বাইকের ইঞ্জিন অয়েল একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা আমার নতুন বাইক, তার আগে বলে রাখি আগে আমি KPR 150 প্রায় ৩০,০০০ কিঃমিঃ চালিয়েছি। প্রথম ৫ হাজার কিঃমিঃ হ্যাভোলিন ইউজ করে , একদিন শেলের কথা শুনে চিন্তা করলাম দেখি কেমন হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত শেলের উপরেই ভরসা রেখে আসছি। মাস খানেক হলো আমি KPR 165 CURB নেই। যাতে শুরু থেকেই আমি শেল দেই। শেলের অন্যতম ভাল লাগা হলো এর ইঞ্জিন স্মুথনেস পাওয়ার টা যা ইঞ্জিন কে খুবই ভাল রাখে। আমার বাইক এখন ১৭০০ কিঃমিঃ রানিং। প্রথম দুইটা ইঞ্জিন অয়েল আমি মাত্র ৫০০ তেই ড্রেইন দেই। এর মাঝে আমি সিলেট ট্যুর করে আসি লং এ। এতেও আমার বাইকে তেমন কোনো সমস্যা মনে করি নি। অনেকেই বলেছে শেলে টপ স্পিড কমে যায় কিন্তু আমার মনে হয় না, আমার এমন টা মনে হয় নি কখনো। তবে একটা জিনিস সবাই খেয়াল রাখবেন যেকোন ইঞ্জিন অয়েল যদি সেটা মিনারেল হয় তাহলে ৯০০কিঃমিঃ এর মধ্যে ফেলে দিবেন, সেমি-সিন্থেটিক হলে সেটা ১৩০০-১৫০০ কিঃমিঃ এর মধ্যে এবং যদি সিন্থেটিক হয় তবে ২০০০কিঃমিঃ এর মধ্যে ফেলে দেয়া ভাল। হয়তো এর চেয়ে বেশি চালাতে পারবেন তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এতে বাইকের ইঞ্জিন দীর্ঘদিন ভাল থাকে। আমি যতোদূর জানি শেলের শুধুমাত্র একটি গ্রেড 10W40 এর সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল বাজারে আছে তবে আমার মনে হয় প্রতিটা গ্রেডের সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল বাজারে নিয়ে আসা উচিৎ।
তবে একটা জিনিস খেয়াল করেছি শেলে লং রাইড বা একটানা হাই আর পি এম এ রাইড করলে ইঞ্জিনের সাউন্ড কিছুটা চেঞ্জ হয়। হয়তোবা ইঞ্জিনে অধিক প্রেসারের ফলে এমন হয় আমার মনে হয়েছে। শেলে যেহেতু হতাশ হয় নি সেহেতু আমি শেলেই থাকবো।
লিখেছেনঃ আরিফ ইস্তিয়াক
- Hero Hunk ১০,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ফাহিম হোসেন তপু) - জুন ১১, ২০২২
- Hero Hunk DD ১৭০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ ( লিখেছেন- শান্ত) - জুন ২, ২০২২
- ৪ বাইকারের “রোড সেফটি এন্ড এওয়ার্নেস” স্লোগান নিয়ে ৬৪ জেলা ভ্রমন - ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২
You must be logged in to post a comment.