বাংলাদেশে ষড়্রঋতূর দেশ, কিন্তু এখন মনে হয় ৩ টা ঋতুই আমরা অনুভব করি তা হলো গ্রীষ্ম, বর্ষা আর শীত। যার মধ্যে প্রায় ৮ মাস জুড়ে চলে গরমের তীব্রতা, আর এই তীব্র গরমে বাইক চালানো মানেই যুদ্ধের মতো। আর এমন তাপদাহ আবহাওয়ায় অন্য সবার চেয়ে একটু বেশি মাথা বেথার কারণ হয়ে যেতে পারে বাইকারদের জন্য। তারপরেও তো ট্যুর থেমে থাকবে না। তবে এই গরমে ট্যুর কিংবা বাইক রাইডের ক্ষেত্রে কিছু জিনিস খেয়াল রেখে বাইক রাইড করা উচিৎ। সেইসব বিষয় নিয়েই আজ আলোচনা করবো।
১) গরমের সময়ের রাইডে পোশাকের ক্ষেত্রে একটু খেয়াল রাখতে হবে। কেননা এই তীব্র গরমে আপনি যখন বাইক রাইড করবেন তখন না থাকবে কোনো এসি কিংবা মাথার উপরে ছাঁদ। শীতে আমরা অনেকেই মোটা কাপড় পড়ে সাথে রাইডিং জ্যাকেট পড়ে বাইক রাইড করি কিন্তু গরমে এসব পড়ে রাইড করলে কি অবস্থা হবে ভাবুন বিশেষ করে লং রাইড করেন। চেষ্টা করবেন কিছুটা পাতলা কাপড় পড়ার এবং বেশি উজ্জ্বল কাপড় পড়বেন, কালো রঙ এর কাপড় থেকে বিরত থাকুন। আর যারা রাইডিং জ্যাকেট পড়েন রেগুলার তারা চেষ্টা করবেন তুলনা মূলক কম মোটা জ্যাকেট পড়তে। সবচেয়ে ভাল হয় পাতলা কাপড় পড়ে ভাল মানের ইউন্ড ব্রেকার পড়তে আর সেইফটির জন্য সেইফটি গার্ড পড়ার। একটানা লম্বা সময় ধরে রাইড না করে প্রতি ৫০-৬০ কিঃমিঃ পর পর বিশ্রাম নেয়ার জন্য।
২) এর পরে অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে পানি শূন্যতা রোধ করা। কেননা আপনি যখন এক টানা রাইড করবেন প্রচন্ড রোদে আপনার পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে যা আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই বেশি বেশি পানি পান করুন, এবং বাইকে সবসময় পর্যাপ্ত পানি রাখুন যাতে কিছুক্ষন পর পর পানি পান করতে পারেন। এছাড়া এখন বাজারে পানির জন্য ছোট ব্যাগ পাওয়া যায় অনেক যা আপনি ঘাড়ে নিয়ে রাইড করার সময়ও পানি পান করতে পারবেন। আর তীব্র গরমে প্রচুর পানি পান করতে হবে। যদি সম্ভব হয় স্যালাইন পানি পান করার চেষ্টা করবেন।
৩) গরমের সময় লং ট্যুরে একটানা রাইড করবেন না চেষ্টা করবেন কিছুদূর পর পর বিরতি দেয়া এবং বিশ্রাম নেয়া এতে যেমন আপনার শরীরের জন্য ভাল তেমনি বাইকের জন্য ভাল কেননা বাইকের ইঞ্জিন গরমের সময়ে ওভারহিট হয়। তাই কিছুদূর রাইডের পর ঘন ঘন বিরতি দিন।
৪) এর পর বলা যাক আমাদের রাইডিং এর কিছু বিষয় নিয়ে যেহেতু লং রাইডে সেইফটির বিকল্প কিছু নেই সেহেতু অবশ্যই পুরো সেইফটি মেনে ট্যুরে যেতে হবে। যেমন গরমের সময়ে হ্যান্ড গ্লাভস বাছাই ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যাতে হাতে যথষ্ট পরিমান বাতাস প্রবাহিত হয়। ভাল মানের ইউন্ড ব্রেকার অথবা জ্যাকেট যা ভিতরে বাতাস প্রবাহিত করবে এবং হেলমেট আমরা জানি ফুল ফেস হেলমেট গরমে বেশ কষ্টসাধ্য তাই চেষ্টা করবেন হেলমেট বাছাই এর ক্ষেত্রে ভাল ভেন্টিলেশন আছে এমন হেলমেট যেন হয়।
৫) গরমকালে শুধু নিজের কথা ভাবলেই হবে না আপনার প্রিয় বাইকটিরো কিছু যত্ন নিতে হবে। কেননা প্রচন্ড গরমের সাথে বাইকের ইঞ্জিন ওভার হিট হয়ে যায়। তাই কিছুক্ষন পর পর ব্রেক দিয়ে বাইকের ইঞ্জিন খেয়াল করুন এবং ৫-১০ মিনিট বিশ্রাম দিন। ভাল মানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করুন যাতে ইঞ্জিন কম হিট হয়, আর যদি লিকুইড বাইক হয়ে থাকে তাহলে রেগুলার বাইকের কুলেন্ট চেক করুন।
৬) গরমের সময় ট্যুরে গেলে বাইকের টায়ার প্রেসার প্রতিদিন পারলে চেক করে নিন। কেননা অধিক গরমে টায়ার প্রেসার কমে বা বেড়ে যেতে পারে তাই আইডল বা নির্দিষ্ট মাপের প্রেসার রাখুন। তবে যদি বৃষ্টি থাকে তাহলে টায়ার প্রেসার কিছুটা কম রাখুন এতে করে ব্রেকিং ভাল হয়।
৭) গরমের সিজনে বৃষ্টির ও এক ভয় থাকে, আচমকা যেকোন মুহুর্তে আবহাওয়া খারাপ হয়ে যেতে পারে তাই সতর্কতার বিকল্প নেই। রাইডে বের হওয়ার সময় রেইন কোট সাথে নিয়েই বের হোন যাতে করে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
গরমের সময় এসবকিছু নিয়ম মেনে বাইক রাইড করা ভাল, আর চেষ্টা করবেন লং রাইডের ক্ষেত্রে ভোরে বের হওয়ার জন্য কেননা ভোরে তাপমাত্রা অনেকটাই কম থাকে এবং রোদের প্রকপ কম থাকে।
- Hero Hunk DD ১৭০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ ( লিখেছেন- শান্ত) - এপ্রিল ২, ২০২৪
- Hero Hunk ১০,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ফাহিম হোসেন তপু) - মার্চ ১১, ২০২৪
- Hero Hunk ৪২,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ইফাজ আহমেদ) - মার্চ ১০, ২০২৪
You must be logged in to post a comment.