হোন্ডার শো-রুমে বাইকার লাঞ্চিত

বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড এর অথরাইজড ডিলার সিরাজগঞ্জ এর এম আর হোন্ডা প্যালেসে সার্ভিস নিয়ে কথা বলায় এক বাইকারকে লাঞ্চিত করেন শো-রুম মালিক মামুন। আর এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় উঠেছে ঝড়। ভুক্তোভোগীর পক্ষে আওয়াজ তুলেছে সারা দেশের বাইকিং গ্রুপ ও ক্লাবগুলো।

গত ৬ই ফেব্রুয়ারী শুভ নামের একজন হোন্ডা কাস্টমার তার এক্স ব্লেড বাইকের সার্ভিসের জন্য সিরাজগঞ্জ এম আর হোন্ডা প্যালেসে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন সিরাজগঞ্জ রাইডার্স এর এডমিন নাহিন কে। এর মাঝে ডিলার মামুনের আগমন ঘটে শো- রুমে। নাহিনের তাদের সার্ভিসের মান পছন্দ না হওয়ায় সেটি নিয়ে কথায় বলায় এক সময় শো-রুম মালিক মামুন তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এর পরে নাহিন হোন্ডার হেড অফিসে অভিযোগ করে মামুন সাহেবের বিরুদ্ধে। যার ফলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হন।

শো-রুম মালিক মামুন যখন বাজে গালিগালাজ করছিল, তখন ভুক্তোভোগী নাহিন শো-রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রস্তুত নিচ্ছিল। কিন্তু আচমকা মামুন তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে শো-রুমের ভিতরে নিয়ে আসে এবং কর্মচারীদের ডেকে নাহিনকে মারধর করতে বলে। অবস্থা খারাপ দেখে নাহিন তার বাবাকে ফোন কল দেয় এবং তিনি কিছুক্ষনের মধ্যে চলে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।

মামুন সাহেব যখন নাহিনের গায়ে হাত দেয় তখন শুভ তাকে সরানোর চেষ্টা করে ফলে মামুন তার উপরেও ক্ষেপে যায়। নাহিন চলে যাওয়ার পরে শুভকে আবারো ডেকে নিয়ে এসে রাগান্বিত ভাবে বলে তারা কেন এর মাঝে হস্তক্ষেপ করলাম। এক পর্যায় শুভকেও বাজে ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন হুমকি দেয়া হয়। তারপর শুভ শো-রুম থেকে বের হয়ে বাসায় গিয়ে হোন্ডার হেড অফিসে যোগাযোগ করে এবং সবকিছু বিস্তারিত জানানো হয়। কিন্তু এ বিষয়ে হোন্ডার অফিস থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে সিরাজগঞ্জ রাইডার্সের সদস্যদের কাছে।

ভোক্তা তার সার্ভিস নিয়ে কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার গায়ে হাত দেয়া এবং হুমকি দেয়া কোন মতেই হোন্ডার মত স্বনামধন্য ব্রান্ডের কাছে আশা করা যায় না। সোশাল মিডিয়ার মারফত বাইকাররা জানিয়েছে, এমন ডিলার শপকে বয়কট করা হোক। আর এমন সব ডিলারশপের কারণে হোন্ডার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের উচিত এই সব বিষয়গুলোতে নজরদারি করা।