Keeway RKR165 ২৩ হাজার কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ লিখেছেন (মোঃ তৌহিদ বাপ্পী)

RKR165 Aftre 23k+ km  Review
আমি Md. Touhid Bappy একটি বেসরকারী হাসপাতে চাকরি করি, থাকি ময়মনসিংহ সদরে। Office থেকে বাসা প্রতিদিন ৬ কিলোমিটার বাইক চালাই। বাইকিংকে ভালোবাসি অন্যকে সতেচন করতে পছন্দ করি । সুযোগ পেলেই বাইক নিয়ে দেশের আনাচে-কানাচে ঘুরতে। এই বাইকটি  নেওয়ার কারণ ২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকায় সুন্দর দেখতে একটি ফুল ফেয়ারিং স্পোর্ট বাইক।
এটি দিয়ে আমি প্রায় ২৩+ হাজার কিমি রাইড করেছি। আমি ঠিক সিটিতে ৩৮ ও হাইওয়েতে ৪৫+ মাইলেজ পাচ্ছি। টপ স্পিড এখন পর্যন্ত ১৩৮ পেয়েছি। RPM unlock করা গেলে অনায়সে ১৪৫+ পাওয়া যাবে।

 

#Engine
Displacement-164.7cc 1-Cylinder/4-Stroke/4-Valve
Rated Output-17.83Bhp/9500r/min.
Max.Torque 14.0N.m/7000r/min.
Fuel Supply: Efi
Exhaust System: Without Catalyst; oxygen sensor
Gearbox 6-speed
Liquid Cool
Front Brake Disc: 260mm
Rear Brake Disc: 220mm
Front Tyre:-100/80-17
Rear Tyre:-140/70-17
Ground Clearance: 160mm
Unladen Weight:153kg
Usable Tank Volume: 15L

 

বাইকের ফিচারগুলো সম্পর্কে
√বাইকটিতে CBS Braking System দেওয়া হয়েছে।
√বাইকটি চালানোর সময় আপনি কতো নাম্বার গিয়ার চালাচ্ছেন সেটি দেখতে পারবেন মিটারে।
√রাইডার ভুল করে সাইড স্ট্যান্ড না তুললে গিয়ার ফালানোর সময় বাইক এর স্টার্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
√বাইক রাইড করার সময় বাইক কতটা হিটিং হচ্ছে তার টেম্পারেচার দেখতে পারবেন মিটারে।
√বাইক এর মিটারে সময় দেখতে পারবেন।
√বাইকটিতে ৩ টা Spark plug  ব্যবহার করা হয়েছে।
√যেহেতু এটা একটা Sports  বাইক
এবং তার মেইনটেন্যান্স হাই পারফরম্যান্স হতে হবে।
√ইন্জিন অয়েল গ্রেড 10w40
প্রথম 1500 কিলোমিটার ব্রেকইন প্রিয়ড মিনারেল ইন্জিন ওয়েল ব‍্যবহার করেছি।1500 কিলোমিটার এর পর থেকে হাই পারফরম্যান্স পাওয়ার জন্য আমি full synthetic  ব্যবহার করি।
√ইন্জিন অয়েল Capacity 1.0L(+/-)0.1L  যদি আপনি অয়েল ফিল্টার সহ ইঞ্জিন অয়েল চেন্জ করেন তা হলে ১ লিটার ইঞ্জিন অয়েল দেওয়ার পর 100ml বেশি দেয়া উচিত।
√আমি Shell Advence Ultra 10/40 ব‍্যবহার করি।
√ Efi ইন্জিনে অবশ্যই ভালো মানের অকটেন ব্যবহার করতে হবে।
√Radiator এর কোলেন্ট এখনো চেঞ্জ লাগে নাই।
√যেহেতু Efi বাইক তাই কোন প্রকার  Security Alarm  Install করা পর Magnet Coil এ লাইন দেওয়া যাবে না। তাহলে ইলেক্ট্রিক লাইনে সমস্যা বা ব‍্যাটারি বসে যেতে পারে।
√বাইক এর সাথে যে ইন্জিন অয়েল টা দেওয়া থাকে সেটা ৩০০ কিঃমি এ চেন্জ করেছি।
যেহেতু বাইকটা Efi ইন্জিন সে কারণে হাই পারফরম্যান্স পেতে হলে Fual-Injector Clean করি করা লাগে।
√আমি একবার ২০ হাজার কিঃমি পর Fual-Injector Clean করি।
প্রতিবার অয়েল ফিল্টার চেন্জ করি।

 

®বাইকটির ভালো দিকঃ
১.লং রাইড করলে কোন প্রকার হাতে বা কমড়ে ব্যাথা করবে না।
২. O ring চেইন, তাই বারবার চেইন টাইট দিতে হয় না।
৩. ৩টা Spark Plug আছে।
৪.Stand Safty ফিউচার  রয়েছে।
৫.CBS Braking System রয়েছে।
৬.পার্টস মোটামুটি মিলে অন্য বাইকের সাথে ।

 

® বাইকটির খারাপ দিকঃ
১.Singel হর্ণ।
২.Radiator গার্ড নাই।
৩.সিটিতে রাইড আরামদায়ক নয়।
৪.বেশি ওজন হওয়ার কারণে কার্ণারিং করতে প্রবলেম হয়।
৫.আরপিএম সাড়ে ১০ হাজারে লক করা,  যার কারণে ১৪০ এর উপরে টপ স্পিড সম্ভব না। যদি unlock করা যায় তবে ১৪৫+পাওয়া যাবে।
৬. 6 RPM পর থেকে ভাইব্রেশন করে।
৭.1/2 RPM এ ইন্জিন অনেক হিট হয়।

 

®এই 23k+ কিলোমিটারে যা যা পরিবর্তন করেছি __
1.বলরেসার একবার,
2.পিছনের ব্রেকপেড তিনবার,
3.ক্লাসের ক্যাবল চারবার,
4.মিটার ক‍্যাবল দুইবার,
5.সামনের চেইন স্পোকেট ছোটটা তিনবার,

 

নতুন যা যা ইন্সটল করেছি __
1.পিছনের চাকার মাটগার্ড লাগিয়েছি,
2. শাড়ী গার্ড লাগিয়েছি,
3. ক্লাস লিভার FZv2 এরটা লাগিয়েছি,
4.সামনের ব্রেকের সিলিন্ডার FZv2 লাগিয়েছি,
5. লুকিং গ্লাস R15 v2 লাগিয়েছি।
আসেন আমরা ট্রাফিক আইন মেনে চলি ও বাইক রাইডে সেফ্টি অবলম্বন করি।
লিখেছেনঃ মোঃ তৌহিদ বাপ্পী