GPX DEMON GR 165RR ইউজার রিভিউ

বাংলাদেশের স্পোর্টস বাইক গুলোর মধ্যে অন্যতম ও গুড লুকিং একটা বাইক GPX DEMON GR 165 RR. স্পোর্টস বাইক লাভারদের প্রথম দেখাতেই প্রেমে পরার মতো একটা বাইক এটি। আমিও এই বাইকটি করেছি এর আকর্ষণীয় লুক এবং ফিচার দেখে। বাইকটির কিছু ভালো ও খারাপ দিক নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

আগে খারাপ দিকগুলো বর্ণনা করিঃ

১। পিছনে গ্র‍্যাবনিল না থাকায় বাইকটি ছোট জায়গায় ঘুরানো কঠিন।

২। ট্রিপ মিটার মাত্র একটি, সেক্ষেত্রে আমার ইঞ্জিন ওয়েল ও তেলের হিসাব রাখা কষ্টকর।

৩। ইঞ্জিনে কিছুটা ভাইব্রেশন আছে তবে সেটা সহনীয় ( আমার কাছে মনে হয়েছে)।

৪। হেডলাইটের আলো অনেকটাই কম লেগেছে, যদিও R15-v3, Hornet & X-Blade এর চেয়ে বেশিই কিন্তু আমি আগে 4v abs ব্যবহার করতাম সেই তুলনায় অনেক কম।

৫। ইঞ্জিন ওয়েল ফিল্টার ও কুলান্ট পরিবর্তন করতে বডি কিট খুলতে হয়।

৬। প্রথম দিকে ইঞ্জিন প্রচুর হিট হতো কিন্তু এখন ৬৮-৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর উপরে সচারাচর হয় না। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের ইঞ্জিন ওয়েল ও কুলান্ট ব্যবহার করতে হবে।

৭। লুকিং গ্লাস বারবার মুভ করার ফলে লুজ হয়ে ওয়াসার কেটে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ওয়াসার পরিবর্তন করার ফলে ঠিক হয়েছে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি ওয়াসার কেটে যাওয়া আশা করিনি।

৮। সবচেয়ে বড় সমস্যা কর্দমাক্ত মাটিতে চাকা স্কিড করে।

৯। হ্যান্ডেলবারের বাম পাশের সুইচ গুলো একটু দূরে মনে হয়েছে।

১০। গ্র‍্যাবনিল না থাকায় পিলিয়ন নিয়ে রাইট করাটা একটু কষ্টসাধ্য। এছাড়াও গ্র‍্যাবনিলের অনুপস্থিতির জন্য ব্যাগ অথবা অন্যান্য পণ্য ক্যারি করা একটু কষ্টসাধ্য।

আসলে কোন স্পোর্টস বাইকই ১০০% তৃপ্তি দিবে না আপনাকে। তাই ছোটখাটো কিছু দোষ ত্রুটি ওভারলুক করাই যায়।

এবার আসি বাইকের ভালো দিক গুলো নিয়েঃ 

১। লুকিং ও বিল্ড কোয়ালিটি দামের তুলনায় অনেক অনেক ভালো।

২। আমি কখনো কোন বাইকে টপ চেক করিনা। তাই স্পীড তুলিনি তবে যেটা পেয়েছি তাতে মনে হয়েছে ইঞ্জিন টা যথেষ্ট টান তোলার ক্ষমতা রাখে৷

৩। স্পোর্টস বাইক হওয়া সত্ত্বেও বাইকটি চালিয়ে হাতে কোন পেইন হয় নি। সাধারণত স্পোর্টস বাইক চালিয়ে কমফোর্ট পাওয়া যায় না।

৪। বাইকের মাইলেজ অনেক ভালো পেয়েছি প্রায় ৪৩ কিলোমিটার প্রতি লিটারে মাইলেজ পেয়েছি।

৫। লুকিং গ্লাসের ভিউ টা যথেষ্ট আসে।

৬। ইনস্ট্যান্ট থ্রোটল অনেক ভালো।

৭। স্পোর্টস সেগমেন্ট এর মধ্যে বেশ গুড লুকিং একটি বাইক।

৮। বাইকের সিট যথেষ্ট আরামদায়ক।

৯। একজস্ট নোট বেশ চমৎকার। একটা রেসিং ফিল পাওয়া যায় বাইকটি চালানোর সময়।

১০। কালার কোয়ালিটি অনেক ভালো।

১১। বাইকের মিটারটি বেশ আকর্ষণীয়। এবং ডিটেইল সমৃদ্ধ।

সবকিছু মিলিয়ে যে সকল খারাপ দিক পেয়েছি সেগুলো তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট না তাই বাইক টাতে আমি সন্তুষ্ট। অনেকেরই ধারণা GPX চায়না বাইক বা লিফানের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের অবগতির জন্য বলছি GPX থাইল্যান্ডের বাইক তবে এটি এসেম্বল হয় আমাদের দেশে, যে কারণে কোম্পানি বাইকটি এতো কম মূল্যে বাইকটি বাজারে দিতে পারছে।

লিখেছেন: মোঃ শাকিলুর রহমান

অলি আহাদ খান
Latest posts by অলি আহাদ খান (see all)

Related Posts

Add Comment

রিপ্লে দিন

error: Content is protected !!