সার্টিফাইড হেলমেট ছাড়া বাইক রাইডিং ঝুঁকিপূর্ণ (দূর্ঘটনায় ৭০% বাইকারের মৃত্যু হয় শুধু মাত্র মাথায় আঘাতে)

হেলমেট বাইক রাইডারদের জন্য একটি অত্যবশ্যকীয় উপকরন। যদি আমরা সেফটি গিয়ারের কথা আলোচনা করি তাহলে প্রথমেই আসে হেলমেটের কথা। হেলমেট শুধু সেফটি গিয়ার নয় একজন রাইডারকে দেয় প্রিমিয়াম লুক দেয়। এক জরিপে দেখা যায় প্রতি বছর সড়ক দূর্ঘটনায় ৭০% রাইডারের মৃত্যু হয় শুধু মাত্র মাথায় আঘাত পাওয়ার কারনে। ইদানিং লক্ষ্য করলে দেখা যায় ঢাকা সহ মেট্রোপলিটন এলাকা সমূহে হেলমেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, শুধুমাত্র রাইডারের হেলমেট নয় পিলিয়নের হেলমেট পরাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের হেলমেট দেখা যায় এর সবগুলো ভালো মানের হেলমেট নয়। একজন রাইডার ও তার পিলিয়নের জন্য অবশ্যই ভালো মানের ও ভালো ব্র্যন্ডের হেলমেট ব্যবহার করা উচিৎ। মাথার সেফটির জন্য হেলমেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন জিনিস তাই হেলমেট দেখে বুঝে কেনা উচিৎ। বাংলাদেশের বাজারে সকল হেলমেট মানসম্মত নয় তাই হেলমেটের কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই যাচাইবাছাই করে ভালো ব্র্যান্ডের হেলমেট কেনা উচিৎ।

আমাদের দেশের বাজারে ফুল ফেস, হাফ শেল, ডুয়াল স্পোর্ট, মডুলার ও ওপেন ফেস সব ধরনের হেলমেট পাওয়া যায়। হেলমেট কিনতে গেলে যে প্রশ্নটা সর্বপ্রথম আসে তা হলো এর মান নিয়ে। বাংলাদেশের সব হেলমেট কি মানসম্মত? এর উওর হলো না। বাংলাদেশে সব হেলমেট মানসম্মত নয় বরং অনেক নিম্ন মানের হেলমেট বাজার দখল করে আছে। হেলমেট কিনতে গেলে কিছু জিনিস মাথায় রাখা উচিৎ।

হেলমেটের নিড়াপত্তা নিশ্চিতকারী প্রতিষ্ঠান সমূহঃ 

১। DOT – ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্টেশন, আমেরিকার এই প্রতিষ্ঠান হেলমেটের জন্য কিছু নূন্যতম মান ঠিক করে দিয়েছে। একটি মোটামোটি হেলমেটের জন্য এই ধাপ গুলো পার করতে হয়।

২। ECE22.02 – ECE  হলো ইউরোপের একটি প্রতিষ্ঠান এর পূর্নরুপ হলো ইকোনোমিক কমিশন ফর ইউরোপ। এই প্রতিষ্ঠানো হেলমেটের জন্য কিছু নূন্যতম মান ঠিক করে দিয়েছে।

৩। Snell 2010 –  Snell হলো একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, স্নেল নামক একজন ড্রাইভারের মৃত্যুর পর এই প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানো হেলমেট নিয়ে কাজ করে এবং হেলমেটের মান ঠিক করে দেয়।

একটি ভালো হেলমেট অবশ্যই DOT, ECE, ও Snell সার্টিফাইড হতে হয়। বাংলাদেশে যে হেলমেট সমূহ পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই সার্টিফাইড হেলমেট নয় এবং কিছু অথেনটিক শপ ছাড়া ভালো ব্র্যান্ড হেলমেট পাওয়াই দুষ্কর। পৃথীবির নামকরা হেলমেট ব্র্যান্ডগুলো হলো, এজিভি, বিলমোলা, এস এম কে, এম টি, কে ওয়াই টি, সোল, এল এস টু ইত্যাদি। এর মধ্যে প্রায় সবগুলো ব্র্যান্ডরই হেলমেট বাংলাদেশে রয়েছে কিন্তু আমরা বেশিরভাগ মানুষই এইসব ব্র্যান্ডের সাথে পরিচিত নই। তাই যে কোন হেলমেট কিনি যা আমাদের সেফটি দিতে ব্যর্থ হয়।

লাখ টাকা দিয়ে আমরা মোটরসাইকেল কিনি কিন্তু একটি ভাল মানের হেলমেট কিনতে আমরা অধিকাংশই বেশ কৃপণ ভূমিকা পালন করি। ৫০০০ থেকে ৬০০০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে মোটামোটি ভাল মানের হেলমেট পাওয়া যায়। আর অবশ্যই ফুল ফেস হেলমেটটি আপনার পছন্দের তালিকায় রাখুন কারণ এটি আপনাকে সবচেয়ে নিরাপদ রাখবে। হেলমেট কেনার সময় অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হেলমেট কেনা উচিৎ কারন এটি আপনার এবং আপনার সঙ্গীর নিড়াপত্তা দেয়। অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের পরিধান করা উচিৎ কারন যেকোন হেলমেট নয় একটি ভালো হেলমেটই পারে আপনার জীবন বাঁচাতে। তাই দেখে শুনে ভালো ব্র্যান্ডের হেলমেট পরিধান করুন, সেফটি নিশ্চিত করুন।

Related Posts

error: Content is protected !!