সঠিক পদ্ধতিতে হেলমেট ওয়াশ

বাইকারদের জীবনের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে হেলমেট। একটি ভাল মানের হেলমেট যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে বাইকারদের জীবন রক্ষা করে, ঠিক তেমনই দৈনন্দিন জীবনে ধূলোবালি থেকেও রক্ষা করে। এছাড়াও একটি হেলমেট বাইকারদের সৌন্দর্য্য বর্ধনে অনেক বেশি সহায়তা করে। We can justify a biker from his get up and helmet.

দৈনন্দিন ব্যবহার্য্য জিনিস যেমন পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার দরকার হয় ঠিক তেমনই হেলমেটও সঠিক সময়ে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করার প্রয়োজন। এতে করে হেলমেটটির লাইফটাইম অনেক বেড়ে যায় এবং প্যাডিং, ভাইসর থাকে ক্লীন ও জীবাণুমুক্ত। যার ফলে র‍্যাশ হওয়া থেকে বাইকারদের ফেইস রক্ষা পায় ও ভিসিবিলিটি বারে।

হেলমেট পরিষ্কার করার প্রচলিত দুটি পদ্ধতি আছে। যথাঃ
১) ডিপ ক্লীন।
২) ফরমাল ক্লীন।

আসুন এই দুটি নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।

১) ডিপ ক্লীন: ডিপ ক্লিন হচ্ছে সেই পরিষ্কার পদ্ধতি যাতে হেলমেট কে পার্ট বাই পার্ট আলাদা করে আলাদা আলাদা ভাবে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়। এই ডিপ ক্লিন পদ্ধতিটি একটু সময় সাধ্য কিন্তু অনেক ইফেক্টিভ। এই পদ্ধতিতে কিভাবে হেলমেট ওয়াশ করবেন তা বিস্তারিত জেনে নেইঃ

প্রথমে হেলমেটের ভাইজর এবং প্যাডিং গুলো আলাদা করে নিতে হবে। তারপর একটি বোল বা মগে ওয়াশিং পাউডার এবং কিছুটা এন্টিসেপটিক লিকুইড মিশিয়ে নিন। এটিতে পেডিং গুলো চুবিয়ে রাখুন। এরপর ভালো মানের ওয়াশিং ফোম হেলমেট এর শিল্ড ও ভাইসোরে দিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিন। এরপর পরিস্কার পানি ও ফোম সাহায্যে হেলমেটের সিল্ড ও ভাইসর টি ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং ভিজিয়ে রাখা প্যাডিং গুলো ভালো ভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। পিডিং গুলো রোদে শুকাতে দিন ও একটি মাইক্রো ফাইবার কাপড়ের সাহায্যে হেলমেটের শিল্ড ও ভাইসর ভালো ভাবে মুছে নিতে হবে।
পেডিং শুকিয়ে গেলে ভাইজার ও পেডিং হেলমেটে লাগিয়ে নিন। সবশেষে ভাইজর ক্লিনার স্প্রে দিয়ে ভাইজারটি এবং হেলমেট ক্লিনার স্প্রে ও মাইক্রো ফাইবার কাপড় এর সাহায্যে হেলমেটটি ভালোভাবে মুছে নিন। এন্টিরেশ স্প্রে করে নিতে পারেন হেলমেটের ভিতর দিকে।

২) ফরমাল ক্লীনঃ ফর্মাল ক্লীন হচ্ছে সেই ওয়াশিং পদ্ধতি যাতে হেলমেট পার্ট বাই পার্ট আলাদা না করেও সাময়িক সময়ের জন্য পরিষ্কার করা যায়। এই ক্লিনিং সিস্টেমের সুবিধা হচ্ছে এটা খুব অল্প সময়ের মধ্যে হেলমেট কে পরিষ্কার করে।
আসুন এই পদ্ধতিতেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

প্রথমে পুরো হেলমেটটির ভিতর ও বাহিরে ভালো মানের ওয়াশিং ফোম দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। এরপরে হাত পানিতে চুবিয়ে নিয়ে খালি হাতে ভালোভাবে শিল্ড পরিষ্কার করে নিতে হবে ও ভাইজোরে আটকে থাকা বিভিন্ন পোকামাকড় আলতো হাতে তুলে নিতে হবে। এরপর একটি মাইক্রো ফাইবার কাপড় দিয়ে শুকনো করে মুছে নিতে। এরপর একটি সুতি কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে হেলমেটের পেডিং এর অংশগুলো ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। এরপর ফ্যানের বাতাসে অথবা রোদে হেলমেটটি শুকিয়ে নিতে হবে। সবশেষে, ভাইজার ক্লিনার স্প্রে ও মাইক্রো ফাইবার কাপড় দিয়ে ভাইসরটি পূনরায় পরিষ্কার করতে হবে ও পেডিং এ এন্টি রেশ বা এন্টিসেপটিক স্প্রে করে নিতে পারেন।

বিঃদ্রঃ হেলমেট পরিস্কারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো মানের ওয়াশিং ফোম স্প্রে, ভাইজার ক্লিনার স্প্রে, অ্যান্টি রাশ স্প্রে, মাইক্রো ফাইবার কাপড়, ফোম ব্যাবহার করতে হবে।

অলি আহাদ খান
Latest posts by অলি আহাদ খান (see all)

Related Posts

error: Content is protected !!