Suzuki Gixxer 155 মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- এস কে লিটন)

আসসালামু আলাইকুম বাইকার, আশা করি সবাই ভালো আছেন। দেখতেছি অনেকেই তাদের পছন্দের বাইক এর রিভিউ দিচ্ছে। গ্রামের ভাষায় একটা কথা আছে, দেখা দেখি সেখা লড়ে, আমারও লড়ছে তাই আমার পছন্দের বাইক এর রিভিউ দিচ্ছি।

 

আমি মোঃ লিটন বাসাঃ বগুড়া, অর্নাস ২ বর্ষে পড়াশোনা করি। আমি একজন বাইকার ও ভ্রমন প্রিয় মানুষ, ভ্রমন করতে কার না ভালো লাগে বলুন আর আমার একটু বেশি ভালো লাগে কিন্তু ছাত্র মানুষ তো তাই বুঝতেই পারতেছেন সব দিক দিয়ে একটু চাপ এ থাকতে হয়। তাই আপনাদের মতো খুব বেশি ভ্রমন না করলেও মোটামুটি ভ্রমন করেছি। আর এইটার ওপর এই কথপোকথন করতে যাচ্ছি, যাইহোক এখানে বেশি কথা না বলি, যেটা আপনাদেরকে বিরক্তকর করে তুলবে, চলুন ডিরেক্ট রিভিউতে চলে যাই।

 

Gixxer বাইক এর মধ্যে এই নামটা শুনলেই কেমন জানি আনন্দ লাগে, প্রতিটা বাইক নির্মাতা কোম্পানি গুলো নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। কেউ করে মাইলেজ নিয়ে, কেউ করে বাইক এর ব্রেকিং নিয়ে। সে রকমই একটি ভালো বিষয় হচ্ছে কম্ফোর্ট। আর সেই কম্ফোর্ট নিয়ে কাজ করতেছে বাংলাদেশে আসা সকল সুজুকি বাইকগুলো। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ১৫০ থেকে ১৬০ সিসি বাইক গুলোর মধ্যে সবথেকে বিল্ড কোয়ালিটি ও রাইডিং কম্ফোর্ট এর মধ্যে এই বাইকটি সবার সেরা আমার মনে হয়েছে। বর্তমান সময়ে তরুণদের মাঝে বেশ একটা জনপ্রিয় বাইক এই সেগমেন্ট এর ভিতরে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাইক এর Looking, দেখলেই যেনো মনে হয় ঘোড়া এখন দৌড়ের জন্য রেডি বাইকটিতে কালার প্লাস্টিকের সংখ্যা অনেক কম দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে। আর এই প্লাস্টিক কম থাকার কারণে বাইকটি দেখতে অনেক ভালো লাগে।।
বাইকটির ব্রেকিং এবং ব্যালেন্সিং খুবই ভাল মনে হয় আমার কাছে। মোটামুটি অনেক বাইক চালাইছি যেগুলো সিটিতে ভালো কন্ট্রোলিং পেলেও হাইওয়েতে পাওয়া যায় নান, আর Gixxer এর সিটি+হাইওয়েতে দুটোতেই ব্রেকিং এবং ব্যালেন্সিং অনেক ভালো। ১৩৫ কেজি ওজনের এই বাইকে সামনে এ ব্যবহার করা হয়েছে টেলিস্কোপিক সাসপেন্স ও Rear এ ব্যবহার করা হয়েছে মনোশক সাসপেন্স। বাইকটির এক্সিলারেশন তুলনাহীন আমি মনে করি।

 

Gixxer এর ইঞ্জিন মূলত ১৫৫ সিসির এবং এর ইঞ্জিন অনেক স্মুথ। এর ডুয়েল পার্ট Exust রয়েছে। যা এর সাউন্ড কে আরো লাউড করে। বাইকটি হাই আরপিএম চালাই বা লো আরপিম এ চালাই এর ইঞ্জিন স্মুথ এর জন্য এক্সট্রা কোনো নয়েজ পাওয়া যায় না। যার কারণে বাইকটি রাইডিং করে অন্য রকম ফিল পাওয়া যায়।
এই বাইক এর মাইলেজ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। অন্যান্য যে ১৫০-১৬০ সিসি বাইক গুলো রয়েছে সেই বাইক এর তুলনায় অনেক বেশি মাইলেজ পাওয়া যায় এই Gixxer বাইক এ। প্রতি ১ লিটার ফুয়েলে ৪৩-৪৫ কিঃমি মাইলেজ পাওয়া যায় যা অন্য বাইকের থেকে বেশি। এই বাইক এ ১২ লিটার ফুয়েল ধরে, সব বাইকের ভালো দিক আর খারাপ দিক রয়েছে। যেটা এই বাইকেরও রয়েছে, আমার কাছে এই বাইক এর সব কিছু ভালো লাগে কিন্তু কিছু কিছু খারাপ দিক রয়েছে যেটা না বললেই নয়, সেটা হলো বাইকের হেডলাইট হ্যালোজেন এর হওয়ায় রাতে খুব ভালো দেখা যায় না। তাই এর হেডলাইট চেঞ্জ করতে হবে, আর একটা সমস্যা হচ্ছে ক্লাচ, একটু টাইট মনে হয় আমার কাছে যার ফলে এর গিয়ার শিফটিং বেশ হার্ড। Gixxer বাইকে পিলিওনদের একটু সমস্যা হয়ে থাকে, বিশেষ করে লেডি পিলিওনদের।যেটার কারণ হচ্ছে পিছনের সিট টা একটু বেশি উঁচু কিন্তু সেটা মডিফাইড করা যায় যেটার খরচ আসবে ১০০০/১২০০ টাকা, তাহলে আর কোনো প্রবলেন হয় না।

 

এটা আমার প্রথম কোনো রিভিউ লেখা।আমি বেশি লিখতে পারি না। সত্যি বলতে লেখার অভ্যাস আমার নেই।অনেক কিছুই লিখলাম যেটা আমার মনে হয়েছে। লিখার ভিতরে ভুল থাকতেই পারে কারণ মানুষ মাত্রই ভুল হয়, তাই ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর সকলে রাইডের সময় অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করুন।
লিখেছেন- এস কে লিটন

Related Posts

error: Content is protected !!