আমাদের দেশে যদিও শীতকাল খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী নয়, বছরের অর্ধেকের বেশি সময়ই প্রায় গরম থাকে এর মাঝেও প্রায় ৩-৪ মাস শীত কালের স্থায়ীত্ব থাকে। শীত কালে যেন সবকিছুই একটু থমকে যায়, যেকোন কিছুর একটু বেশি যত্ন দরকার হয় ঠিক তেমনি আমাদের বাইকেরও কিছু যত্নের প্রয়োজন আছে। শীতকালে বাইকের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আসুন জেনে নেই শীতকালে বাইকের যত্নে কি কি করণীয়ঃ
১) বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ বাইকেই সেলফ বা ইলেক্ট্রিক স্টার্ট সিস্টেম এখন তাই এখন প্রায় কিক প্রায় কিক দিয়ে স্ট্রাট দিয়ে ভূলেই গেছি আমরা, তবে শীতকালে চেষ্টা করবো দিনের প্রথম স্টার্টটা কিক দিয়ে দিতে, কেননা শীতে পেট্রোলের ঘনত্ব অনেকটাই কমে যায় আর ইঞ্জিন অনেক বেশি ঠান্ডা হয়ে যায় যার দলে স্পার্ক প্লাগে সহজে কারেণ্ট পৌঁছায় না এজন্য সেলফ তো দূরে কিকেই অনেক সময় কাজ হয় না। তাই চেষ্টা করবো আমরা দিনের প্রথম স্টার্ট কিক দিয়ে দেয়ার আর আর যেহেতু এখন অনেক বাইকেই কিক অপশন থাকে না তারা চেষ্টা করবো বাইকের ব্যাটারীর সঠিক যত্ন নেয়া ।
২) দিনের প্রথম স্টার্টের পর স্টার্ট দিয়েই বাইক না চালিয়ে বা রেভ না করে চেষ্টা করবেন স্টার্টের পর কিছুক্ষন বাইকটি আইডল আর পি এম এ রেখে ৪-৫ মিনিট পর চালানোর যদিও এটা কার্বুরেটর বাইকে একটু কষ্টকর কেননা কার্বুরেটর বাইকে সকালের প্রথম স্টার্টে স্টার্ট ধরে রাখা একটু সমস্যা আর পি এম ছেড়ে দেয় তারা কিছুক্ষন থ্রোটল দিয়ে ইঞ্জিন হিট করে চালাবেন এতে করে ইঞ্জিন ভাল থাকবে।
৩) আমরা অনেকেই বাইকে পেট্রোল ব্যবহার করে থাকি, যেটা শীত কালে বাইকের স্টার্টে সমস্যা করে , এতে অনেক সময় পাওয়ার লুস করে। তাই ফুয়েল বুস্টার হিসেবে অকটেন অনেক ভাল জিনিস, অকটেন দ্রুত ইঞ্জিনের সাথে মিশে দ্রুত পাওয়া প্রদান করে। আর যারা রেগুলার অকটেন ব্যবহার করেন তাদের এক্ষেত্রে ভাল পারফরমেন্স পাবেন।
৪) এর পর আসবো স্পার্ক প্লাগ নিয়ে, শীতকালে একটু ঘন ঘন স্পার্ক প্লাগ পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন, এতে কারেন্ট ভাল পাবে। সবচেয়ে ভাল হয় শীতের শুরুতে নতুন স্পার্ক লাগিয়ে নিলে আর চিন্তা থাকবে না।
৫) এর পরে আসবো বাইকের এয়ার ফিল্টার নিয়ে, এটা অনেক প্রয়োজনীয় একটা পার্টস। বাইকের এয়ার ফিল্টার থাকলে আপনি যেমন ভাল মাইলেজ পাবেন তেমনি ভাল পারফরমেন্স ও পাবেন। আর শীতে ধুলা বালি অনেক বেড়ে যায় তাই ঘন ঘন এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করুন, পারলে শীতের শুরুতে নতুন এয়ার ফিল্টার লাগিয়ে নিন। আর শীতে অধিক কুয়াশার কারণে এয়ার ফিল্টার দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
৬) শীত কালে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা পড়ে যা বাইকের জন্য ক্ষতিকর খুবই, বাইক সরাসরি খোলা আকাশে নিচে রাখবেন না এতে করে কুয়াশায় বাইক সম্পূর্ন ভিজে যায় এতে ব্যাটারীর উপর প্রভাব পরে। তাই চেষ্টা করবেন বাইক ফাঁকা জায়গায় না রাখার যদি একান্তই রাখতে হয় তাহলে অবশ্যই ঢেকে রাখবেন।
৭) বাইকের চেইন শীতকালে অধিক ধুলাবালির জন্য ময়লা হয়, তাই চেষ্টা করবেন প্রতি ২০০কিঃমিঃ পর পর চেইন ক্লিন করার।
৮) নিয়মিত ব্যাটারী চেক আপ করুন, যাদের বাইকে কিক অপশন নেই তাদের জন্য ব্যাটারী অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
৯) এছাড়া বাইকের যেসন ঘূর্ণন পার্টস আছে যেমন ক্লাচ ক্যাবল, চেইন, ব্রেক ও গিয়ার লিভার ইত্যাদি। সাধারণত এই সব জায়গায় গ্রিজ দেওয়া থাকে, আপনি গ্রিজ না দিয়ে ইঞ্জিন ওয়েল দিবেন, কারনে শীতকালে গ্রিজ আরো জমে যায়।
শীতকালে এইসব কিছু যদি খেয়াল করে বাইকের যত্ন নেয়া যায় তবে কোনো রকম সমস্যা পরবেন না, বাইক একটি যান্ত্রিক যান সুতরাং এর সমস্যা হবেই আর সেটা আমাদের ই নিজেদের খেয়াল করে যত্ন নিতে হবে।
- Hero Hunk DD ১৭০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ ( লিখেছেন- শান্ত) - এপ্রিল ২, ২০২৪
- Hero Hunk ১০,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ফাহিম হোসেন তপু) - মার্চ ১১, ২০২৪
- Hero Hunk ৪২,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ইফাজ আহমেদ) - মার্চ ১০, ২০২৪