছু বলতে গেলে সর্বপ্রথম যে বিষয়গুলো চলে আসে তা হচ্ছে ব্রেকিং, স্ট্যাবিলিটি, কম্ফোর্ট এবং কর্নারিং, যা এক কথায় অসাধারণ। FZS এর ব্যাপারে সবাই এই বিষয়গুলো নিয়ে অবগত আছেন আশা করি আমার নতুন করে কিছু বলা লাগবে না।
ইঞ্জিনের কথা বলতে গেলে প্রথমে বলতে হয় রিফাইন ইঞ্জিনে যদিও পাওয়ার একটু কম, আমি মনে করি এটার কারণে ইঞ্জিন প্রেসারাইজ হয় কম। তবে আর একটু পাওয়ার বেশি হলে মন্দ হত না। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েল ইউজ করতে, তাই এখনো আমার বাইকের ইঞ্জিন অনেক ভালো কন্ডিশনে আছে। আলহামদুলিল্লাহ এখনো আমার ইঞ্জিনে কোন কাজ করাতে হয় নাই। যদিও এত বেশি লং ট্যুর দেওয়া হয় নাই আমার, মাঝে মধ্যে ছোট খাটো ট্যুর দেওয়া হয়, তার মধ্যে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, চাঁদপুর, বরিশাল ইত্যাদি। ট্যুরে পিঠে ব্যথা, কাঁধে ব্যথা, কব্জি ব্যথা কোনো দিন অনুভব করি নাই। আমি মনে করি ট্যুরের জন্য FZS ওভারঅল চিন্তা করে আরামদায়ক একটি বাইক।
সামনের সাসপেনশন অফ রোড, অন রোড দুইটাতেই অসাধারণ কাজ করে পিছনের সাসপেনশন যদি পিলিয়ন থাকে একটু শক্ত তাকে পিলিয়ন না থাকলে ভালোই কাজ করে।
যদিও আমি থাকি টেকনাফে। আর টেকনাফে ভালো মানের ফুয়েল পাওয়া যায় না, তারপরও আমি ৪০ প্লাস মাইলেজ পেয়ে যাই তার মাঝে। আমার বাইকের একজোস্ট লাগানো ছিল প্রায় এক বছর।
FZs V2 User Review
আমার মনে হয় প্লাস্টিক কোয়ালিটি আরেকটু ভালো হলে পারত। প্লাস্টিকের লকগুলো মাঝে মাঝে ভেঙে যায় এবং পিছনের মাডগার্ড এর সাথে দুইটা জিনিস একজাস্ট করাটা আমার ভালো লাগে নাই। একটা হল ব্যাকলাইট, আরেকটা হল সিট লক, মোডিফাই করার সময় মাডগার্ড খুলতে চাইলে অনেক প্যারায় পড়তে হয়।
সর্বশেষ বলতে চাই আমি, কোন বাইকই পারফেক্ট হয় না। ওভারঅল বলতে গেলে FZS V2 অনেক ভালো একটি বাইক। এই বাইক দিয়ে সব কন্ডিশনে ভালো মত রাইড করা যায়।
লিখেছেনঃ মোহাম্মদ মূসা