Yamaha R15 V3 (Indonesian) মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- বেলাল খান)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু,
আজকে ছোট একটি শর্ট রিভিউ দিব। যদিও একটি বাইক মিনিমাম ৫ হাজার কিমি না চালিয়ে একটি পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা দেওয়া কষ্টকর। তবে এভাবে কখনই লিখি নাই এবং বলিও নাই। আজকে লিখতে বাধ্য হলাম কারণ বাইক এত টাই মনে ধরছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না । আগেই বলে রাখি আমি সৎ এবং গঠনমূলক একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চলেছি। এখানে কোন কিছু খুঁজতে আসবেন না । ভাল এবং মন্দ ২ টি দিক থাকবে।

 

আমার সম্পর্কে কিছু ধারনাঃ
নামঃ বেলাল খান
উচ্চতাঃ ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি
ওজনঃ ৭০ কেজি
পেশাঃ ফুল টাইম ফ্রিলাঞ্ছার (ওয়েব ডেভলাপার)
আমি R15 V3 INDONESIA বাইক টি ১৮০০ কিমি চালিয়েছি।

 

যা যা খারাপ লেগেছেঃ
১) ইঞ্জিন অয়েল + ফিল্টার পরিবর্তন করার সময় সাইড কিট খুলতে হয় যা বিরক্তকর লাগছে আমার কাছে , কিন্তু কিছু করার নাই স্পোর্টস বাইক ।
২) ইঞ্জিন অয়েল ৯৫০ মিলি না দিয়ে ১ লিটার দিতে পারত তাহলে ৫০ গ্রাম আলাদা করে মেপে সাইড করতে হত না।
৩) ক্লাচ লিভার খুব দ্রুত লুজ হচ্ছে , জানি না এটা সবার হয় কিনা , ৪০০/৫০০ কিমি পর পর আমি এডজাস্ট করে নিচ্ছি।
৪) বল রেসার হয়ত দুর্বল সবাই বলে তবে আমার কাছে এরকম লাগে নাই , তবে খুব হার্ড ব্রেক করলে একটা শব্দ আসে , হয়ত পরিবর্তন করে ভাল কিছু লাগালে সল্ভ হবে।
৫) চেইন ভালই তবে খুব বেশি ভাল না , ৫০০ কিমি তে একবার এডজাস্ট করলে ভালই থাকে । আমি জিক্সার রাইডার ছিলাম গত ২ বছর ৭ মাস , এবং ৩৪ হাজার কিমি চালিয়েছি , এত এডজাস্ট করতে হয় নাই।
৬) ডাবল স্ট্যান্ড নাই বিধায় চেইন লুব এবং ক্লিন করতে সমস্যা হয়। যদিও স্পোর্টস বাইক মেনে নিতেই হবে। তবে বিকল্প হিসাবে RX 100 এর স্ট্যান্ড ব্যাবহার করব ভাবছি।
৭) ট্যাংক কিট একটু মজবুত হবার দরকার ছিল তবে খারাপ বলা যাবে না । চাপ দিলে একটু ফিল হয় নরম যেটা হয়ত কম্পানি ফেলেক্সিবল হিসাবে বানিয়েছে।
৮) হেডলাইট দেখতে অনেক দারুন আকর্ষণীয় । তবে দেখতে আকর্ষণীয় মনে হলেও আলোর পরিমান খুব কম , এইটা হয়ত বাইকের ব্যাটারি চিন্তা করে করেছে কোম্পানি।
৯) এয়ার ফিল্টার ট্যাংক এর নিচে যার কারনে বার বার ক্লিন করতে গেলেও বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে ।
১০) বাইক বুশ এর পরিমান বেশ ভালই , তবে সেগুলা যথেষ্ট মজবুত না , এবং নিচের ক্লিপ গুলো বেশ দ্রুত জং ধরে যায়। আমার অলরেডি ২ টি বুশ হারিয়ে গেছে এবং কিনে লাগাতে হয়েছে।
আর তেমন কোন নেগেটিভ কিছু খুজে পাচ্ছি না , যদিও আমি যা বলেছি এগুলা নেগেটিভ এর মদ্ধে তেমন কিছু পরে না। অনেকে আমার যুক্তিগত কারণ গুলো দেখে হাসতেই পারেন। তবে আমি আমার মতামত শেয়ার করেছি মাত্র। বাকি টা আপনার হাতে।

 

যা যা ভাল লেগেছেঃ
১) সব থেকে নেগেটিভ যেটা মানুষ ধরে সিটিং পজিশন আমি সেখান থেকে শুরু করি । সত্যি বলতে আমি এই সিটিং পজিশন এর ফ্যান হয়ে গেছি , বাইকের উপরে বসলে আর নামতে ইচ্ছা করে না। এত টাই মজা লাগে যে ১০০ কিমি রাইড কিভাবে এক টানা পার করেছি আমি জানি না ।
বাইকের বসার নিয়ম আপনার উরু অথবা থাই তে প্রেশার তৈরি করে বসা যা আমরা করি না । কিন্তু যারা স্পিড তুলে এটা তারা ভাল করে জানে যে যত বেশি প্রেশার দিবেন তত বেশি কনফিডেন্ট পাবেন। এবং আপনার হাত ফ্রি রাখবেন আপনার ব্যাক পেইন আসবে না। আপনি যদি স্পোর্টস বাইক এ সোফাতে বসার অনুভুতি চান তাহলে হবে কিভাবে? যার ফলাফল ব্যাক পেইন , কবজি বেথা। তবে আমি বাইক নেওয়ার পূর্বে অনেক বাইরের ভিডিও , দেশি ভিডিও Tutorial গুলো দেখে নিজেকে আয়ত্তে এনেছি। কারণ বার বার বাইক চেঞ্জ আমার পক্ষে সম্ভব না। সব থেকে বেশি হেল্প করেছে Next Gear এর Mizu ভাই এর ভিডিও টি। এবং সেই অনুযায়ি আমি চেষ্টা চালানোর পর আমার কোন প্রকার ব্যাক পেইন অথবা ঘাড় বেথা অথবা কব্জি বেথা আসে নাই। (তবে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এর নিচে রাইডার এর ক্ষেত্রে সমস্যা হইতে পারে আমি নিশ্চিত নই। )। একদিনে ট্যুর করেছি ২২৩ কিমি R15 V3 দিয়ে , যার অফরোড ছিলঃ ৩০% , অন রোড ৫০% , জ্যাম ২০% ।
২) ককপিট ভিউঃ এটা আসলে বলার অপেক্ষা রাখে না যে R15 V3 INDONESIA এর ককপিট দেখলে কেউ মুখ ফিরিয়ে নিবে । আমি বাইক ক্লিন করার সময় এই ড্যাশবোর্ড টা ভাল ভাবে ক্লিন করি কারণ দেখতে এত সুন্দর লাগে ফুল পাইলট ভিউ। আপনি হাসতে পারেন আমার কথায় কিন্তু আমার কাছে এরকম টাই অনুভুতি আসে ।
৩) বাইকের ডায়নামিক শেপঃ বাইকের এরোডায়নামিক শেপ সত্যি মুগ্ধ করার মত। বাতাস খুব সুন্দর করে কাটিয়ে উঠে যা সত্যি স্পোর্টস অনুভুতি দেয় ।
৪) বাইকের লুকঃ বাইকের লুক টি আসলেই অসাধারণ যা হাই সেগমেন্ট এর যেকোন বাইকের সাথে টক্কর দেওয়ার মত। সত্যি বলতে আমি যদি CBR নিতাম একটি আফসোস নিজের ভিতরে কাজ করত শুধু এর সৌন্দর্যের কাছে । এই বাইক এ যাকে বসিয়ে ছবি তুলি না কেন সে মানুষটিই যেন এই বাইকের সাথে একসাথে মিলিয়ে যায় । (CBR Lover রা রাগ করিয়েন না , CBR বাইক টিও যথেষ্ট সৌন্দর্যের অধিকারী । V3 থেকে কোন অংশে কম না। )
৫) লুকিং গ্লাসঃ লুকিং গ্লাস বেশ প্রশস্থ যার কারনে দেখতে কোন সমস্যা হয় না ।
৬) মিটার কনসোলঃ ভাই এইটা একটা জিনিস ভাই , ফুল সিস্টেম আপনার যা যা দরকার সব কিছু এর ভিতরে দিছে , ডিসপ্লে আলো বাড়ানো , কমানো। RPM Signal আলো বাড়ানো , কমানো পর্যন্ত দিয়েছে যা আসলেই অনেক ফাস্ট টেকনোলজি লেগেছে আমার কাছে । বিশেষ করে যখন নাম দেখায় উফ অস্থির ভাই । নিজের বাইকে নিজের নাম দিয়ে সম্বোধন করা আসলেই দেখলেই চমৎকার লাগে।
৭) বাইকের মাইলেজঃ আমার কাছে বেশ ভাল লাগছে যেখানে আমি ব্রেক ইন পিরিয়ড থাকা অবস্থা তেই ৪৫+ পাচ্ছি , তবে ঢাকাতে তে আমি এটা ৩৮ উপরে পাই নি। এখন পাচ্ছি ৪৬ করে । এটা স্পোর্টস বাইক হিসাবে আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে । আমি ৪৫ এই খুশি।
৮ ) VVA Technology: এটা এক কথায় দারুন যদিও আমি কম একটিভেট করেছি। কারণ ৭ হাজার RPM এর পরে গিয়ে এটা চালু হয় । আমি আমার স্পিড লিমিট করে বাইক চালিয়ে থাকি। ১০০ এর উপরে যাই না কখনই । পিলিয়ন থাকলে ১১০ সাহস করি তবে এই বাইকে আমি এখন পর্যন্ত সেটা সাহস করি নাই। তবে VVA Activate হলে আলাদা একটা অনুভুতি আসে। বাইকের সাউন্ড আরও তুলনা মুলক ভাবে এগ্রেসিভ হয় এবং অনুভুতি হয় কেউ একজন আমাকে পিছন থেকে ধাক্কা দিচ্ছে । পুরো বাইকের ব্যাবহার টাই পরিবর্তন হয়ে যায়।
৯) সিলিপারি ক্লাচঃ এটা সত্যি বলতে আমাকে আরও বেশি মুগ্ধ করেছে কারণ ক্লাচ না ধরে গিয়ার শিফটিং সত্যি অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেয়। তবে আমার মনে হয় বাইক এ প্রেশার পরে একটু। আমি হাতে গোনা কয়েকবার করেছি । পরে এই চেষ্টা বাদ দিয়েছি । বাইক ভাল থাকলে আমিও ভাল থাকি । তবে বলতেই হবে R15 V3 এর ক্লাচ জাস্ট মাখন। প্রথম প্রথম আমি ভুলে যেতাম যে আমার বাইকের গিয়ার শিফট হয়েছে , এত নরম আর স্মুথ। প্রথম প্রথম মনে হত আমার বাইক অন্য কেউ ব্যাবহার করে আমাকে দিয়েছে কারন এত স্মুথ বাইক কিভাবে হয়। আমি পূর্বে জিক্সার রাইড করেছি ২ বছর ৭ মাসে ৩৪ হাজার কিমি। জিক্সার এর ক্লাচ এবং গিয়ার কতটা হার্ড সেটা সবাই জানে ।
১০) টায়ার; IRC Road Winner টায়ার এ আমি ফুল সেটিসফাইড না তবে সেটা অফ রোড এ। অন রোডে এইটা একটা মাখন ভাই।
১১) ফ্রন্ট সাসপেনশনঃ এটা নিয়ে সবার কমপ্লেইন যে ভাই অফ রোড এ এটা কাজ করে না , এই ধারনা ভুল । কাজ ঠিকি করে কিন্তু অনুভব করায় না। সামনের হাতের উপরে ঝাকি আসে যার ফলে ফুল বডি তে একটু ঝাকি অনুভব হয়ে থাকে। তবে আমি গত ১৮০০ কিমি তে যা অনুভব করলাম , বাইকের গিয়ার বারিয়ে বাইক স্পিড হাল্কা উঠিয়ে ছেরে দিলে এই ঝাকি কিছু দূর হয়। তবে অফরোড এ অবশ্যই টেলিস্কপিক সাস্পেনশন এর ঝুড়ি নাই।
১২) ব্রেকিংঃ ভাই অনেকেই বলে মেনুয়াল থেকে ABS অনেক বেটার। এই ক্ষেত্রে আমি বলব আপনি এক হিসাবে ভুল এবং এক হিসাবে ঠিক। আপনি পেনিক ব্রেকিং না করলে এবং সব সময় ইঞ্জিন ব্রেক এর সাথে বাইক নিয়ন্ত্রন করলে আপনার কাছে মেনুয়াল ব্রেক বেশি ভাল লাগবে । তবে ABS অবশ্যই ভাল কিন্তু অফরোড এর জন্য না , R15 V3 ইন্দোনেশিয়ান এ ABS নেই তবে মেনুয়াল ব্রেকিং এও কিন্তু কম আত্মবিশ্বাস আপনাকে দিবে তা কিন্তু না । তবে এই তর্কে যাব না , শুধু এত টুকু বলব ব্রেকিং টা ভাল লাগছে তেমনি যেমন টা খুলনার চুইঝালের স্বাদ।
১৩) করনারিংঃ যে ছেলে ভদ্র সেই ছেলেও এই বাইক পেলে করনারিং করবে কারণ কি জানেন? এই বাইক টা একটা বখাটে বাইক, যেমনটা রাস্তার লোকেরা বলে যারা সাপের মত বাইক চালায় তাদের। কারণ বাইক হালকা তো আমাদের করনারিং করতেই হয় , আর এই বাইক জোর করে আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে করনারিং এর জন্য আর নেশা ধরাই দিবে। আমি ৩৪ হাজার কিমি তে জিক্সার এর টায়ার এর মাঝখান ছাড়া ক্ষয় করতে পারি নাই। চাকার সাইডের গুটি গুটি থাকে সেগুলাও রয়ে গেছে । আর এই বাইক আমাকে করনারিং করাইছে, বিশ্বাস করেন আমি এটা করতে চাই নাই। কেমন যেন টেনে নিয়ে চলে যায় শুধু এর পিছনের ফ্রেম এর জন্য ।
১৪) স্টক হর্নঃ স্টক হর্ন আমার কাছে সিটি রাইড এ যথেষ্ট মনে হইছে।
১৫) পিলিয়ন সিটঃ আমি নিজে পিলিয়ন হিসাবে প্রায় ৭০ কিমি রাইড করেছি , জিক্সার থেকে বেটার লাগছে , পিলিয়ন এর শরীরে তেমন ঝাকি অনুভব হয় না । তবে পিলিয়ন যদি বাইক এ বসায় অভ্যস্ত না হয় তবে রাইডার এর মেশিন ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকবে । সত্যি বলতে এই বাইক সিংগেল রাইড এ বেশি মজা ।
১৬) পেইন্ট কয়ালিটিঃ যথেষ্ট ভাল লাগছে । কালার তেমন যাবে না বললেই চলে । এবং বিলড কোয়ালিটি যথেষ্ট মজবুত লেগেছে ।
১৭) রেডি পিকআপঃ এটা আমি শুরুর দিকে জিক্সার এর মত এতটা পাই নাই , তবে ৪ হাজার RPM এর পরে আমি এর পিকআপ টা বেশ ফিল করতে পেরেছি। এবং টান টা ইনস্ট্যান্ট উঠে । হাই রেভ এ রাজকীয় একটা ফিল দিবে আপনাকে । এবং সামনের ড্যাশবোর্ড যথেষ্ট বড় হওয়ায় আপনাকে বেশ আলাদা একটা অনুভুতি জোগাবে । যেটা আমার মনে হইছে , অনেকের ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে।
১৮) চাপার কয়ালিটিঃ বেশ ভাল লাগছে , চলে আর কি তবে CBR এর চাপার কয়ালিটি আমার কাছে বেশি ভাল লাগে ।
১৯) বাইক মোর ঘুরানোঃ বাইক টির ডায়মেনশন বেশ বড় যার কারনে ঘুরাতে একটু অসুবিধা হলেও যখন আপনার নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে তখন এটা দুধভাত মনে হবে । প্রথম প্রথম আমাকে বেশ ভগান্তি তে পরতে হয়েছে , যেহেতু আমার জিবনে এটাই প্রথম ফেয়ারিং বাইক কাজেই ভালই সমস্যার সম্মুক্ষিন হতে হয়েছে তবে এখন এটা আমার কাছে দুধভাত এর মতই লাগে । খুব অল্পতেই মোর ঘুরাতে পারি এবং চিপা চাপা থেকেও বের হতে সমস্যা হয় না। প্রথম যখন ঢাকা তে চালিয়ছি খুব ভেজালে পরতে হইছে আমাকে , এখন ফুল ক্লিয়ার ।
২০) রিম এর পেইন্ট কোয়ালিটিঃ এত স্মুথ কালার হাত দিয়ে টান দিলে কোন দানা দানা ফিল আসে না , যেমনটা আমার আগের জিক্সার এ ছিল ।

 

পরিশেষ এ একটি কথা বলব যে আমার রিভিউ এর মদ্ধে ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে , তবে আমার কাছে যা যা লাগছে তাই তাই শেয়ার করলাম মাত্র। কারণ আমি দেখেছি অনেকে ১৫০০ থেকে ২০০০ এর মদ্ধে বাইক বিক্রি করে দেন। কারণ ব্যাক পেইন অথবা ঘাড় পেইন অথবা কবজি পেইন। আমিও আগে মনে করতাম , V3 একটা চা খাওয়া বাইক ছাড়া আর কিছু না , উচু সিট চা বিস্কুট রেখে খাওয়া যাবে।

 

তবে নাচতে না জানলে কিন্তু উঠান বাকা। প্রতিটা জিনিষের খারাপ ভাল ২ টি সাইড থাকবেই। তেমনি প্রতিটা বাইক ১০০% সয়ং সম্পূর্ণ না । যেখানে আমরা মানুষ রা ১০০% ঠিক না সেখানে একটা বাইক ১০০% হবে এটা ভাবা বোকামি । কাজেই যে ভাইয়েরা বাইক কিনবেন অথবা চিন্তা করেছেন কাজেই আমি বলব বুঝে শুনে সিধান্ত নিন। টাকা আপনি উপার্জন করলে আজকে বুঝে শুনে কিনতেন। বাবার টাকায় বাইক কিনে ২ দিন পরে ৫০/৬০ হাজার লস দিয়ে বিক্রি করে দেওয়া সহজ। নিজের টাকায় কিনে দেখুন কতটা কষ্ট লাগে । হ্যাঁ বাবা মা আছে তারা ভালবেসে দিবেই কিন্তু আপনার কাজ সেটা আগলে রাখা , নষ্ট করা না। কথায় ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। ভাল থাকবেন। গতি নিয়ন্ত্রন করুন ।

 

নিরাপদে বাইক রাইড করুন সেফটি গিয়ার সাথে নিয়ে। আর সব সময় হেলমেট পরিধান করুন। আপনি ভাল থাকলে আপনার পরিবার ভাল থাকবে।
আল্লাহ্‌ হাফেজ। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।
লিখেছেন- বেলাল খান