আমি আমার সবক’টি ট্যায়ার এর হাওয়ার প্রেসার সামনে ৩০ psi এবং পেছনে ৩৫ psi রাখি এবং ৯৭% সময় সিঙ্গেল এ রাইড করি।
আর এই বাইক এর সামনের ও পেছনের রীম সাইজ প্রায়ই একই। মাত্র ২ মিমি এর পার্থক্য । আমি মনে করি পেছনের ট্যায়ার এর চেয়ে এই বাইক এ প্রথম এ সামনের টায়ার এ গুরুত্ব দেওয়া বেশি দরকার । কারন এ বাইকের যে ওজন তা ব্রেক করলে সম্পূর্ন সামনের চাকায় পরে যা সামনের স্টক টায়ারের নেওয়ার ক্যাপাসিটি নেই। সবাইকে দেখি শুধু পেছনের মোটা চাকা নিয়েই মাতামাতি করে । সামনে এবং পেছনের দুই টায়ার একী ক্যাটাগরি না হলে সম্পূর্ণ ব্রেকিং এবং ব্যালেন্স হবে না।
প্রথমেই আমি বলব স্টক টায়ার এর সম্পর্কেঃ
সামনে: 80/100 x 17 (MRF) এবং পেছনে: 110/80 x 17 (MRF)
মাইলেজ: মাইলেজ ১ লিটার অকটেন এ ৩০ কি মি পেয়েছিলাম । মাইলেজ টা আসলে বেশিরভাগ নির্ভর করে চালানোর ক্যাটাগরি এর উপর। তবুও আমি এ্যাভারেজ হিসেব করে বললাম।
রেটিংঃ ১০ এ ৭
স্পীড: খুব দ্রুত গতি উঠে। তবে হাইস্পিড এ পেছনে নড়াচড়া করে ।
রেটিংঃ ১০ এ ৭
ব্যালেন্স: ব্যালেন্স মোটামুটি বলা যায় । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পা নামাইতে হয় বাইক স্লো করলে ।হাইস্পিড এ পেছনে নরাচরা করে । একটু বাউলি দিলে পুরো বাইকের ব্যালেন্স ন্ষ্ট হয়ে যায় ।
রেটিংঃ ১০ এ ৬
ব্রেকঃ ব্রেকিং আহামরি না এক কথায় । বেশি স্পিড এ হঠাত হার্ড ব্রেক করলে সামনের চাকা স্কিড করে পরে গিয়ে সামনের রিম এবং শক এ্যবজবার টাল হওয়ার সম্ভবনা থাকে বেশি ।
রেটিংঃ ১০ এ ৬
কর্ণারঃ কর্ণার এ বিন্দু পরিমান কনফিডেন্স পাওয়া যায় না । এ টায়ার এ যে কর্ণার হয় তা নর্মাল ১০০ সি সি সেগ্মন্টে এও সম্ভব ।
রেটিংঃ ১০ এ ৫
কম্পাউন্ড: এ টায়ার এ ট্যায়ার এর কম্পাউন্ড হার্ড। তাই ট্যায়ার একটু ভারী। ব্রেকিং এ এবং বাইক রান করার সময় মাটি কম ধরে রাখে। আর এই কম্পাউন্ড এ টায়ার এর আয়ু অনেক বেশি থাকে। ক্ষয় হয় কম। ৩৫০০০ কি.মি পর্যন্ত টিউবলেস অবস্থায় চালানো যাবে।
রেটিংঃ ১০ এ ৫
লুক: লুক এই বাইক এ একেবারেই বে মানান মনে হয়েছে আমার কাছে ।
রেটিংঃ ১০ এ ৪
এক্সপেরিমেন্ট ১
সামনে: 90/90 x 17 (MRF) এবং পেছনে: 120/80 x 17 (MRF)
যা স্টক সাইজ থেকে ১ সাইজ করে বড় এবং যা পালসার ২২০ তে ব্যবহার করা হয়।
দাম যখন কিনেছি তখন: ২৯০০ , ৪১০০ জায়গা ও সময় অনুসারে দাম ভিন্ন হতে পারে । আর টায়ার এর ও একটা ব্রেকিং পিরিয়ড থাকে । যেটা সম্পূর্ন এ্যড্সাট হতে ১০০০ কি মি সময় লাগে ।
মাইলেজ: মাইলেজ ১ লিটার অকটেন এ ২৭ কি মি পেয়েছিলাম ।
রেটিংঃ ১০ এ ৬
স্পীড: গতি তে কোন পার্থক্য পাই নি । হাইস্পিড এ পেছনে পিলিয়ন থাকলে নরাচরা করে না ।
রেটিংঃ ১০ এ ৭
ব্যালেন্স: আগের স্টক এর চেয়ে অনেক ভাল । পা নামাইতে হয় না তেমন । একটু বাউলি দিলে পুরো বাইকের ব্যালেন্স ন্ষ্ট হয় না ।
রেটিংঃ ১০ এ ৮
ব্রেক: ব্রেকিং আগের চেয়ে ভাল । বেশি স্পিড এ হঠাত হার্ড ব্রেক করলে সামনের চাকা স্কিড খুব কম করে ।
রেটিংঃ ১০ এ ৭
কর্ণার: কর্ণার এ কনফিডেন্স আগের চেয়ে একটু বেশি পাওয়া যায় ।
রেটিংঃ ১০ এ ৬
কম্পাউন্ড: এ টায়ার এ টায়ার এর কম্পাউন্ড হার্ড । তাই টায়ার একটু ভারী । ব্রেকিং এ এবং বাইক রান করার সময় মাটি আগের স্টক এর চেয়ে একটু বেশি ধরে রাখে । আর এই কম্পাউন্ড এ টায়ার এর আয়ু অনেক বেশি থাকে । ক্ষয় হয় কম । ৩৫০০০ কি.মি পর্যন্ত টিউবলেস অবস্থায় চালানো যাবে ।
রেটিংঃ ১০ এ ৬
লুক: লুক আগের চেয়ে অনেক সুন্দর মনে হয়েছে আমার কাছে ।
রেটিংঃ ১০ এ ৮
এক্সপেরিমেন্ট ২
সামনেঃ 100/80 x 17 (MRF) এবং পেছনে: 130/70 x 17 (MRF)
যা স্টক সাইজ থেকে ২ সাইজ করে বড় এবং যা পালসার এন এস ২০০ তে ব্যবহার করা হয়।
দাম যখন কিনেছি তখন : ৩২০০ , ৪২০০ জায়গা ও সময় অনুসারে দাম ভিন্ন হতে পারে।
মাইলেজ: প্রথম ৭০০ কি মি মাইলেজ পেয়েছি ২৪ কি মি ১ লিটার অকটেন এ । হঠাত কেন জানি মাইলেজ বেরে ৪১ কি মি পার লিটার হয়ে গেল। পরে অনেক ঘেটে দেখলাম যে টায়ার মোটা হইলেও আগের চেয়ে অনেক হালকা । যা অন্যতম কারন মাইলেজ দেওয়ার ।
রেটিং: ১০ এ ৯
স্পীড: গতি তে অনেক পার্থক্য এসেছে । ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত ১-৩ সেকেন্ড এর বেশি সময় লাগে । টপ স্পিড ১১৪ ক্রস করাতে পারলম না তাও সিঙ্গেল এ । হাইস্পিড এ কোন নরাচরা করে না ।
রেটিং: ১০ এ ৬
ব্যালেন্স: আগের স্টক এর চেয়ে অনেক ভাল । পা নামাইতে হয় না তেমন । একটু বাউলি দিলে পুরো বাইকের ব্যালেন্স ন্ষ্ট হয় না । 100/80 x 17 সামনের টায়ারে এর জন্য হ্যান্ডেল বেশ ভারী হয়ে যায় এবং মুভ বেশিক্ষন করলে হাতের কবজি ব্যাথা করে ।
রেটিং: ১০ এ ৮
ব্রেক: ব্রেকিং ৯০ এবং ১২০ এর মতনই। তবে ১.৫ ইঞ্চি এর মতন উচু হইসে বাইক আগের চেয়ে । হার্ড ব্রেক করলে এ কোন স্কিড বা মিস ব্যালেন্স হয় না ।
রেটিং: ১০ এ ৯
কর্ণার: কর্ণার এ কনফিডেন্স সেই লেভেল এর পাওয়া যায়। এমনকি ডাবল স্ট্যান্ড মাটি ছোয় তবুও মনে হয় আর একটু কর্ণার করা যাবে।
রেটিং: ১০ এ ৯
কম্পাউন্ড: এ টায়ার এ টায়ার এর কম্পাউন্ড অনেক সফট। তাই টায়ার একটু হাল্কা। ব্রেকিং এ এবং বাইক রান করার সময় মাটি আগের স্টক এর চেয়ে একটু বেশি ধরে রাখে। আর এই কম্পাউন্ড এ ট্যায়ার এর আয়ু খুব বেশি না। ক্ষয় হয় বেশি। ২৫০০০ কি.মি পর্যন্ত টিউবলেস অবস্থায় চালানো যাবে ।
রেটিং: ১০ এ ৮
লুক: সাইড লুক এবং সামনে দেখে মনে হয় এন এস ২০০। তবে পেছনে দেখতে ১১০ ই মনে হয় কারন রীম এর চেয়ে টায়ার বেশি মোটা। গোল হয়ে আছে তাই ।
রেটিং: ১০ এ ৮
পরিশেষে আমি বলব, যারা নরমাল ইউজার ৫০-৬০ গতি ক্রস করে না তাদের জন্য স্টক ই যথেস্ট ।
90/90 x 17 mrf এবং পেছনে : 120/80 x 17 mrf এই বাইক এর জন্য পার্ফেক্ট মনে হয়েছে সব দিক থেকে আমার কাছে।
100/80 x 17 mrf এবং পেছনে : 130/70 x 17 mrf কর্ণার আর ব্রেকিং এর জন্য বেস্ট ।
আমি ভবিষ্যতে 90/90 x 17 এবং পেছনে : 120/80 x 17 সফ্ট কম্পাউন্ড (Pirelli/Michelin ) টায়ার এ যাব ।
লেখক ও ছবি: Rafsan Xani (এডমিন – Pulsar NS 160 Club Of BD)
- শেল এডভান্স কিনে মালয়েশিয়া মটোজিপি টিকেট জেতার সুযোগ - আগস্ট ১৪, ২০২৩
- Bike Lock Combo: চুরি অসম্ভব? বাইকের ব্যাটারী ১০০% নিরাপদ? - জুলাই ২৪, ২০২৩
- ক্যাশব্যাক ও EMI অফারে বাইক কেনার সুযোগ দিছে টিভিএস সেলস পয়েন্ট - জুলাই ১৯, ২০২৩
You must be logged in to post a comment.