লিফানের জন্ম ও ইতিহাস (ইয়ান মিশানের উদ্দ্যোগ এবং সাফল্য গল্প)

লিফান ইন্ডাস্ট্রিজ (গ্রুপ) কোং লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ১৯৯২ সালে। Yin Minshan (ইয়ান মিশান) মাত্র ৯ জন ব্যাক্তি ও মাত্র ২০,০০০ ইউয়ান (বাংলাদেশী মুদ্রায় মাত্র ২,৫০,৫২২ টাকা) পুঁজি নিয়ে তাদের ব্যবসা শুরু করে। কঠোর পরিশ্রমের ফলে মাত্র ১৭ বছরেই তারা তাদের উন্নতির শিখরে পৌঁছে যায়। লিফান মূলত বৈজ্ঞানিক গবেষণা উন্নয়ন, ইঞ্জিন তৈরী, মোটরসাইকেল ও অটোমোবাইল উৎপাদন করে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৬০ টি দেশে তাদের পন্য বিক্রয় করে। চীনের পাশাপাশি ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মিশর, উরুগুয়ে, রাশিয়া তে তাদের মোটরসাইকেল কারখানা বিদ্যমান।

লিফান তাদের বৈজ্ঞানিক গবেষনায় সব চাইতে বেশী সাফল্য পায় তাদের মোটরসাইকেল এর মাধ্যমে। ১৯৯২ সালে মূলত চংকিং হংডা অটো ফিটিংস রিসার্চ সেন্টার নামে পরিচিত ছিলো। যা পরবর্তী বছর গুলোতে পঞ্চম বৃহত্তম চীনা মোটর সাইকেল প্রস্তুতকারক হয়ে উঠে। ১৯৯৭ সালে এর নামকরন করা হয় লিফান ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ। লিফান গ্রুপ সকল শ্রেনী ও পেশাজীবিদের কথা মাথায় রেখে তারা বাজারে বেশ কিছু মডেল এর বাইক আনে। নিম্নে এদের বণর্না দেওয়া হলোঃ

Street Bike

KP 200 (LF250-3R):
আপনি যদি স্পিড ভালোবাসেন তাহলে এই বাইক টি আপনার মন কেড়ে নিবে। ২৫০ সিসি NRF ইঞ্জিনে এর সাথে ৬টি গিয়ার সিস্টেম দিবে অন্যরকম অনূভতি।

KP M200 (LF 200-3B):
সিঙ্গেল সিলিন্ডারের ওয়াটার কুলেড, ফোর স্ট্রোক ১৯৮ সিসির ইঞ্জিন সম্বলিত এই নেকেড বাইকটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর। এছাড়া ইউনিক অন ট্যাংক এলসিডি স্পিডমিটার চালনায় আপনাকে অন্যরকম অনূভুতি দিবে।

KPT 200 (LF200-10D):
ভার্টিকাল সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ওয়াটার কুলেড ফোর স্ট্রোক ১৯৮ সি,সি ইঞ্জিন দিয়ে তৈরী এই টুরিস্ট বাইক। যা আমাদের দেশে কর্নভার্ট হয়ে KPT 150 এসেছে।

KPS200 (LF200-10R):
এটি একটি ভার্টিকাল সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ওয়াটার কুলেড ফোর স্ট্রোক ১৯৮ সি,সি ইঞ্জিন দিয়ে তৈরীকৃত ইঞ্জিন। হাই সিটিং পজিশন ও ৬টি গিয়ারে এর পারফমেন্স অন্যতম।

KPR200 (LF200-10P):
ভার্টিকাল সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ওয়াটার কুলেড ফোর স্ট্রোক ১৯৮ সি,সি ইঞ্জিন দিয়ে তৈরীকৃত এর ইঞ্জিন। অসাধারণ লুকিং এর জন্য এবং ট্রাক ইডিশনে এর বৃস্তিত থাকায় জনপ্রিয়তা অনেক। আমাদের দেশে বর্তমানে KPR 165 এর ফুয়েল ইনজেকশন ও কার্বোরেটর ভার্সনটি বেশ পরিচিত একটি বাইক।

KP200 (LF200-10B (II):
ভার্টিকাল সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ওয়াটার কুলেড ফোর স্ট্রোক ১৯৮সি,সি ও অপর ভার্সন এর ১৫৬ সিসির তৈরীকৃত ইঞ্জিন। দুটো ইডিশনের এই বাইকে ডাবল ডিস্ক ব্রেক সহ রয়েছে অসাধারণ সিটিং পজিশন।

KPR 165 (LF165-1):
ফুয়েল ইনজেকশান সুবিধা সহ, ওয়াটার কুলিং ফোর স্টেক ইঞ্জিন রয়েছে এতে। যার ইঞ্জিন সাউন্ড এন্ড স্টাইলিস আপনাকে রীতিমত মুগ্ধ করবে।

SS3 (LF150-10M):
সিঙ্গেল সিলিন্ডারের এয়ার কুলিং ১৪৯ সিসি ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন রয়েছে এতে। অসাধারণ ডিজাইনের কারণে এটি দেখতে অনেক সুন্দর, যার সর্বোচ্চ গতি ৯৮ কি,মি।
AMAZING 150 (LF150-2C IV):
Lifan এর এই বাইকটি সিঙ্গেল সিলিন্ডারের এয়ার কুলিং ১৪৯ সিসি ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন। দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের উপযোগী করেই এই বাইকটি তৈরী করা হয়েছে।

TIBETAN 200 (LF200-16P):
এটি একটি ভার্টিক্যাল সিঙ্গেল সিলিন্ডারের ইঞ্জিনের বাইক। যার আছে পাঁচটি গিয়ার ও প্রসস্থ সিটিং পজিশন।

RX200 z2 (LF200-16D):
Lifan এই বাইকটি প্রধানত দুই সিগমেন্টে বাজারে আনে। একটি ১৫০ সিসি, অপরটি ২০০ সিসি। ৫টি গিয়ার সহ এর অসাধারণ মাইলেজের জন্য এটি বেশ জনপ্রিয়।

KPR150 (LF150-10S):
আমাদের দেশে সবচাইতে বেশী এই বাইটি দিয়েই LIFAN এর প্রথম পথ চলা। ভার্টিকেল সিঙ্গেল সিলিন্ডারের ওয়াটার কুলিং ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন। সাথে আছে ডাবল ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম এন্ড অসাধারণ লুকিং।

CCR 150/125 (LF150-2E) (LF125-2E):
লিফান ১৫০ সিসি ও ১২৫ সিসি দুটো সিগমেন্টে এই বাইকটি বাজারে আনে। ডিস্ক ও ড্রাম ব্রেকিং কম্ভিশনে এর রয়েছে মোট ৫টি গিয়ার সিস্টেম।

এছাড়াও Street Bike এর মাঝে Homas 150 (LF150-2D), CCS150(LF 150- 3H), Road BAR 150 (LF 150-13H), Hunter 150 (LF150-13), CC150 (II), CSIII (LF150-5A), EM 150L (LF150-2), KP150F (LF150-10F), KP150 (LF150-10B), LF150-K, Camel 125 (LF125-2C II), CC115 (LF125-2C), LF125-2J, LF125-5, LF125-3, PK125(LF125-5E), Glow 110s (LF110-3S), Glow 100 (LF100-3N) ও GLINT 100 (LF100-3R) মডেল গুলো।

Cruisers Bike:

V16 (LF250-E):
ভি টুইন ডাবল সিলিন্ডারের ২৫০ সিসি ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন নিয়ে তৈরী এটি। তাছাড়া ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম ব্রেকিং, যা এটাকে অসাধারণ একটি বাইক হিসেবে পরিচিতি দান করেছে।
CUSTOM V 250 (LF250-P):
LIFAN এই বাইকটি বাজারে আনে ভি টুইন ডাবল সিলিন্ডারের ২৫০ সিসি ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন দিয়ে তৈরী করে। ৫টি গিয়ার সম্বলিত যার টপ স্পিড ১১৫ কি,মি।

LF250-4:
ভার্টক্যাল ডাবল সিলিন্ডারের এয়ার কুলিং সিস্টেম ফোর স্ট্রোক ২৫০ সিসি ইঞ্জিনে তৈরী এটি। যার ফ্রন্ট ব্রেক ডিস্ক এন্ড রিয়েল ব্রেক ড্রাম সিস্টেম।

LF150-11/ LF150-14/ LF125-14F:
মোট তিনটি সিগমেন্টে এই বাইকটি বাজারে আনে লিফান, ১৫০, ১২৫ সিসি ও এয়ার এন্ড ওয়াটার কুলিং। আমাদের দেশের ট্রাফিক পুলিশদের এই বাইকটি এখন ব্যবহার করতে দেখা যায়।

এছাড়াও C-MAN3 (LF125-7A), LF125-7J ও LF125-7 লিফানের অন্যতম বাইক।

Dirt Bike

X-PECT 200 (LF200GY-4):
ভার্টিক্যাল সিঙ্গেল সিলিন্ডারের এয়ারকুলেড ইঞ্জিনের বাইকটি যে কোন মোটর ক্রস লাভারের সেরার টপ তালিকায়। গতির চাইতে ইনিশিয়াল পাওয়ার একে আরো দূর্দান্ত করে তোলে যে কোন ট্রাকে।

X-PLORE 200Y(LF200GY-3B) & LF150GY-3B:
এই সিগমেন্ট এর মোট দুটো বাইক বাজারে রয়েছে। অফ রোড এন্ড অন রোডের জন্য এর আছে ভিন্ন ক্যাটাগরির দুটো টায়ার সিগমেন্টও। যার হাইট ৮৮০ (অফ রোড) এন্ড ৮৫০ (অন রোড)

XPLORE 150M (LF150GY-3B):
মোটর ক্রসে লিফানের অন্যতম কালেকশন হচ্ছে এটি৷ সিঙ্গেল সিলিন্ডারের এয়ার কুলেড ফোর স্ট্রোকের ইঞ্জিন রয়েছে এতে। যা যথাক্রমে ১৫০ ও ২০০ সিসি তে শ্রেনীবদ্ধ।

LF125GY:
১২৫ সি সির কারণে অনেকেই বেশ সাচ্ছন্দ্যবোধ করে এটি ব্যবহার করে। ভার্টিক্যাল সিঙ্গেল সিলিন্ডারের এয়ারকুলেড ইঞ্জিনের বাইকটি।

LF70GY-3:
হ্যারোজেন্টাল সিঙ্গেল সিলিন্ডারের ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিণের বাইক এটি। সাধারণত সৌখিন মানুষ স্বল্প দৈর্ঘ্যের যাতায়াতের জন্য এটি বেশ জনপ্রিয় একটি বাইক। যার ওজন মাত্র ৭৪ কে,জি।

Mini Series

KPMini 150 (LF150-5U):
ছোট কিছুর মাঝে যদি আপনি অনেক বেশী কিছু চান তাহলে আপনাকে এই বাইকটি পছন্দ করতে হবে। যার ভার্টিক্যাল সিঙ্গেল সিলিন্ডারের এয়ারকুলেড ইঞ্জিনের বাইক। সাথে আছে ৫গেয়ার ও ডাবল ডিস্ক ব্রেক। যার উচ্চতা মাত্র ৭৩০ মি,মি।

RBX150 (LF150-5D):
ডাবল ডিস্ক এই ছোট আকারের বাইকটি সর্বপ্রথম আপনার দৃষ্টি কাড়বে এর টায়ারের জন্য। যার (Front 120/70-12)
(Rear 130/70-12)।

PONY 100 (II) (LF100-C(II):
ভার্টিক্যাল সিঙ্গেল সিলিন্ডারের এয়ারকুলেড ফোর স্ট্রোকের ইঞ্জিনের ১০০ সিসির বাইকটি দেখতে অনেকটাই ছোট আকারের। তবে ১২০/১১০ মোটা টায়ার আপনাকে নিরাশ করবে না।

PONY 100 (I) (LF100-C(I):
ভার্টিক্যাল সিঙ্গেল সিলিন্ডারের এয়ারকুলেড ফোর স্ট্রোকের ইঞ্জিন রয়েছে এতে৷ সাথে ডাবল ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম।

CUB
PK125M (LF125-26D):
EFI ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেমের অটো ক্লাচে সহ ফোর স্ট্রোকের বাইকটি দূর্দান্ত দেখতে৷ যার টপ স্পিড-৯৩।

Hero 125 (LF125-26B(II):
সিঙ্গেল এযার কুলেড ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন দিয়ে অটো ক্লাচের বাইকটি দেখতেও চমৎকার।

Hero 125 (LF 125-26B):
সিঙ্গেল এযার কুলেড ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন দিয়ে অটো ক্লাচের বাইকটি তৈরী।

PKS110 (LF110-26B (II):

এই বাইকটিও সিঙ্গেল এয়ার কুলেড ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন এর অটো ক্লাচ। যার সিসি ১১০, টপ-৮৫ কি,মি (ঘন্টায়)

এছাড়াও লিফান বাজারে আনেন PK110 (LF110-26B), PK110F (LF110-26C)
ARES 110(LF110-26H), DUKE(LF110-26B (II),
JOJO 110(LF110-7D),
SHOWING 110(LF-11H), LF110-2G, LF100-A ও LF50Q-2 CUB বাইক গুলো।

Scooter:
STEED 250 (LF250T-19A):
এটি লিফানের সবচাইতে উন্নত টেকনোলজির স্কুটার। ওয়াটার কুলিং সহ এতে রয়েছ ২৫০ সিসি ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন।

S-POWER (LF150T-26C):
অটো ক্লাসের ফোর স্ট্রোক এয়ার কুলিং ১৫০ সিসির ইঞ্জিন রয়েছে এতে। যার সর্বোচ্চ গতি ৮৮ কিমি।

TB125 (LF125T-15):
সিঙ্গেল সিলিন্ডারের অটো ক্লাসের ফোর স্ট্রোক এয়ার কুলিং ১২৫ সিসির ইঞ্জিন রয়েছে এই স্কুটারে। যার সর্বোচ্চ গতি ৮৫ কিমি।

AMARANTINE (LF125T-C):
অটোমেটিক/অটোক্লাচ ফোর স্ট্রোক ১২৫ সিসি ইঞ্জিণ রয়েছে এতে৷ যার লুকিং এ রেয়েছে অনেকটা ক্লাসিকের ছোয়া।

S-RAY(LF125T-26):
এটি তৈরী সিঙ্গেল সিলিন্ডারের এয়ার কুলিং ১২৫ সিসি ইঞ্জিন দিয়ে। যার সর্বোচ্চ গতি ৮৮ কি,মি।

TRAVELLER (LF125T-9R):
সিঙ্গেল সিলিন্ডারের এয়ার কুলিং ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন রয়েছে এতে। যার রেয়ার এন্ড ফ্রান্ট টায়ার যথাক্রমে ১২০/৮০-১৬।

COOL STAR125 (LF125T-B):
অটো ক্লাস সম্বলিত এই বাইকটি সিঙ্গেল সিলিন্ডারের এয়ার কুলিং সিস্টেম ১২৫ সিসি ইঞ্জিন।যার অটো ক্লাচ সম্বলিত এই বাইকের সব্বোর্চ গতি ৮৫ কি,মি।

E3 (LF1200DT):
এটি লিফানের একটি ইলেকট্রনিক বাইক। যার ব্যাটারীর ক্যাপাসিটি 60V24h। যা একবার চার্জ করে আপনি ১২৫ কিমি ঘুরে আসতে পারবেন।

বর্তমানে লিফান হাই সিসির বাইকের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছে। তাই সম্প্রতি বৎসরে লিফান KP500, ADV450 এবং KP 350 তিনটি বাইক বাজারে এনেছে লিফান৷ যার প্রতিটি লুকিং এন্ড গতি সকলের কাছে লিফান কে আরো জনপ্রিয় করে তুলবে।
সর্বপ্রথম Dream 100 cc cub model থেকে সর্বশেষ KP500 বাইক তৈরীতে তাদের বাইক নিয়ে অত্যাধুনিক গবেষণা তাদের আরো উন্নত থেকে উন্নতীত্বর করে তুলেছে।

লিফান বাইক তৈরীর পাশাপাশি বর্তমানে বিভিন্ন রকম প্রাইভেট গাড়ী তৈরী করে থাকেন।
লিফান বেশ কিছু সম্মানসূচক এওয়ার্ড পায়। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত চিংকিংয়ে ১০ টি উচ্চ প্রযুক্তির অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য ইয়ন মিংসান কে অসামান্য উদ্দ্যোক্তা শিরোনাম প্রদান করা হয়। এছাড়াও,

  • ১৯৯৯ সালে পুনরায় কর্মসংস্থান স্টার।
  • ২০০০ সালে বাউহিনিয়া কাপ।
  • চীন জেনারেল চেম্বার অফ কমার্স এওয়ার্ড।
  • ২০০১ সালে বিজয়ী গৌরব পুনরুজ্জীবিত পুরস্কার
  • ২০০২ সালে চীনের জাতীয় মানের ম্যানেজমেন্ট এওয়ার্ড।
  • ২০০৫ সালে চীনের চ্যারিটি এওয়ার্ড।

২৪ শে ডিসেম্বর ২০০৭ সালে চীনের শীর্ষ দশ ব্যাক্তির একজন ব্যাক্তিত্ব হিসেবে ইয়াং মিংসন এর নাম ঘোষনা করা হয়৷
বর্তমানে উরুগুয়ে অটোমোবাইল কারখানা `লিফান উরুগুয়ে অটোমোবাইল অ্যাসেম্বল প্ল্যান্ট এন্ড ইঞ্জিন ফ্যাক্টরী রয়েছে।
বাংলাদেশে, লিফান মোটরসাইকেলের প্রয়োজনীয়তা তার স্টাইলিশ চেহারা এবং যুক্তিসংগত মূল্যের কারণে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বাংলাদেশের লিফান বাইকের একমাত্র পরিবেশক। তারা প্রতিটি ক্লাসের বাইকের সাথে মূল্যের একটি নিখুত ব্যবস্থা যুক্ত করে। এই কারণে রাইডাররা তাদের ক্ষমতা পরিসরে স্টাইলিশ মোটরসাইকেল গুলি পাচ্ছে এবং এটি বিভিন্ন দেশে লিফান মোটরসাইকেল গুলির জনপ্রিয়তার প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। তবে আমার মতে আরো কিছু মূল্য কমালে লিফান বাইক সকল শ্রেণি-পেশাজীবি মানুষের জন্য উপকার হবে।

বর্তমানে প্রায় ১৩৬৫৩ শ্রমিক নিয়ে এটি প্রতি বৎসর ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) মটর সাইকেল এবং ২৫,০০,০০০ (পঁচিশ লক্ষ) ইঞ্জিন তৈরী করে। এছাড়াও লিফান গ্রুপের উৎপাদন তালিকা সহ যাত্রী গাড়ী, মাইক্রোভ্যান, ডার্ক মোটরসাইকেল, ইঞ্জিন, এন্ট্রি লেভেল মোটরসাইকেল, মিনি-যানবাহন, যানবাহন তৈরী করে থাকে। লিফান এর সদর দপ্তর চংকিং, চীনের অবস্থিত।

 

লিখেছেনঃ আবদুর রহমান মহসিন (গাজীপুর বাইকার্স)

 

Related Posts

error: Content is protected !!