যখন আমরা কোন নতুন বাইক কেনার পরিকল্পনা করি তখন প্রথমেই চিন্তা করি বাইকের টায়ারটি টিউব নাকি টিউবলেস। আবার আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা যে বর্তমানে মোটরসাইকেলে দুই ধরনের টায়ার ব্যাবহার করা হয়, যার একটি হচ্ছে টিউব ও অন্যটি টিউবলেস। টিউবলেস টায়ারের ব্যবহার ১৯৫৫ সাল থেকে শুরু হলেও টিউব টায়ারের ব্যবহার আরও অনেক আগে থেকে। ১৮৮৮ সালে জন ডানলপ সর্বপ্রথম সাইকেলের জন্য টিউব টায়ার আবিস্কার করলেও ১৯১১ সালে ফিলিপ স্ট্রস সফল্ভাবে মোটরসাইলের টিউব টায়ার আবিস্কার করেন। আমাদের দেশের অনেক বাইকারের এই দুই প্রকার টায়ার সম্পর্কে সঠিক ধারনা নেই। আসুন জেনে নিই এই দুই টায়ারের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো।
টিউব টায়ার কীঃ
এই টায়ারের ক্ষেত্রে দুই স্তরের রাবার ব্যবহার করা হয়। এই টায়ারের ভিতরে আরও একটি বাতাসপূর্ন টিউব ব্যবহার করা হয়। যা বাইরের শক্ত রাবারের স্তর দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। এই টায়ারের ব্যবহার অনেকাংশে কমে গেলেও এখনও অফরোড বাইক এবং স্পোক হুইলে ব্যবহ্রত হয়।
সুবিধাঃ
১। এটি অনেক সহজলভ্য।
২। এর মেইন্টেনেন্স খরচ অনেক কম।
৩। পাংচার হয়ে গেলে খুব সহজেই রিপেয়ার করা যায়।
৪। এটি খুব সহজেই বাইকের রিমের সাথে ফিট হয়ে যায়।
অসুবিধাঃ
১। এর স্থায়িত্ব এবং জিবনকাল অনেক কম।
২। খুব সহজেই পাংচার হয়ে যায় এবং খুব দ্রুতই বাতাস বের হয়ে যায়।
৩। এটি অনেক ভারি হওয়ায় ফুয়েল এফিসিয়েন্সি কমে যায়।
টিউবলেস টায়ারঃ
এখন অধিকাংশ বাইক বা গাড়িতে এই টায়ার ব্যবহার করা হয়। এই টায়ারের ভিতর কোন বাড়তি টিউব থাকে না। এর ভিতরের বাতাস চাকার রিম এবং টায়ারের মধ্যে শক্তিশালী সিলের মাধ্যমে আটকানো থাকে। এর বাইরের স্তর অনেক পুরু হওয়ায় পাংচার হলেও অনেক সময় পর্যন্ত সার্ভিস দিতে পারে।
সুবিধাঃ
১। এটির জীবনকাল অনেক দীর্ঘস্থায়ী।
২। পাংচার হলেও এটি অনেক সময় পর্যন্ত সাপোর্ট দিতে পারে।
৩। এর ওজন কম হয়ায় বাইকের ফুয়েল এফিসিয়েন্সি অনেক বেশি হয়।
৪। টায়ারের পুরুত্ব অনেক বেশি হওয়ায় এটি অনেক ধীরে ক্ষয় হয়।
৫। টিউবলেস টায়ার লিকুইড সিল দ্বারা সুরক্ষিত থাকে বলে সহজেই পাংচার হয় না।
অসুবিধাঃ
১। এটি তুলনামূলক ব্যয় বহুল।
২। এর মেইন্টেনেন্স খরচ নরমাল টায়ারের চেয়ে বেশি।
৩। এটি পাংচার হয়ে গেলে সহজেই ঠিক করা যায় না।
টিউব টায়ার কি টিউবলেস করা যায়?
টিউব টায়ার টিউবলেস করা গেলেও এটি অনেক ব্যয় বহুল এবং অনেক ক্ষেত্রে অনিরাপদ। টিউব রিমকে টিউবলেস করতে হলে এর সকল ছিদ্রকে সিল করতে হবে এবং টিউব টায়ারের রিমের সাইজ টিউবলেস টায়ারের রিমের সাইজ একই হতে হবে। তবে এই প্রক্রিয়া পুরপুরি নিরাপদ নয়।
দুই ধরনের টায়ারের কাজ একই হলেও বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে সকল আধুনিক মোটরসাইকেলে টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয় কিন্তু অফরোড এবং স্পোক হুইলে এখনও টিউব টায়ার ব্যবহার করা হয়।
- Hero Hunk DD ১৭০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ ( লিখেছেন- শান্ত) - এপ্রিল ২, ২০২৪
- Hero Hunk ১০,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ফাহিম হোসেন তপু) - মার্চ ১১, ২০২৪
- Hero Hunk ৪২,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ইফাজ আহমেদ) - মার্চ ১০, ২০২৪
You must be logged in to post a comment.