বাংলাদেশের প্রথম ফ্যামিলি বাইকার হিসেবে ৬৪ জেলা শেষের অপরাহ্নের কিছু গল্প

আলহামদুলিল্লাহ
অনেক সুন্দর একটা ট্যুর সম্পন্ন করলাম
এবং আমাদের জীবনের একটা অন্যতম বড় এচিভমেন্ট, আমার পরিবারের সকলকে নিয়ে #64 জেলা বাইকে ট্যুর সম্পন্ন করলাম।
#১২-১১-২০ বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু করে১৪-১১-২০ রাত তিনটার সময় বাসায় পৌঁছেছিলাম
#সর্বমোট 2 দিনে ১৩৭৫ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়েছি।
যার মধ্যে 14 তারিখ একটানা ৭০০+ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়েছি,
#এই ট্যুরে বরাবরের মতন আমার ওয়াইফ এবং আমার মেয়ে ছিল। সাথে অন্য কোন বাইক ছিল না।
#সবাই জানেন আমি কি বাইক ব্যবহার করি, 🏍️🏍️ #Yamaha Fazer 2015 Moder কারবোরেটর টা।(তেলের কথা জানতে চেয়ে লজ্জা দিবেন না কারন তেল অনেক লেগেছে)
#ট্যুরের বিস্তারিত:
ঢাকা থেকে সরাসরি একটানা চলে গেলাম সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতু পার হওয়ার পরে বটতলা বিশ্বরোডের ওখানে অপেক্ষা করতে লাগলাম আমার আদরের ছোট ভাই #AbuTalha এর জন্য। আমার সাথে দেখা করার জন্য সে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থেকে চলে আসছে। ওর সাথে আরও একটা ভাইয়া ছিল। আপনাদের দুইজনের জন্য রইল অসীম ভালবাসা ও শুভেচ্ছা। লাভ ইউ তালহা।💓💓

পূর্বেই কথা হয়েছিল। 

SIRAJGANJ RIDER(S) এর ফাউন্ডার এডমিন, Shakilur Rahman

ভাইয়া আমাদের রিসিভ করতে এসেছিলেন বিশ্বরোড।তারপর সবাই মিলে চলে গেলাম সিরাজগঞ্জ শহরে সিরাজগঞ্জ শহরের বাইকার ভাইয়েরা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন,আমরা সিরাজগঞ্জ রাইডার্সে অবস্থিত বাইকার্স’ ভিলেজ বাইকের দোকানে সবাই মিলে আড্ডা এবং খাওয়া-দাওয়া করলাম।সেখানে আরো উপস্থিত ছিল।

NEXUS RIDERZ SIRAJGANJ🏍️ এর ফাউন্ডার এডমিন Najmul Sheikh, ভাইয়া সহ অনেকেই। সকল বাইকার ভাইদের জন্য রইল অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। সিরাজগঞ্জ এর ভালোবাসা পেয়ে প্রতিবারই আমি অনেক মুগ্ধ হই আপনারা বাইকারদের যেভাবে ভালোবাসেন সেটা কোনভাবেই মুখে প্রকাশ করে শেষ করা যাবেনা।আপনাদের সকলের জন্য রইল অসীম ভালোবাসা। আপনাদের গ্রুপগুলো অনেক দূর এগিয়ে যাক সব সময় এই কামনাই করি।
এরপর ওখান থেকে বিদায় নিয়ে শাকিল ভাইয়ের দেখানো পথে চান্দাইকোনা পথ ধরে এগিয়ে গেলাম বগুড়ার পথে। #বগুড়া ঢুকতেই মনে পড়ে গেল আমার একজন পছন্দের Selim Reza ভাই।

বড় ভাইয়ের কথা তাকে ফোন দিতেই বাসা থেকে বেরিয়ে এল রাস্তার উপরে , ভাইয়ের সাথে অনেক দিনের পরিচয় কথাও হয় অনেকদিন ধরে। অনেক ভালো মনের একজন মানুষ কিন্তু দেখা হল তার সাথে এটাই প্রথম সাথে ভাবিও ছিল। ভাই ভাবিতো তাদের বাসায় নেওয়ার জন্য অনেক জোরাজুরি করল কিন্তু আমরা যেতে পারলাম না ইনশাআল্লাহ সামনে একবার এসে আপনার ওখানেই থাকবো। আপনাদের জন্য অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।

ভাইয়ের সাথে দেখা শেষ করে বগুড়া শহর হয়ে সরাসরি চলে গেলাম #গোবিন্দগঞ্জ সেখানে শুরু থেকেই অপেক্ষা করছিলেন

Gentleman Bikers Bangladesh (GBB) মডারেটর Mahfuz Saddam

ভাইয়া, ভাইয়ার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো অনেক সময় অপেক্ষা করেছেন আমাদের জন্য, ভাইয়ার সাথে চা খেয়ে আবার শুরু করলাম বাইক চালানো গন্তব্য কুড়িগ্রাম। গোবিন্দগঞ্জ থেকে রংপুরে রওনা দেওয়ার সময় রাস্তার অবস্থা অনেক খারাপ ছিল মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল বাইকের সাসপেনশন ভেঙে যাবে। রংপুর হয়ে সরাসরি কুড়িগ্রামের রাস্তায় ঢুকতেই মাথায় হাত পড়ে গেল সেই পরিমাণ ভাঙ্গা রাস্তা। আস্তে আস্তে যেতে লাগলাম।

#ওইদিকে আবার আরিফ ইস্তিয়াক,ভাইয়া বিকাল থেকে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সারাদিনে যে কতবার কথা হয়েছে সেটা জানি না আমাদের দেরি দেখে ভাইয়া নিজেই গাড়ি নিয়ে 20-30 কিলোমিটার এগিয়ে এসে দাঁড়িয়ে ছিল। অবশেষে রাত বারোটার দিকে ভাইদের দেখা পেলাম সেটা একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল। আসলে বাইকারদের প্রতি বাইকারদের ভালোবাসা যে কেমন হয় সেটাই এই কমিউনিটিতে না থাকলে কেউ বলতে পারবেনা।
Dewan Sohan ভাইয়ের সাথে মাওয়া টুর এ প্রথম দেখা হয় #আরিফ ভাইয়ের সাথে এটা আমার ভাইয়ের সাথে সেকেন্ড টাইম দেখা। ভাইয়া এর সাথে আন্তরিকতা বিনিময়ের পর সরাসরি নিয়ে গেলেন কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে। যেতে পথে তিস্তা ব্রিজের উপর ছবি তুললাম।
একটা কথা বলে রাখি আমি এর আগে যখন কুড়িগ্রামে এসেছিলাম তখন এই তিস্তা ব্রিজ হচ্ছিল তখন আমি নৌকাতে বাইক পার করেছিলাম, অার আজ কত পরিবর্তন।
যাহোক ছবি তোলা শেষে আবার রওনা দিলাম এবং সরাসরি চলে আসলাম #কুড়িগ্রামে
সেখানে জিরো পয়েন্টে অপেক্ষা করছিল আমাদের আর এক ছোট ভাই সে আমাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিল। সবার সাথে কিছু সময় কুশলাদি বিনিময়ের পরে আমরা সরাসরি আরিফ ভাইয়ের বাসায় চলে গেলাম। ভাবী অনেক রাত জেগে ছিলেন আমরা যাব বলে।
#একটা কথা বলে রাখা ভাল ঐদিকে কিন্তু অনেক ঠাণ্ডা ছিল আমরা কিন্তু পুরা শীতের প্রটেকশন নিয়ে গিয়েছিলাম ।
রীতিমত একটু ফ্রেশ হয়ে আরিফ ভাইয়ের কার নিয়ে ঘুরতে বের হলাম ধরলার পার এবং শহরের আশেপাশের সব জায়গাগুলো ঘুরলাম।
এরপর বাসায় যেয়ে রাতের খাওয়া দাওয়া, আন্টি আমরা যাব শুনে সকাল থেকেই অনেক কিছু রান্না করে রেখেছিলেন অনেক মজা করে আমরা সবাই মিলে খেলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা দুই ফ্যামিলির সবাই মিলে আড্ডা দেয়া শুরু করলাম। প্রথম দিনে ৩৬০ কিলোর মতন গাড়ি চালানো হয়েছিল। যার কারণে আড্ডা কম দিয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেল বাসা থেকে নাস্তা করে নয়টার দিকে বের হলাম। #এবার পালা কুড়িগ্রামের আশেপাশে সবকিছু ঘুরে দেখা এবং আমাদের সাথে যুক্ত হলো, Kurigram Bikers Club এর এডমিন সহ কিছু মেম্বার কুড়িগ্রামের গ্রুপের সকলের জন্য রইল অসীম ভালবাসা ও শুভেচ্ছা।এরপর সবাই মিলে ঘুরতে এবং মিষ্টি খেতে গেলাম।
চলতিপথে প্রথম পেলাম #জিয়া পুকুর যে পুকুরটা আসলেই অনেক সুন্দর, সারাদিন বসে থাকা যায় এই জায়গায়, কিন্তু ব্যস্ততার কারণে বেশি সময় থাকতে পারলাম না সরাসরি মিষ্টি খেতে চলে গেলাম । সবাই মিলে মিষ্টি খেয়ে সরাসরি চলে গেলাম কুড়িগ্রাম শহরে, শহরে এসে সবাই মিলে ছবি তুলে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আরিফ ভাই এবং মুগ্ধ ভাইয়ের সাথে রওনা দিলাম লালমনিরহাটের দিকে ।

কুড়িগ্রামে অনেক মজার ছেলে ছিল আরিফ ভাইয়ের ছোট ভাই

Miftahur Tobayed Tuba & Mugdho Back To Back

অনেক মজার এবং অনেক ভালবাসার ছেলে ছিল এবং সেখানে কুড়িগ্রামের সবাই যারা ছিল সবাই অনেক ভালো ছিল। সবার জন্য রইল হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে অসীম ভালোবাসা।

#লালমনিরহাটের দিকে রওনা দেওয়ার শুরুতেই ছবি তুললাম মাইলস্টোন সাথে বিদায় কুড়িগ্রাম স্বাগতম লালমনিরহাট। ছবি তুলে শেষে করে আবার রীতিমতো রওনা দিলাম, পথের মধ্যে পেলাম লালমনিরহাটের পুরানো ইয়ারপোর্ট রানওয়েতে একটু বাইক চালালাম, রানওয়েতে ঘোরা শেষ করে ঘুরে আবার সরাসরি চলে আসলাম লালমনিরহাট শহরে লালমনিরহাট শহরে এসে জুম্মার নামাজ আদায় করলাম সবাই মিলে এরপর শহরের বিভিন্ন মাইলস্টোন এর সাথে ছবি তুলে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষে আরিফ ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসলাম বিদায়বেলাটা অনেক কষ্টের ছিল। আরিফ ভাইয়ের সাথে যতক্ষণ ছিলাম ততক্ষণ মনে হয়েছে নিজের ভাইয়ের সাথে আছি , ভাই আপনার ভালোবাসা কোন কিছুতেই বলে পূরণ করা যাবেনা এবং আন্টিও ছিল অমায়িক একজন মানুষ, আপনার পরিবারের সকলের জন্য রইল হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে অসীম ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।
#যেতে ইচ্ছা না করলেও যেতে হয় পরে ভাইয়াদের সাথে বিদায় নিয়ে কাকিনা হয়ে সরাসরি রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কাকিনা মহিপুর ব্রিজ এর উপরে ছবি তোলার সময় আরেক ভাইয়ের ফোন আসলো ভাইয়ের বাসা কাকিনা, কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতেই ভাইয়া চলে আসলো। ভাইয়ের সাথে আন্তরিকতা বিনিময় করে কিছু সময় কথা বলে আবার রওনা দিলাম রংপুরের উদ্দেশ্যে।

সেখানে অপেক্ষা করছিলেন আমাদের আরেকজন প্রিয় ভাই সেই মাওয়া টুর এ দেখা হয়েছিল

Pranto Hossain

ভাইয়া এর সাথে। ভাইয়াকে দেখে তো আমি অবাক, আমার মেয়ের জন্য কেক নিয়ে আসছে রীতিমতো একটা অনেক বড় সারপ্রাইজ দিল আমার #মেয়ের 64 জেলা পূর্ণ হওয়ার প্রথম কেকটা তার হাত থেকে পাওয়া। এই অসীম ভালোবাসার জন্য আমি অনেক কৃতজ্ঞ ভাইয়ের কাছে।

সেখানে আরো উপস্থিত ছিল Rangpur Bike Riders (R.B.R)

এডমিন সহ বেশ কিছু মেম্বার।

রংপুরের সকল মেম্বারদের জন্য রইল অসীম ভালবাসা ও শুভেচ্ছা।
এরপর সবাই মিলে কেক কেটে কেক খাওয়া শেষ করে সবার সাথে আন্তরিকতা বিনিময় করে আবার দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

#দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে রাস্তার মাঝে দুই একবার চা খেয়ে নিলাম এরপর সরাসরি চলে গেলাম রংপুর থেকে দিনাজপুর দিনাজপুর জিরো পয়েন্টে গিয়ে ছবি তোলা শেষ করে দেখা করলাম দিনাজপুর এর ভাইদের সাথে সেখানে ছিল

Dinajpur Bikerz (DBz)

গ্রুপের এডমিন @mahfuz ভাই সহ সকল মেম্বার। অনেকক্ষণ দিনাজপুরে জিরো পয়েন্টের ওখানে আড্ডা দিলাম। আড্ডা দেওয়া শেষে সবাই মিলে একসাথে চা খেলাম ছবি তুললাম। ভাইয়েদের আন্তরিকতা এতটাই ছিল যে আমি মুখে প্রকাশ করতে পারবো না। দিনাজপুরের সকল বাইকার ভাই এবং গ্রুপের জন্য রইল অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া ইনশাল্লাহ আবার কোন একসময় এসে আপনাদের ওখানে থেকে আপনাদের সাথে আড্ডা দিব। ভাইয়ারা তো কোনভাবেই আসতে দিবেননা দিনাজপুরে থাকতেই হবে।ওনাদের কোনরকম বুঝিয়ে উনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম রওনা দিলাম পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে। বিদায় বেলা টা অনেক কষ্টের ছিল।

#দিনাজপুর থেকে সরাসরি পঞ্চগড়ের দিকে রওনা দিলাম রাত হওয়ার কারনে ঠাকুরগাঁও শহরে ঢুকলাম না চলে গেলাম পঞ্চগড়ের বোদা বাজারে । সেখানে অপেক্ষা করছিলেন আরেকজন পছন্দের ভাই

Panchagarh Bikers Club – PBC

এর এডমিন@rezaul karim razu

ভাইয়ের সাথে দেখা হওয়ার পরে বুঝতেই পারলাম না সেটা ভাইয়ের সাথে প্রথম দেখা। ভাই এবং ভাইয়ের গ্রুপের জন্য রইল অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। পঞ্চগড়ের দিকে যেকোনো সহযোগিতার জন্য সবসময় পাশে আছে ভাইয়া। ভাইয়ার সাথে সরাসরি চলে গেলাম ভাইয়ার বাসায়। রাতে সবাই বসে আড্ডা দিলাম । ভাই আসলে এত ভালো তার সাথে না মিশলে হয়তো কখনোই বুঝতে পারতাম না। রাতে ঘুমিয়ে গেলাম।
#সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ভাইয়ের সাথে চলে গেলাম কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ভাইয়ের বাসা থেকেই স্পষ্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছিল এরপরে আবার বাসায় এসে সকালের নাস্তা করে ভাইয়ের পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম #বার আউলিয়ার মাজার দেখে ওখান থেকে বের হয়েই চলে গেলাম অনেক সুন্দর #মির্জাপুর জামে মসজিদে। মসজিদটা আসলেই অনেক সুন্দর ছিল। মসজিদের সামনে ছবি তুলে রেজাউল ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সরাসরি চলে গেলাম পঞ্চগড়, বিদায়বেলাটা আসলেই অনেক কষ্টের ছিল আপনাকে ছেড়ে আসতে অনেক কষ্ট হচ্ছিলো আপনি অনেক ভালো মনের একজন মানুষ আল্লাহ আপনার অনেক ভালো করুক সবসময় এই কামনাই করি।

এরপর @raju ভাইকে সাথে নিয়ে চলে গেলাম পঞ্চগড় শহরে পঞ্চগড় শহরে এসে চা খেয়ে সরাসরি বাংলাবান্ধার দিকে রওনা দিলাম। #বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট এবং আশেপাশের ছবি তুলে #ডাকবাংলোর দিকে রওনা দিলাম ডাকবাংলায় ছিল পঞ্চগড়ের ছেলে। 

Md Shahenur Alam

ভাই এবং তার ওয়াইফ। শাহিনের সাথে ডাকবাংলা ঘুরে দেখে তেতুলিয়া জিরো পয়েন্টের সাথে ছবি তুলে রওনা দিলাম আবার পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে। শাহিনের সাথে অনেক দিনেরই কথা হয় এটাই আমার প্রথম দেখা ছিল শাহিনের জন্য রইল অসীম ভালবাসা ও শুভেচ্ছা।

শাহিনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সরাসরি রওনা দিলাম পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে। পঞ্চগড়ে এক ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা করে রওনা দিলাম ঠাকুরগাও এর উদ্দেশ্যে।
ঠাকুরগাঁও শহরে এসে শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে #আমার মেয়ের 64 জেলা শেষ করে বের হয়ে ঢাকার দিকে আগাতে থাকলাম সময় স্বল্পতার কারণে আর রংপুরে কারো সাথে দেখা করতে পারলাম না।
#ঠাকুরগাঁওয়ে আমার মেয়ের 64 জেলা শেষ করার পরে একটা অন্যরকম আনন্দ কাজ করছিল যার কারণে হয়তো ক্লান্তি ভাবটা বুঝতেই পারিনি ততক্ষণে প্রায় #৩৫০কিমি গাড়ি চালানো হয়েছে। এরপর আর কারো সাথে দেখা না করে সরাসরি একটানে চলে আসলাম সিরাজগঞ্জে।
#সিরাজগঞ্জের সকলের কথা না বললেই নয় তাদের ভালবাসায় আমি বরাবরই মুগ্ধ। সিরাজগঞ্জে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল সিরাজগঞ্জ রাইডার্স এর ফাউন্ডার এডমিন @#shakil ভাইয়া
আমার মেয়ের জন্য 64 #জেলা সম্পন্ন করা উপলক্ষে ক্রেজ বানিয়ে রেখেছেন রাত এগারোটার পরে সিরাজগঞ্জ শহরে ঢুকে ভাইয়াদের সাথে দেখা করে ডিনার করে রওনা দেই এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস আমার মেয়ের 64 জেলা সম্পন্ন করা উপলক্ষে প্রথম #সংবর্ধনা ক্রেস্ট সিরাজগঞ্জ রাইডার্স এর কাছ থেকে পেল এটা আমার এবং আমার মেয়ের জন্য অনেক বড় সৌভাগ্য। অনেক অনেক ভালোবাসা রইল সকলের জন্য সিরাজগঞ্জবাসীর জন্য সিরাজগঞ্জের গ্রুপের সকল বাইকারদের জন্য। love you all
সিরাজগঞ্জ থেকে বিদায় নিয়ে সরাসরি ঢাকা চলে আসলাম রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে ঢাকায় এসে পৌছালাম ৭০০+কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে।

#ধন্যবাদ জানাই

BD Tanjin

ভাইয়াকে সম্পূর্ণ টুর এ আমার সফরসঙ্গী ছিল #Motorax ইঞ্জিন অয়েল আমি ঢাকা থেকে 300+কিলোমিটার নিয়ে রওনা শুরু করি এরপর আরও 1400 কিলোমিটার গাড়ি চালিয়েছি সর্বমোট 1730 কিলোমিটার গাড়ি চলছে এখনো ইঞ্জিন অয়েল টা অনেক স্মুথ চলছে। এটাই আমার প্রথম মোটর এক্স ব্যবহার করা ছিল আমি এই ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে আমি অনেক স্যাটিসফাইড।

#কিছু কিছু বিষয় না বললেই নয় পুরো ট্যুরের রাস্তাই বেশ খারাপ ছিল মাঝে মাঝে মনে হয়েছে বাইকের সাসপেনশন ভেঙে যাবে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে কোন রকম কোন সমস্যা ছাড়াই ট্যুর শেষ করে বাসায় ফিরেছি । আল্লাহর কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আর এই ট্যুরে অনেক কিছুই শিখেছি অনেক ভালোবাসা পেয়েছি বাইকার ভাইদের।
বাইকিং কমিউনিটির কথা যদি আমাকে কেউ জিজ্ঞাসা করে আপনি কি পেয়েছেন উত্তরে আমি একটা কথাই বলবো।
সেটা হল বাইকারদের অফুরন্ত ভালোবাসা।
সকল বাইকার অনেক সুখে এবং ভালোভাবে থাকুক আল্লাহর কাছে এই দোয়াই করি।
আল্লাহ আমাদের সকল বিপদ থেকে দূরে রাখুন আমিন
রেস্পেক্ট সকল বাইকার🙇🙇
আমরা সকল বাইকার ভাই ভাই💓💓