মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে ইঞ্জিন অয়েল, যা আমাদের মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে আগে খুব একটা সতর্কতা দেখা যায় নি, তবে বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ বাইকারই ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে বেশ সতর্ক। বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায়। এদের মধ্যে একটি শেল এডভান্স।
আমার পালসার ১৫০ টুইন ডিস্কে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শেল এডভান্স ব্যবহার করে আসছি। আমার বাইক এখন ৮০০০কিঃমিঃ চলছে। শেলে আমি অনেক ভাল পারফর্মেন্স পেয়েছি যার ফলে ইঞ্জিন অয়েল ব্রান্ড আর চেঞ্জ করি নি। আমি আজকে তুলে ধরবো শেলের কিছু ভাল ও খারাপ দিক। তবে প্রথমেই বলে রাখি শেলের উচিৎ তাদের এই গ্রেডে সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েলটি বাজারে নিয়ে আসা। কেননা আমরা যারা প্যাশনেট বাইকার রেগুলার লং ট্যুর করি তাদের সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল আসলেই অনেক বেশি প্রয়োজন। আমি এবার হিল রাইডে বের হই রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, ডিম পাহাড় এর উদ্দ্যেশে। যেহেতু সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল নেই তাই আমাকে মিনারেলেই ভরসা রাখতে হচ্ছে। বেশির ভাগ সময় আমি ৯০০কিঃমিঃ এর মধ্যে ইঞ্জিন অয়েল ড্রেইন দেই। তাই আমি সাথে করেই ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে যাই। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান গিয়ে আমার বাইকে ৮০০ কিঃমিঃ হয়। তখন ঠিক করলাম ইঞ্জিন অয়েল টা চেঞ্জ করা উচিৎ কেননা হিল রাইডে বাইকের ইঞ্জিনের উপর বেশ ভাল প্রেশার পড়ে এবং ইঞ্জিন অয়েল খুব দ্রুত পাতলা হয়ে যায়। শেলের সবথেকে ভাল লাগার দিক হচ্ছে এর ইঞ্জিন স্মুথনেস টা।
শেলের দুইটি দিক একটু খারাপ লেগেছে সেটি হচ্ছে শেলে টপ স্পিড কিছুটা কমে যায়, অবশ্য সেটা আমার কাছে তেমন কোনো বড় সমস্যা না। শেলের উপর আস্থা রেখেই এখনো শেল ব্যবহার করছি। তবে শেলের এই গ্রেডে সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে আসাটা খুব ই দরকার বলে মনে করি।
- Hero Hunk ১০,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ফাহিম হোসেন তপু) - জুন ১১, ২০২২
- Hero Hunk DD ১৭০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ ( লিখেছেন- শান্ত) - জুন ২, ২০২২
- ৪ বাইকারের “রোড সেফটি এন্ড এওয়ার্নেস” স্লোগান নিয়ে ৬৪ জেলা ভ্রমন - ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২
You must be logged in to post a comment.