এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম এর মত আর একটি জনপ্রিয় ব্রেকিং সিস্টেম হল সিবিএস। সিবিএস হল “কম্বি-ব্রেক সিস্টেম”, যা হোন্ডা দ্বারা পেটেন্টেড। সিবিএস বাইকের সামন ও পিছনের ব্রেকের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এর মানে হল, আপনি যদি কোন একটি ব্রেক এ চাপ প্রয়োগ করেন তাহলে ব্রেকিং ফোর্স উভয় ব্রেকের জন্য প্রযোজ্য হবে। হোন্ডা ১৯৮৩ সালে তাদের সিবিএস সম্বলিত বাইক GL1100 gold wing বাজারে নিয়ে আসে যা ওই সময় ইউনিফায়েড ব্রেকিং নামে পরিচিত ছিল। হোন্ডা CBR1000F, CBR1100XX এবং VFR800 বাইকগুলো LBS II নামে পরিচিত ছিল যা এখন ডুয়াল সিবিএস নামে ডাকা হয়। ভারতে এটি সর্বপ্রথম Honda Activa-তে ব্যবহার শুরু হয় যেখানে এটি পিছনের ব্রেকে সক্রিয় থাকলেও তা পিছন ও সামন উভয় ব্রেকেই কাজ করত।
অনেক দেশেই বাইকারদের ব্রেকিং সম্পর্কে সঠিক প্রশিক্ষন দেয়া হয় না। যেমন আমাদের দেশে বেশিরভাগ মোটরসাইকেলের সামনে ও পিছনে ড্রাম ব্রেক ব্যবহৃত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফ্রন্ট ব্রেক রাইডিং এর সময় ততটা হেল্পফুল নয়। 150cc বা তার বেশি শক্তিশালী মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে, সামনের চাকাতে বড় ডিস্ক ব্রেকের প্রয়োজন হয়। তাই আমাদের দেশের মত রাস্তার জন্য সিবিএস ব্রেকিং অত্যন্ত কার্যকর।
সিবিএস কি?
এই পদ্ধতিতে, বাইকার যে কোন একটি ব্রেক লেভার প্রেস করলে তা উভয় ব্রেকের জন্য প্রযোজ্য হয়। একটি প্রোপোরশনাল কন্ট্রোল ভালব এর মাধ্যমে প্রতিটি ব্রেকের চাপের পরিমান নির্ধারন করা হয়। এটি ইন্টিগ্রেটেড ব্রেক থেকে আলাদা, যেখানে ব্রেক প্যাডেলের চাপ প্রয়োগে শুধুমাত্র ফ্রন্ট ব্রেক প্রয়োগ করা হয়। এটি ব্রেকিং দূরত্ব হ্রাস এবং ব্রেকিং এর স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে।
সিবিএস ব্রেকিং সিস্টেম এর সুবিধা ও কিছু অসুবিধা রয়েছে। নিচে এর বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
সুবিধাঃ
১। সেফটিঃ এটি রেগুলার বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম এর চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভাল এবং নিরাপদ। এটি ব্রেকিং এর সময় বাইকের ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
২। সহজলভ্যতাঃ এই ব্রেকিং সিস্টেম এর মূল্য তুলনামুলকভাবে কম ও রেগুলার বাইকের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য।
৩। ব্রেকিং ডিসটেন্সঃ রেগুলার ব্রেকিং এর তুলনায় এটি বাইকের ব্রেকিং ডিসটেন্স কমিয়ে দেয় এবং হঠাত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করে।
৪। স্লিপারি সারফেসঃ সিবিএস ভাঙ্গা ও স্লিপারি সারফেস এ ভাল পারফর্মেন্স দেয় এবং সেফ ব্রেকিং এর নিশ্চয়তা প্রদান করে।
অসুবিধাঃ টেকনিক্যালি, মোটরবাইকের ক্ষেত্রে সিবিএস ব্রেকিং কোন অসুবিধার সৃষ্টি করে না। খারাপ রোড সারফেসের জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলো রাইডাররা মেনে চললে দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
১। যখন হঠাৎ বা প্রয়োজনীয় ব্রেকিং এর দরকার হয় তখন সামনের এবং পিছনের উভয় ব্রেক একসাথে প্রেস করুন।
২। স্লিপারি ও খারাপ রাস্তায় ধীরে ধীরে চালান এবং আকস্মিক/অত্যধিক ব্রেকিং প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
তবে সব মিলিয়ে এটি এবিএস ব্রেকিংয়ের মত কার্যকরী নয় তা বলতেই হবে।
বাংলাদেশে কিছু সংখ্যক বাইকে সিবিএস ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে যেগুলো হচ্ছে Taro GP 1, Roadmaster Rapido, Keeway RKS 150 ইত্যাদি।
~ লিভ ফ্রি, রাইড সেফ /.
- Hero Hunk ১০,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ফাহিম হোসেন তপু) - জুন ১১, ২০২২
- Hero Hunk DD ১৭০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ ( লিখেছেন- শান্ত) - জুন ২, ২০২২
- ৪ বাইকারের “রোড সেফটি এন্ড এওয়ার্নেস” স্লোগান নিয়ে ৬৪ জেলা ভ্রমন - ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২
You must be logged in to post a comment.