বাংলাদেশে ইয়ামাহার সবচেয়ে বেশি বিক্রিত এবং জনপ্রিয় মোটরসাইকেল সিরিজ হচ্ছে FZ এবং FZS. ইয়ামাহার অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর এসিআই মটরস লিমিটেড তাদের এই FZS সিরিজ দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বাজারে রাজত্ব করে আসছে। করোনাকালিন সময়ের পরে প্রায় দীর্ঘ ৫ মাস তাদের এই FZS সিরিজের কোন মোটরসাইকেল বাজারে এভেইলেবল ছিল না কিন্তু এর চাহিদা অনেক বেশি থাকায় তারা আবারো বাজারে নিয়ে আসছে গত বছর ভারতে স্টক-আউট হয়ে যাওয়া FZs এবং Fazer V2। তবে শোনা যাচ্ছে এই স্টকের পরে আর কোন FZS V2 এবং Fazar V2 বাজারে আসবে না। এটিই হতে পারে ইয়ামাহা FZS V2, Fazer V2 এর সর্বশেষ স্টক।
FZ এবং Fazer সিরিজ ইয়ামাহা প্রথম নিয়ে আসে ২০০৮ সালে, ঠিক সেই সময় থেকেই এর প্রতি মানুষের চাহিদা অনেক বেশি ছিল। প্রথম ভার্সনটি কার্বুরেটর হলেও এর পরের সব ভার্সনগুলোতে তারা নিয়ে আসে ফুয়েল ইঞ্জেকশন টেকনোলজ। ইয়ামাহা তাদের FZS V2 এবং Fazer V2 বাজারে নিয়ে আসে ২০১৪ এর মাঝামাঝি সময়। বাংলাদেশে এই দুটি বাইক অফিসিয়ালি আসতে বেশ সময় লেগে যায়। ২০১৬ সালে এসিআই মটরস ইয়ামাহার সাথে যাত্রা শুরু করার সময় এই FZs V2 এবং Fazer V2 বাংলাদেশে আসে।
বাংলাদেশের বাজারে প্রথম FI ইঞ্জিন বাইক হিসেবে এই Yamaha FZ V2 শুরু থেকেই ব্যাপক চাহিদা তৈরি করে। FZS এবং Fazer সিরিজের প্রতিটি বাইক ব্রেকিং, কম্ফোর্ট এবং ব্যালেন্স এর জন্য চমৎকার। পরবর্তিতে ২০১৮ সালে এসিআই মোটরস লিমিটেড ইয়ামাহা FZs V2 এর নতুন গ্রাফিক্স এবং ডাবল ডিস্ক ভার্সন নিয়ে আসে। এই সিরিজের সর্বশেষ আপডেট বাজারে আসে ২০১৯ সালে FZs V3 লঞ্চিং এর মাধ্যমে। বাজারে FZs V3 এভেইলেবল হলেও FZs V2 এর চাহিদার কোন কমতি ছিল না। অন্যদিকে এর দামও কিছুটা কম ছিল।
Yamaha FZS V2 DD এবং Fazer V2-তে ব্যবহার করা হয়েছে ১৪৯ সিসির এফআই ইঞ্জিন যা বেশ মাইলজে সহায়ক। ইয়ামাহার Fazer V2, FZS V2 এর ব্যাপক চাহিদার অন্যতম কারণ হচ্ছে এর রাইডিং পজিশন, ব্রেকিং-ব্যালেন্স এবং মাইলেজ।
চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় অনেকটাই বিপাকে ছিল বাংলাদেশে ইয়ামাহার একমাত্র অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর এসিআই মটরস লিমিটেড। শোনা যাচ্ছে আসছে লটই এই দু’টি বাইকের সর্বশেষ শিপমেন্ট। তবে আশার বিষয় এই যে, ইতোমধ্যে বাজারে এর জায়গায় এসেছে এবিএস ব্রেকিং সমৃদ্ধ Yamaha FZs V3.
বর্তমানে FZs DD এর মূল্য ২,৩০,০০০ টাকা এবং Fazer V2 এর মূল্য ২,৭১,০০০ টাকা। চলতি মাসে FZs DD এর মূল্য খানিকটা বৃদ্ধিও করেছে এসিআই। স্টক সীমিত। সুতরাং এই বাইকগুলো কিনতে কিংবা বুকিং করতে চলে যেতে হবে দেশের যে কোন ইয়ামাহার শো-রুমে।
- Hero Hunk DD ১৭০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ ( লিখেছেন- শান্ত) - এপ্রিল ২, ২০২৪
- Hero Hunk ১০,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ফাহিম হোসেন তপু) - মার্চ ১১, ২০২৪
- Hero Hunk ৪২,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ইফাজ আহমেদ) - মার্চ ১০, ২০২৪