বাইক চালাতে কি কি ডকুমন্টস লাগে

“ভালোবাসার কোনো বয়স নেই, প্রেমে পড়তে পারে যেকোনো বয়সের যেকোনো মানুষ” এই কথা একশো পার্সেন্ট সত্যি হয় বাইক ও বাইকার এর ক্ষেত্রে। যুগযুগ ধরে বাইক হয়ে আসছে কারো প্রিয়তম, কারোবা না পাওয়া ভালোবাসা। আবার কেউবা সুখ পাখিকে খুঁজতে বাইক নিয়ে ছুটে চলে মাইলকে মাইল। যে বাইকে ঘিরে এত কিছু, সেই বাইকটি রাস্তায় হ্যাসেল ফ্রি ভাবে চালাতে প্রয়োজন কিছু ডকুমেন্টস বা কাগজপত্রের। আজকের লেখাটি সাজানো হয়েছে সেই সব কাগজের ইনফর্মেশন নিয়ে।

বাইক রাস্তায় লিগ্যাল ভাবে চালাতে প্রয়োজন তিনটি ডকুমেন্টস: 

১) রেজিস্ট্রেশন কার্ড/ বুলু বুক/ অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ।

২) ট্যাক্স টোকেন।

৩) ড্রাইভিং লাইসেন্স।

আসুন এগুলো নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করি।

১) রেজিস্ট্রেশন কার্ড/ বুলু বুক/ অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ

রেজিস্ট্রেশন কার্ড/ বুলু বুক/ অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ হচ্ছে বাইকের পরিচয় পত্র। বাইক কেনার পর তা রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে নিতে হয় নিকটস্থ বিআরটিএ থেকে। রেজিস্ট্রেশন বিহীন বাইক রাস্তায় চলাচলের উপযোগী না বলে গণ্য করা হয়। এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি বাইক পায় নির্দিষ্ট একটি নাম্বার প্লেট ও একটি পরিচয়। তাই বাইক চালানোর ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। এই রেজিস্ট্রেশন করাতে প্রয়োজন হয় বাইকটির সকল তথ্য এবং বাইক চালকের বিভিন্ন তথ্যের। রেজিস্ট্রেশন এর জন্য আবেদনকৃত প্রত্যেকটি বাইক পায় একটি অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ। প্রাথমিক অবস্থায় এই স্লিপ দিয়ে বাইকটি রাস্তায় চালানো যায়। পরবর্তীতে এই স্লিপ নিয়ে দেয়া হয় একটি স্মার্ট কার্ড। যেটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড নামে পরিচিত। একজন বাইক চালককে, বাইক চালানোর সময় অবশ্যই এই কার্ডটি সাথে রাখতে হবে। কারণ এই কার্ডের মধ্যে থাকে বাইকের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্যাদি। বাইকটি যে লিগাল, এর প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা হয় এই কার্ডটি।

 

২) ট্যাক্স টোকেন

আমরা সকলেই জানি, যানবাহন চালানর এর ক্ষেত্রে গাড়ির মালিককে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কিছু ট্যাক্স, ভ্যাট দিতে হয়। এই ট্যাক্স প্রদানের প্রমাণ হিসেবে যে জিনিসটি সব সময় গাড়ির সাথে রাখতে হবে সেটা হলো ট্যাক্স টোকেন। ট্যাক্সটোকেন এর মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয় বাইক বা গাড়িটি নিদ্রিষ্ট সময়ের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ট্যাক্স প্রদান করেছে কিনা। বাইক বা গাড়ি চালানোর জন্য সব সময় ট্যাক্সটোকেন আপটু-ডেট রাখতে হবে এবং সেটা সাথে বহন করতে হবে।

 

৩) ড্রাইভিং লাইসেন্স

ড্রাইভিং লাইসেন্স হচ্ছে যানবাহন চালানোর অনুমতি পত্র। যানবাহন চালানোর জন্য চালকগণকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেশ কিছু নিয়ম এবং পরীক্ষার মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হয় বিআরটিএ থেকে। এই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে দেখা হয় ড্রাইভিং লাইসেন্সের এপ্লাই কারির বয়স, মেডিকেল সার্টিফিকেট, যানবাহন চালানোর সক্ষমতা, ট্রাফিক আইন ও রোড সাইন ইত্যাদি সম্পর্কিত জ্ঞান। বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ একজন চালককে প্রথমে দেয়া হয় বিআরটিএ কর্তৃক সত্যায়িত একটি স্লিপ এবং পরবর্তীতে দেয়া হয় একটি স্মার্ট কার্ড। এই কার্ডটি যানবাহন চালানোর সময় বহন করতে হবে। এই কার্ড দ্বারাই প্রমাণিত হয় আপনি যানবাহন চালনা ক্ষেত্রে উপযুক্ত কিনা।

 

উপরোক্ত তিনটি জিনিস ছাড়া কোনভাবেই বাইক চালানো আইন সংগত নয়। যদি এই তিনটি জিনিস আপনার কাছে না থাকে তাহলে আপনি বাইক চালানোর জন্য আইনী জামেলার সম্মুখীন হতে পারেন। সুতরাং, বাইক চালানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই উপরুক্ত তিনটি জিনিস আপনি আপনার সাথে রাখুন। এছাড়াও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে, একটি ভালো মানের হেলমেট এবং ভালো মানের সেফটি গিয়ার ছাড়া বাইক চালানো কখনোই উচিত নয়।

বাইক বা গাড়ির ১০০% অরিজিনাল পার্টস, বিভিন্ন ডেকোরেশন আইটেম ও ইঞ্জিন ওয়েল গুলো পেতে পারেন: vovopip.com এ 

 

অলি আহাদ খান
Latest posts by অলি আহাদ খান (see all)

Related Posts

Add Comment

রিপ্লে দিন

error: Content is protected !!