Bajaj বাজারে নিয়ে এলো নতুন Platina 110H

বাংলাদেশের বাজারে সেই শুরু থেকে ভারতীয় ব্রান্ড বাজাজের আধিপত্য চোখে পড়ার মতো। তাদের খুব বেশি ভেরিয়েন্ট মডেল না থাকলেও বেশ কিছুদিন পর পর তারা বাজারে তাদের কিছু বাইকের আপগ্রেড মডেল নিয়ে আসে। সেই ধারাবাহিকতায় বাজাজ বাজারে নিয়ে এলো Platina 110 H Disc Comfortec – যেখানে তারা বলেই দিয়েছে চলতি পথে ঝাঁকি আর নেই।

বাজাজ Platina সাথে আমরা বেশ আগে থেকেই পরিচিত। বিশেষ করে শহরের বাইরে, বিভিন্ন কাজে প্লাটিনার ব্যবহার ব্যপক। দিনের পরিবর্তনে বাজাজ এই বাইকে বেশ অনেক ভেরিয়েশন এনেছে।প্লাটিনার নতুন এই 110 H Disc Comfortec বাইকটি ২০২১ সালের শুরু থেকেই বাজাজ অটো লিমিটেড বাংলাদেশে বাজাজের অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর উত্তরা মোটরস লিমিটেড এর সহযোগীতায় বাজারজাত করেছে। নতুন এই মডেলের বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে টিউব্লেস চাকা এবং ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেকের সাথে CBS  ব্রেকিং সিস্টেম, যা এই বাইকটির ব্রেকিং কে আরো কার্যকরী করে তুলবে।

এর আগের প্লাটিনা বাইক গুলো মূলত গ্রামঞ্চলে বেশি চলাচল করলেও এবার এই নতুন ভেরিয়েন্টে প্রথমবারের মতো হাইওয়ে এবং লং রাইডের জন্য গিয়ার সিস্টেম ডিহাইন করা হয়েছে। যা আপনাকে হাওয়েতে যেমন ফুয়েল সেভ করবে তেমনি এর গিয়ার শিফটিং করবে আরো বেশি স্মুথ এবং সফট। বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫ স্পিড গিয়ার বক্স, যা হাইওয়েতে বেশ ভাল সাপোর্ট দিবে আর এতো কম সিসির গাড়িতে সাধারণত ৫ স্পিড গিয়ার দেখা যায় না যেটি কিনা বাজাজ এই ১১০ সিসির গাড়িতে ব্যবহার করেছে।

নতুন এই বাইকটিতে ব্যবহার যুক্ত করা হয়েছে সম্পূর্ন ডিজিটাল কন্সোলার ব্যবহার করা হয়েছে এর মধ্যে অন্যতম একটি জিনিস যুক্ত করা হয়েছে যা গিয়ার ইন্ডিকেটর যেটি অনেক হাই সিসির বাইকেও থাকে না।

বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১১৫.৪৫ সিসির DTS-i ইঞ্জিন যেটিকে ঠান্ডা করার জন্য রাখা হয়েছে এয়ার কুল সিস্টেম। ইঞ্জিনটি 8.6 Bhp Max Power @7000rpm এবং 9.81 Nm Torque @5000rpm উৎপন্ন করতে সক্ষম, যা নতুন এই প্লাটিনাকে আরো বেশি পাওয়ার দিতে সক্ষম। সিবিএস ব্রেকিং এবং প্রশস্ত টায়ারের সাথে এর পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে Nitrox Suspension, যা ভাঙাচুরা রাস্তায় বেশ ভাল ফিডব্যাক দিবে আমরা আশা করছি।

এই বাইকের অন্যতম বিশেষত্ব হচ্ছে কম্ফোর্টেকের লম্বা সিট। আর বাজাজ তাদের যেকোন বাইকে সবসময় কম্ফোর্টের কথা ভেবেই বাইকের সিটিং পজিশন করে থাকে তাই ব্যতিক্রম এখানেও হয় নি। যেকোন বয়সের রাইডার হাইওয়ে কিংবা লং ট্যুরে খুব আরামেই ভ্রমন করতে পারবে এবং লম্বা সময় রাইডের ফলে কোনপ্রকার সমস্যা হবে না আমরা আশা করছি।

বাইকটির বডিতে বেশ কিছু 3D স্টিকারিং করা হয়েছে যা এর লুক কে আরো আকর্ষনীয় করে তুলেছে। বাইকটির সামনে এবং পেছনে তারা ব্যবহার করেছে ৮০/১০০-১৭ সেকশনের টিউবলেস টায়ার। এছাড়া নতুন বাইকটিতে সামনে ২৪০ মিমি ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ১১০ মিমি ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে আরো ভাল ব্রেকিং নিশ্চিত করতে ব্যবহার করেছে সিবিএস ব্রেকিং সিস্টেম। যা আপনাকে অনেক সময় স্কিড করা হতে রক্ষা করবে।

বাইকটি বর্তমানে দেশের সকল উত্তরা মোটরসের শো-রুমে পাওয়া যাবে ৩ টি কালারে-

১) Cocktail Wine Red
২) Ebony Black-Red
৩) Ebony Black-Blue

বাইকটির বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১,১০,৯০০/-, আমরা মনে করি এই বাজেটে আধুনিক ফিচার সম্পন্ন বাইকটি ক্রেতারে পছন্দের তালিকায় থাকবে।

Related Posts

error: Content is protected !!