ইয়ামাহা (Yamaha) অল্প কিছু বছর পূর্বেও এদেশে ইয়ামাহার তেমন ডিস্ট্রিবিউট ছিল না। এমনকি ২০১৬ তেও ইয়ামাহার শোরুম ঢাকার বাইরে কদাচিৎ দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইয়ামাহা, রাজার মত। চমৎকার ইন্জিন এবং দারুণ ডিজাইনের জনপ্রিয় বাইকগুলোতে রাইড করলে আপনি অনুভব করবেন আপনি হয়তো ঠিক উড়েই বেড়াচ্ছেন৷ সেই অনুভূতিটা আমি নিজেও অনুভব করি FZS V2 DD বাইকটি রাইড করে।
ইয়ামাহা ব্যান্ডের FZS V2 DD বাইকটি কালার, ডিজাইন বর্তমানে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। প্রায় দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশের বাজারে ইয়ামাহা FZ-S V2 রাজত্ব করে আসছে। প্রথমের দিকে বাইকটির সিঙ্গেল ডিস্ক ভার্সন বাজারে বেশ সাড়া ফেলার পর ইয়ামাহা নিয়ে আসে ডুয়েল ডিস্ক ভার্সন।
এবার প্রথমেই আসি বাইকের মাইলেজ নিয়ে, কেননা একটি বাইক কেনার আগে আমরা সবার আগে যে জিনিসটি খেয়াল করি সেটা হলো বাইকের মাইলেজ। বাইকটির ইঞ্জিন ফুয়েল ইঞ্জেকশন হওয়ার কারণে মাইলেজ এর দিক থেকে অনেক ভালো পারফরম্যান্স পাচ্ছি আমি, আমি বাইকটি নিয়ে সিটি এবং হাইওয়ে উভয়ই চালিয়েছি এর এভারেজ মাইলেজ পেয়েছি ৪২-৪৪ কিঃমিঃ লিটারে তবে হাই রেভে কিছুটা মাইলেজ কমে যায়।
এবার বলবো এর বডি কিটস বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে- ইয়ামাহার বাইক এর বিল্ট কোয়ালিটি নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার নেই , আমি এখন অব্দি এর কোনো সমস্যা ফেস করিনি।
বাইকের চাকা/টায়ার বড়/চওড়া এর জন্য সাইড কর্নারিং করতে স্লিপ করে না পরে যাওয়ার ভয় থাকে না, যার ফলে খুবই সহজে সাইড কর্নারিং করা যায়, এবং এর ফলে বাইকটির ব্রেকিং এবং ব্যালেন্সিং খুব ভাল হয় আর ইয়ামাহা তাদের সব বাইকেই ব্রেকিং এবং ব্যালেন্সিং নিয়ে বেশ সচেতন।
এর সাস্পেনশন নিয়ে যদি কথা বলি, ভাঙ্গা রাস্তায় বাইকটি রাইড করে তেমন একটা ঝাঁকি লাগে না, এর সাস্পেনশন বেশ ভাল সাপোর্ট দেয়। আর এটি দীর্ঘসময় চালানোর ফলে কোনোরকম কোমর ব্যাথা, হাত ব্যাথা,পিঠ ব্যাথা, শরীর ব্যাথা হয় না কেননা একে অনেকে এক কথায় কম্ফোর্ট কিং ও বলে।
বাইকটির তেমন কোনো খারাপ দিক আমার চোখে না পরলেও একটা দিকে কিছুটা ইম্প্রুভ করা সম্ভব সেটা হলো এর এক্সিলারেশন, একটা ১৫০ সিসি বাইক হিসেবে এর এক্সিলারেশন বেশ কম মনে হয়েছে আমার কাছে যা হাইওয়েতে যেকোনো বড় গাড়িকে ওভারটেক করতে প্রব্লেম ফেস করতে হয়।
এককথায় বাইকটির বর্ণনা করতে গেলে বাংলাদেশের রাস্তা ও বাংলাদেশের সকল বয়সের বাইকারদের জন্য বাইকটি পারফেক্ট। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে ওপরের কথা গুলো বললাম কারণ আমি নিজে একজন FZS V2 DD বাইক রাইডার। আমি বাইকটি ১০ হাজার কি.মি. রাইড করেছি এর মধ্যে কোন প্রকার কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নাই। তাছাড়া, এসিআই মোটরস প্রতিনিয়ত সেবা দিয়েই যাচ্ছে ইয়ামাহাকে। পরিশেষে সকল কিছুর জন্য ধন্যবাদ জানাই ইয়ামাহা ও এসিআই মটরসকে।
লিখেছেন- আজিম মাহমুদ
- Hero Hunk ১০,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ফাহিম হোসেন তপু) - জুন ১১, ২০২২
- Hero Hunk DD ১৭০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ ( লিখেছেন- শান্ত) - জুন ২, ২০২২
- ৪ বাইকারের “রোড সেফটি এন্ড এওয়ার্নেস” স্লোগান নিয়ে ৬৪ জেলা ভ্রমন - ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২
You must be logged in to post a comment.