কিভাবে ঘরে বসে অনলাইন লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করবেন

বাইক কিংবা গাড়ি দুটির ক্ষেত্রেই ড্রাইভিং লাইসেন্স যেন অপরিহার্য, এর জন্য সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হয় শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। আর এই করোনাকালিন সময়ে যেটা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং সাথে বি আর টি এ মানেই এক হয়রানীর নাম, তাই এখন থেকে ঘরে বসে অনলাইনে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ব্যবস্থা করেছে- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃপক্ষ। কিভাবে এই লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন অনলাইনে করবেন সেটি নিয়ে আলোচনা করবো।

অনলাইন লার্নার আবেদনের জন্য সবার প্রথমে আপনাকে অনলাইনে বি আর টি এ এর সার্ভিস পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে- BRTA Service Portal

 

এখানে প্রবেশ করে আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে, রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে যেসব তথ্য প্রয়োজন-

১) জন্ম তারিখ ( ন্যাশনাল আইডি কার্ড অনুযায়ী )

২) ন্যাশনাল আইডি কার্ড নম্বর

৩) মোবাইল নম্বর

৪) ইমেইল আইডি

এরপর একটি পাসওয়ার্ড সেট করে অপশনে ক্লিক করতে হবে, তারপর আপনার ফোনে যে নম্বর দিবেন সেই নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে, এবং সেই ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে ভেরিফাইড করতে হবে।

ইংরেজীতে সমস্যা হলেও আপনি চাইলে সাইটটি বাংলা অপশন থেকে বাংলায় কনভার্ট করে নিতে পারেন। রেজিষ্ট্রেশনের সকল কার্যক্রম শেষে ড্রাইভিং লাইসেন্স অপশনে ক্লিক করুন, এরপর  শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনাকে লার্নার লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত বা নির্দেশনা দেয়া হবে সেগুলো ভাল ভাবে পড়ে চেক করে ওকে অপশন ক্লিক করুন।

এরপর একটি ফর্ম আসবে যার উপরে থাকবে আপনি কোন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে চান যদি পেশাদার হয় তাহলে পেশাদার এ ক্লিক করুন আর যদি অপেশাদার হয় তবে সেটি অপেশাদার হবে। এরপর পুরো ফর্ম ফিলাপ করুন যেসব তথ্য চেয়ছে যেমন নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা সহ অন্যান্য তথ্যাদি ( অবশ্যই সেটি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী )

আপনি যদি শুধু মোটরসাইকেল এর জন্য করতে চান তাহলে আপনাকে ৩৪৫ টাকা অথবা আপনি যদি মোটরসাইকেলের সাথে হালকা যান (প্রাইভেট কার) করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ৫১৮ টাকা জমা দিতে হবে। আপনি চাইলে আপনার সুবিধামতো এলাকার বি আর টি এ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন, এজন্য আপনাকে এলাকা নির্ধারণ করে দিতে হবে।

এর পর আপনাকে কিছু ছবি আপলোড করতে হবে –

মেডিকেল সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইউটিলিটি বিলের ( বিদ্যুৎ/ পানি/ গ্যাস ) বিলের কপি, মেডিকেল সার্টিফিকেট অবশ্যই সত্যায়িত থাকতে হবে। এবার সংরক্ষন অপশনে যাবেন, তারপর সব কিছু একবার চেক করে নিন সব ঠিক থাকলে পেমেন্ট অপশন পাবেন। পেমেন্ট আপনি বিভিন্ন অনলাইন সোর্স এই করতে পাবেন, সেই অপশন এখানেই পাবেন। পেমেন্ট হয়ে গেলে সাকসেস্ফুল লেখা আসবে। তার মানে সকল কার্যক্রম সঠিক ভাবে হয়ে গেছে, এর পর প্রিন্ট করে নিলেই সেটি হবে আপনার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স।

[ বিঃদ্রঃ প্রতিটা সার্টিফিকেট এর ছবি সর্বোচ্চ ৬০০ কে বি হতে হবে ]

Related Posts

error: Content is protected !!