মোটরসাইকেলের উপর ভ্যাটের পরিমাণ কমানো হোক (মোটরসাইকেলিস্টদের দাবী)

মোটরসাইকেলের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যান্ত্রিক নগরে জ্যামের হাত থেকে বাঁচতে কিংবা দূরের যাত্রায় বর্তমানে মোটরসাইকেল অন্যতম প্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে দাড়িয়েছে। দিনে দিনে বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের হার বাড়ছে এবং নতুন নতুন ক্রেতা বিভিন্ন ধরনের মোটরসাইকেল কিনতে আগ্রহী হচ্ছে। বাংলাদেশের বাজারে নতুন মোটরসাইকেলে ক্রেতার হার দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমানে রাইড শেয়ার এপস এর কল্যানে মোটরসাইকেলের বাজারে যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা।

বাংলাদেশের মার্কেটে রয়েছে নানা রকম মোটর বাইক কোম্পানী। ইন্ডিয়ান মোটরসাইকেল কোম্পানীগুলোর সাথে জাপানিজ ও চায়না ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশী বাজারে অনেক প্রভাব বিস্তার করছে। ইন্ডিয়ান বাইক কোম্পানীগুলোর মধ্যে টিভিএস, হিরো, মাহিন্দ্রা, বাজাজ ইত্যাদি বাইক কোম্পানীগুলো বাংলাদেশে দেখা যায়, জাপানিজ কোম্পানীগুলোর মধ্যে ইয়ামাহা, সুজুকি, হোন্ডা বাংলাদেশী বাজারে আছে। বিভিন্ন আমদানীকারক কোম্পানী বাংলাদেশে চাইনিজ ও বিভিন্ন দেশি বাইক আমদানি করে থাকে। তাছাড়া বাংলাদেশী কোম্পানী রানার ও রোডমাস্টার বাংলাদেশী বাজারে ভালো অবস্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশে বাইকের একটি সুবিশাল বাজার থাকলেও বাইক কেনার মূল অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে ট্যাক্স। বাংলাদেশে বাইকের ট্যাক্স ১৫১% যা আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারতের তুলোনায় অনেক বেশি। বাংলাদেশে মোটরসাইকেল আসে প্রধানত দুই ভাবে সিকেডি ও সিবিইউ আকারে। সিকেডি হল (কমপ্লিটলি নকড ডাউন বাইক) অর্থাৎ এই বাইকের পার্টস বাংলাদেশে এনে আসেম্বল করা হয়, আর সিবিইউ হল (কপ্লিটলি বিল্ড আপ) অর্থাৎ এই বাইক সম্পূর্ন তৈরি হয়ে বাংলাদেশে আসে। সিকেডি বাইকের ভ্যাট কিছুটা কম হলেও সিবিইউ বাইকের ভ্যাট বাংলাদেশে ১৫১% যা মাত্রাতিরিক্ত। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আমাদের তুলোনায় অনেক কম যা মাত্র ১০% – ১৫% । বাংলাদেশে ট্যাক্সের কারনে অনেক নতুন ক্রেতা বাইক কিনতে পারছেন না বা অনেকেই অনেক বেশি বাজেট দিয়ে মাঝারি ফিচারের বাইক কিনছেন ।

বাংলাদেশে বাইকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিনে দিনে এবং অনেকেই বাইক কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন কিন্তু ট্যাক্স ও সিসি লিমিটের কারনে দেখা যাচ্ছে অনেকেই অনাগ্রহী হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে ঢাকা শহরে প্রতিনিয়ত মানুষকে জ্যাম পাড়ি দিয়ে ঘরে ফিরতে হয় কিংবা কর্মক্ষেত্রে যেতে হয় এতে মোটর সাইকেল একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশে ট্যাক্সের জন্য অনেকেই বাইক কিনতে অনাগ্রহী হয়ে পড়ছেন বা সাধ্যের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী বাইক কিনতে পারছেন না এতে করে বাংলাদেশের মোটরসাইকেল বাজার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

বর্তমানে মোটরসাইকেল একটি নিত্য প্রয়জনীয় বস্তুতে রুপ নিয়েছে এবং বাংলাদেশে মোটরসাইকেলিং এর জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বাড়ছে। বাংলাদেশে এখন বিভিন্ন মোটরসাইকেল গ্রুপ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে এবং ছুটে চলছে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। উন্নয়নশীল ও মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের এখনই মোটরসাইকেলের ট্যাক্স নিয়ে ভাবা উচিৎ।