বাড়তে পারে মোটরসাইকেলের দাম

বর্তমান সময়ে যাতায়তের জন্য মোটরসাইকেলের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষকরে করোনা পরিস্থিতির কারনে সংক্রমন এড়াতে দৈনিক যাতায়তের জন্য দুই চাকার দিকেই মানুষ বেশি ঝুঁকছেন। যার ফলে বিগত এক বছরে বাংলাদেশের মোটরসাইকেল মার্কেট অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে মোটরসাইকেল কোম্পানিগুলো পর্যাপ্ত মোটরসাইকেল সরবরাহ করতে বেশ হিমহিম খাচ্ছে এবং যার প্রভাব পড়তে পারে এর দামের উপর।

বাংলাদেশে যত মোটরসাইকেল আমদানি করা হয় তার সিংহভাগই আসে আমাদের পার্শ্ববর্তি দেশ ভারত থেকে। ইন্ডিয়ান ব্রান্ডগুলো ছাড়াও জাপানিজ ব্রান্ডগুলোও তাদের বাইকগুলো ভারত থেকেই আমদানি করে থাকে। তবে বিগত কয়েক মাস থেকে করোনা সংক্রমন তাদের অর্থনীতিতে বেশ বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। ভারত সরকার লকডাউন থেকে শুরু করে অক্সিজেন উৎপাদন এবং সরবরাহেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। যার ফলে পন্য উৎপাদন কারখানাগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা অনেকাংশে কমে এসেছে এবং এর প্রভাব পড়েছে তাদের সাপ্লাই চেইনে।

শুধুতাই নয়, মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারন হতে পারে পরিবহন খরচ এবং বৈশ্বিক ডলারের মূল্য বৃদ্ধি। যার ফলে শুধুমাত্র বিদেশি কোম্পানিগুলো নয়, দেশিও কোম্পানিগুলোকে যন্ত্রাংশ আমদানিতে ব্যয় করতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। করোনা প্রভাবের কারনে এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ভারতের সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থা শিথিল করেছে। এর ফলে বাইক আমদানিতে গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা। এছাড়া চলমান ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে মোটরসাইকেল সেক্টরে যারা এসেম্বল করে কিংবা সিকেডি কন্ডিশনে বাইক আমদানি করে তাদের তেমন কোন সুবিধা প্রদান করা হয়নি। এরই মধ্যে জাপানিজ ব্রান্ড সুজুকি তাদের নতুন জিক্সার এবং জিক্সার এসএফ এর মূল্য বৃদ্ধি করেছে।

গতবছর করোনা সংক্রমন বৃদ্ধির কারনে বিভিন্ন মোটরসাইকেল কোম্পানিগুলো তাদের বাইক আমদানি করতে পারে নি। যার ফলে বাজারে দেখা দিয়েছিল মোটরসাইকেল সংকট। এর প্রভাবে Yamaha FZs V3 এবং Yamaha FZs V2 বাইকদুটি স্টক আউট হয়ে যায়। তবে কিছু দিন পর এসিআই মোটরস লিমিটেড বাইক দুটি আবার বাজারে নিয়ে আসে।

Related Posts

error: Content is protected !!