Yamaha FZS V3 ৮০০০কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- মোহাম্মাদ নিপুন)

FZS v3 নিয়ে ৮০০০ কিঃমিঃ পথ চলার কিছু গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই 🤗

ভালো দিকঃ

১.ব্রেকিংঃ ব্রেকিং নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ইয়ামাহার ব্রেকিং নিয়ে কম বেশি সবাই জানেন। তবে আগের তুলনায় বর্তমানে সামনে চাকায় Single channel ABS থাকায় এর ব্রেকিং আগের থেকেও অনেক ভালো। (এর আমি এফজি ভি-২ চালাতাম সো তুলনা করতে সুবিধা হলো)। অনেকেই বলে সামনের ব্রেক পেড খুব দ্রুত ক্ষয় হচ্ছে কিন্তু ৮০০০ কিঃমিঃ চালালাম আলহামদুলিল্লাহ এখনো আমার বাইকের সামনের ব্রেক পেড ভালোই আছে।

২.লুকঃ ইয়ামাহার সব বাইকের লুক কম বেশি ভালোই। দেখতে বেশ প্রিমিয়াম মনে হয় একই সেগমেন্ট এর অন্য বাইক এর থেকে। যদিও বা একেক জনের পছন্দ একেক রকম। সো লুক নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাইনা।

৩.কম্ফোর্টঃ এফজি ভি-১/ভি-২/ভি-৩/ফেজার সব বাইকই চালিয়েছি। আমার কাছে ১৫০ সিসির এই সেগমেন্টে এফজির সিটিং পজিশন সব থেকে ভালো লাগে কারন এটা অনেক আরামদায়ক (তুলনামূলক)।
ভি-৩ যদিও ভি-১/ভি-২ এর দেখি অধিক আরামদায়ক বলেই মনে হয় আমার কাছে কারন এর হ্যান্ডের বারের পজিশন ভি-১ এবং ভি-২ এর তুলনায় কিছুটা উঁচু। এর ফলে এফজি ভি-৩ চালিয়ে আমার কাছে বেশ কম্ফোর্ট বলে মনে হয়। কোমড় ব্যাথা/কব্জি ব্যাথা/পা ব্যথার সম্মুক্ষীন হতে হয়নি।

৪.মাইলেজঃ এফজির মাইলেজের প্রশংসা না করলেই না। অসাধারণ মাইলেজ আসলেই প্রশংসনীয়। এভারেজে ইকোনমি মেইনটেইন করে (০-৭৫কিঃমিঃ/ঘন্টা) ৪৭ কিঃমিঃ/লিটার পর্যন্ত মাইলেজ আমি পেয়েছি আমার এফজি ভি-৩ থেকে আর একটু যুক্ত করি সেটা হলো ভি-৩ এর আগে আমার ভি-২ ২০১৭ মডেল ৫২ কিঃমিঃ/ লিটার পর্যন্ত মাইলেজ দিয়েছে সত্যি অবিশ্বাস্য।

৫.সিটঃ সিটিং পজিশন নিয়ে বলতে গেলে এটার সিটিং পজিশন খুবই আরামদায়ক। কম্ফোটেবলি চালানোর জন্য আমার কাছে ইয়ামাহা এফজি ভার্সন থ্রির সিটিং আমার কাছে বেস্ট ইন ক্লাস লেগেছে।

৬. সেলস আফটার সার্ভিসঃ একটা বাইক কেনার সবচেয়ে বড় ইস্যু হলো এর সেলস আফটার সার্ভিস, কেননা নতুন বাইকে প্রথম প্রথম অনেক ছোট ছোট সমস্যা দেখা যায় তবে ইয়ামাহার সেলস আফটার সার্ভিস কে আমি ১০ এ ১০ দিতে বাধ্য। তাদের সার্ভিস এবং ব্যবহার আসলেই খুব অমায়িক। আসলে এই বিষয়ে আমার সাথে সকল ইয়ামাহা ইউজার এক মত হবেন। 

খারাপ লাগাঃ লুকঃ বাইকের সামনের দিকটা দেখতে ভালো হবেও পিছন থেকে বাইকটি দেখতে মোটেও ভালো দেখায় না। সামনের লুক অনেক সুন্দর হলেও এর পেছনের লুক মোটেও সন্তোষ জনক সন্তষ নয়।

প্রাইজঃ বাইকটি লঞ্চ হওয়ার ১ মাস আগে বুকিং দিয়ে বাইক কিনেছি কিন্তু কষ্টর কথা কি বলবো ৬ মাস যেতে না যেতেই বাইকের দাম কমায় ফেলছে কোম্পানি। যা একজন ক্রেতা হিসেবে আমার খুব খারাপ লেগেছে। এত তাড়াতাড়ি এমন একটা বাইকের দাম এত বেশি কমে যাবে তা গ্রহনযোগ্য নয় বি। তবে মূল্য কমে যারা নতুন কিনছে তাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। বাইকটির ভালো না লাগার মধ্যে আমার এর টপ কম এবং ইনিশিয়াল পিকাপ কম এটা খারাপ লাগে হাইওয়েতে ওভারটেকিং এ কিছু টা প্যারা হয় অনেক সময়। খারাপ লাগার মধ্যে আর একটা ব্যাপার হলো এর হেডলাইটের আলো অনেক কম যদিও ফগ লাইট লাগালে সমস্যা সমাধান কিন্তু ফগ লাইট লাগালে মামলা খাওয়া নিয়ে একটা টেনশন থেকে যায়।

বাইক কেনার কারনঃ বাইক কিনার মূল কারন হলো আমি ইয়ামাহা লাভার। ছোট দেখেই ইয়ামাহা ব্রান্ড আমার বেশ পছন্দের একটা ব্রান্ড। আমি এর আগে ইয়ামাহা ভি-২ বাইকটি চালিয়েছি এর পরে ভি-৩ আসায় আবার ভি-৩ তে শিফট হই। ইয়ামাহা এর সার্ভিস বরাবরই খুব ভালো।

 

লিখেছেন- মোহাম্মাদ নিপুন 

Related Posts

error: Content is protected !!