Tourino Blade 140/60-17 টায়ার রিভিউ লিখেছেন প্রান্ত হোসাইন

বাংলাদেশে উৎপাদিত মোটরসাইকেল টায়ার খুব একটা চোখে পড়ে না। ইন্ডিয়ান, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের টায়ার দিয়ে সয়লাভ দেশের বাজার। কিন্তু এরই মধ্যে একটি আশার নাম হয়ে উঠেছে টুরিনো টায়ার। টুরিনো প্রথম কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল টায়ার উৎপাদন করে আসছে। তাই আমরা ট্যুরিনোকে – ‘দ্য টায়ার মেড ইন বাংলাদেশ’ বলতে পারি। তাদের টায়ারগুলো ১০০% বুটাল রাবার দিয়ে তৈরী করা হয় তাই এর সাথে সহজেই অনেক আন্তর্জাতিক মানের টায়ারের তুলোনা করাই যায়। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব টুরিনো ব্লেড ১৪০/৬০-১৭ সেকশনের টায়ার ইউজার এক্সপেরিয়েন্স।

আমার বাইক প্রায় ১৯,৭৮০কি.মি চলছে এবং এই দীর্ঘ সময়ে কোন রেয়ার টায়ার পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়নি। তবে কয়েক দিন থেকে লক্ষ্য করছি আমার বাইকের রেয়ার টায়ার প্রায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই কম প্রাইজ এর মধ্যে ভালো মানের টায়ার বাজারে খুজতে শুরু করলাম। একজন দোকানদার ভাই বললেন ভাই যদি ভাল মানের এবং কম প্রাইজ এর মধ্যে যদি টায়ার নিতে চান তাহলে আপনি Tourino 140/60-17 Blade এটা নিয়ে দেখতে পারেন।  আশা করি ভালো ফিডব্যাক পাবেন।

Tourino Blade 170/60-17

যেই কথা সেই কাজ। সাথে সাথে টায়ারটি নিয়ে নিলাম। টায়ারটি নেয়ার পরই বাইকের রেয়ার হুইলে লাগিয়ে নিলাম। ঢাকার ভিতরে প্রায় ৮০০কি.মি চালানোর পরে চিন্তা করলাম একটা লং ট্যুর দেয়া যাক। কেননা লং ট্যুরের সময় বিভিন্ন রোড কন্ডিশনে বাইক রাইড করতে হয় এবং এ সময় টায়ারের কার্যকারিতা ভালভাবে বোঝা যায়। চলে গেলাম ঢাকা-শ্রীমঙ্গল-ঢাকা প্রায় ৪৫০ কি.মি। এই দীর্ঘ সময়ে রাইড করে ভালো একটা ফিডব্যাক পেয়েছি। কোন রকম স্কীড করেনি। কন্টোল অনেক ভালো ছিলো। টিউবলেস হওয়ায় যা আরো বেশি স্মুথ ছিলো। পিলিয়ন নিয়েও আমি বেশ ভালো গ্রিপ পেয়েছি।

আশা করি Tourino Blade 140/60-17 এই টায়ারটি বাজারে ভালো সারা ফেলবে। আর বাংলাদেশের পণ্য দেখে কেউ ঘাবরিয়ে জায়েন না। আমাদের দেশ এর পণ্য হিসেবে অনেক ভালো মানের করেছে। সব কিছু আমার ব্যক্তিগত মতামত। যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা ট্রাই করে দেখতে পারেন। আশা করি হতাশ হবেন না।

ধন্যবাদ ❤️