আমাদের দেশে বিগত কয়েক বছরে যে পরিমাণে বাইক বেড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না, ঠিক সেই হারেই বেড়েছে বাইক দূর্ঘটনা। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে মাথায় আঘাতের ফলে মৃত্যু। মানব দেহের অন্যতম সেনসিটিভ স্থান হচ্ছে মাথা। এর জন্যই মূলত আমাদের হেলমেট পড়া। একটা সময় ছিলো না ছিলো কোনো ভাল হেলমেট, না ছিলো কোনো সার্টিফিকেশন। কিন্তু দিন কে দিন এই জিনিসটা কমে আসছে। এসেছে অনেক নামী-দামী ব্রান্ডের বিভিন্ন সার্টিফাইড হেলমেট। আসলে এখনো এই ট্রেন্ড টা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে নি যে নিজের জীবনের জন্য হেলমেট পড়তে হবে, আমরা এখনো অনেকে হেলমেট টা পড়ি শুধু মাত্র পুলিশের হয়রানি থেকে পার পাওয়ার জন্য, কিন্তু এটা আসলেই ভূল।
আমি আজকে একটি সার্টিফাইড হেলমেটের নিজস্ব ইউজার রিভিউ শেয়ার করবো। বাংলাদেশের বাজারে এখন অনেক অনেক ব্রান্ডের হেলমেট পাওয়া যায়, তার মধ্যেও বাছাই করে আমি MT ব্রান্ডের Revenge 2 মডেলটি নেই। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৮৫০০ টাকা। প্রথমেই বলি এইটা কেনার মূল কেনার কারণ হচ্ছে এর আরামদায়ক প্যাডিং এবং এর ভেন্টিলেশন। প্রথমেই বলে নেই MT এর এই মডেল টিকে বলা হয় ভেন্টিলেশন কিং যেটা আমি ব্যবহারের পর বুঝতে পেরেছি কেন বলা হয়। একটা হেলমেট পরে যদি আপনি কম্ফোর্ট ফিল না করেন তাহলে সেই হেলমেট পরে কখনোই ভালভাবে রাইড করতে পারবেন না। তাই হেলমেট কেনার আগে অবশ্যই পড়ে দেখবেন। হেলমেট টি কেনার পরেই আমি কক্সবাজার ট্যুরে যাই,
আর স্বভাবত যা হয় এই টেনশনেই ছিলাম যে একটা নতুন হেলমেট মাথার সাথে এডজাস্ট হতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। তাই একটু ভয়ে ছিলাম পরে না ঘাড়ে বেথা হয়। যাই হোক হেলমেট প্রথম পড়েই কক্সের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাই। কিন্তু যে ধারণা আর ভয়টা ছিলো তা একদম পাই নি। এর ভেন্টিলেশন আসলেই প্রশংসার দাবি রাখে, প্রচন্ড গরমের মাঝে যখন বাইক চালাবেন হেলমেট ভিতরটা একদম ঠান্ডা হয়ে থাকবে বাতাসে। আর অন্যতম ভাল লাগার জিনিস হচ্ছে এর লুকস এবং গ্রাফিক্স। যা যে কারো চোখে লাগবে মূহুর্তেই, এর গ্রাফিক্স সত্যি অসাধারণ। আর এর কালার নিয়ে এখন কিছু বলবো না দেখি আগে কিছুদিন ইউস করে, কেননা এর আগে টার্গো এর কালার নষ্ট হয়ে যাওয়ার অনেক অভিযোগ দেখেছি। এর প্যাডিং অনেক আরামদায়ক। তবে যারা হেলমেট কিনবেন তারা একটু টাইট ফিট দেখে নিবেন কেননা কয়েকদিন এটা ব্যবহার করলেই অনেকটা ছেড়ে দেয়।
খারাপ লাগার মাঝে কিছু জিনিস আছে, এর সামনের ভেন্টিলেশন টা খুলে দিলে একদম ফাঁকাই বলা যায় যার কারণে রাইডের সময় রাস্তার সকল ধুলা বালি সরাসরি আপনার মুখ এবং নাকে যাবে তাই ওই ভেন্টিলেশন টা খোলা রাখা এক প্রকার ঝামেলা মনে হয়, আর আমি ভরপুর বৃষ্টিতে রাইড করেছি ভেবেছিলাম হয়তো সাইডের লাইনার প্যাডিং টা ভিজে যাবে কিন্তু আমার হেলমেটের ভিতরে ভিজে যায় কিভাবে বুঝি না। তবে সাধারণ বৃষ্টিতে সমস্যা না হওয়ার আশা রাখি। এগুলো ছাড়া আর কোনো খারাপ লাগা নেই।
আমরা যারা লাখ খানেক টাকা দিয়ে বাইক কিনি তারা চাইলেই ৪-৫ হাজারের মধ্যে একটা সার্টিফাইড যে কোন হেলমেট কিনতে পারি, এটা আমাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য। আশা করি রিভিউ টি সকলের কাজে আসবে হেলমেট টি কিনতে।
- Hero Hunk ১০,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ফাহিম হোসেন তপু) - জুন ১১, ২০২২
- Hero Hunk DD ১৭০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ ( লিখেছেন- শান্ত) - জুন ২, ২০২২
- ৪ বাইকারের “রোড সেফটি এন্ড এওয়ার্নেস” স্লোগান নিয়ে ৬৪ জেলা ভ্রমন - ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২
You must be logged in to post a comment.