বাংলাদেশে লুব্রিকেন্ট মার্কেটের প্রায় পুরোটাই আমদানী নির্ভর। আর তাই ডলার রেট, শিপিং খরচ, আমদানী শুল্ক ইত্যাদির প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ে এই ইন্ডাস্ট্রির উপর। যদিও বাংলাদেশে বিশ্বের প্রায় সব নামকরা লুব্রিকেন্ট ব্রান্ডগুলো রয়েছে, কিন্তু সেই অনুযায়ী উৎপাদন কিংবা ব্লেন্ডিং ফ্যাক্টরী গড়ে ওঠেনি। ২০১৮-১৯ এর একটি জরিপ অনুযায়ী ধারণা করা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে সব ইন্ডাস্ট্রি মিলে লুব্রিকেন্টের মার্কেট সাইজ প্রায় ৬০০০-৭০০০ কোটি টাকা এবং প্রতি বছর এই মার্কেট ৬ – ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে অনেকটাই বিপাকে পড়েছে অটোমোবাইলের এই সেক্টরটি।
গত বছরগুলোতে করোনা মহামারী এবং আমদানীর শিপিং খরচ বাড়ায় দুই দফা দাম বেড়েছে লুব্রিকেন্টের। এবার পরিস্থিতি একটু জটিল। দাম বেড়েছে ডলারের, আর তাই আগের চেয়ে বেশি মূলধন দরকার হচ্ছে আমদানীকারক কিংবা পরিবেশকদের। ডলার রেট বাড়ায় বেশি হুমকির সম্মুক্ষীন হয়েছে তুলনামূলক মাঝারী এবং ছোট কোম্পানীগুলো। অনেকটা দ্বিধা-দ্বন্দেই আছেন তারা। এমতাবস্থায় আমদামীর পর যদি ডলার রেট কমে যায় তাহলে পণ্য বিক্রি করে লাভের তুলনায় ক্ষতির মুখেই পড়তে হতে পারে তাদের। তাই অনেকেই অপেক্ষায় আছেন সার্বিক পরিস্থিতির। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আপাততঃ কোন আমদানী করবে না বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বেশ কিছু দিন ধরে।
ইতোঃমধ্যে ক্রেতা পর্যায়ে মার্কেটে কয়েকটি ব্রান্ডের ইঞ্জিন অয়েলের ঘাটতিও চোখে পড়েছে। বিশেষ করে যে ব্রান্ডগুলো সরাসরি ইউরোপ থেকে আমদানী হয় সেগুলোর সব প্রডাক্ট মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে না।
যদিও ধারণা করা হয়, বাংলাদেশে সকল ব্রান্ড (নামকরা এবং সাধারণ মানের প্রায় ২৫০টি ব্রান্ড সহ) মিলে যে পরিমাণ লুব্রিকেন্ট মজুত আছে, তা দিয়ে প্রায় ৬ মাস দেশের লুব্রিকেটের চাহিদা পূরণ হবে।
শুধু লুব্রিকেন্ট নয় বরং পুরো অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির চিত্রটাই এখন এমন। ইতোঃমধ্যে দাম বেড়েছে বেশ কিছু মোটরসাইকেলের। শীঘ্রই হয়তো বাড়ছে মোটরসাইকেল এক্সিসরিসের দামও।
- শেল এডভান্স কিনে মালয়েশিয়া মটোজিপি টিকেট জেতার সুযোগ - আগস্ট ১৪, ২০২৩
- Bike Lock Combo: চুরি অসম্ভব? বাইকের ব্যাটারী ১০০% নিরাপদ? - জুলাই ২৪, ২০২৩
- ক্যাশব্যাক ও EMI অফারে বাইক কেনার সুযোগ দিছে টিভিএস সেলস পয়েন্ট - জুলাই ১৯, ২০২৩