হায়ার সিসি বাইক গুলোর মত, ১৫০ সিসি সেগমেন্ট এর বাইক গুলোতেও এখন অনেক উন্নত প্রযুক্তি ও সেফটি ফিচার যুক্ত হচ্ছে। যা আমাদের রাইডিং কে করে তুলছে আরো আরামদায়ক এবং নিরাপদ।
১৫০ সিসি সেগমেন্ট এ, বিগত কয়েক বছরে যে সেফটি ফিচার গুলো এড করা হয়েছে সেসব নিয়ে লিখতে গেলে “গেম ওফ থ্রন” এর মত সিরিজ হয়ে যাবে। তাই ওই দিকে না এগিয়ে আজকের মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছি।
আমি আজকে আলোচনা করবো “ট্র্যাকশন কন্ট্রোল” ফিচারটি নিয়ে। যা R15 V4 বাইকটির একটি অন্যতম ফিচার হিসেবে আমরা লক্ষ্য করছি।
আসুন জেনে নেই:
১) ট্যাকশন কন্ট্রল জিনিস টা কি?
২) এটি কিভাবে কাজ করে?
৩) এবং এর উপকারিতা কি?
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
১) ট্র্যাকশন কনট্রোল কি?
ট্র্যাকশন শব্দটি এসেছে “ফ্রিকশন” শব্টি থেকে। যার অর্থ “সংঘর্ষ বা ঘর্ষণ”। অটোমোবাইলের ভাষায় রাস্তার সাথে গাড়ির চাকার যে ফ্রিকশন বা ঘর্ষণ হয় সেটাকেই ট্র্যাকশন বলে। ট্র্যাকশন কন্ট্রোল বলতে রাস্তার সাথে গাড়ির চাকার ঘর্ষণকে নিয়ন্ত্রণ করাকে বুঝায়। এটি মূলত দুই প্রকারের হয়ে থাকে:
• রিয়াক্টিভ: এই ধরনের ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম শুধুমাত্র এটি অন থাকলেই রিয়েক্ট করে।
• প্রেডিকটিভ: এই ধরনের ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম প্রায় সব সময় প্রেডিক্ট করতে থাকে যে তাকে কখন অন হতে হবে এবং সময়মতো সে নিজেই অন হয়ে যায় ও রিয়েক্ট করে।
২) এটি কিভাবে কাজ করে?
সামনের ও পিছনের হুইল স্পীড সেন্সরের মাধ্যমে ইসিউ ডেটা সংগ্রহ করে এবং যখনই অনাকাঙ্খিতভাবে সামনে থেকে পেছনের হুইলের স্পীড অথবা পিছনের থেকে সামনের হুইলের স্পিড, কোন কারণে বেড়ে অথবা কমে যায় তখন “ট্র্যাকশন কন্ট্রোল” ফিচারটি থাকার কারণে ইসিউ এটিকে ৩টি ওয়েতে কন্ট্রোল করে। যথা:
• ফুয়েল ইঞ্জেক্টর এর মাধ্যমে যে পরিমাণ জ্বালানি ইঞ্জিনে প্রবাহিত হচ্ছিল তা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে ফুয়েল কম হওয়ার কারণে ইঞ্জিন কম পাওয়ার উৎপন্ন করে এবং স্পিড কন্ট্রোল এর মাধ্যমে ট্র্যাকশন কন্ট্রোল করে।
• দ্বিতীয়ত বাইকের ইগ্নিশন টাইমিং কে কন্ট্রোল করে ট্র্যাকশন কন্ট্রোল করে ইসিউ। সহজভাবে বলতে গেলে ইসিউ বাইকের ফুয়েল পুড়ানোর টাইমিংকে কমিয়ে আনে, যার কারণে ইঞ্জিন কম পাওয়ার উৎপন্ন হয়ে ও ইঞ্জিন এর স্পীড কমে যায়। ফলে বাইকের স্পিড কন্ট্রোল হয়ে যায়।
• তৃতীয় এটি ইলেকট্রনিক্স থ্রটল এ কাজ করে। কিছু বাইক আছে যাতে ফিজিক্যাল কোনো কেবল নেই (রাইট বাই ওয়ার টেকনোলজি)। সে সব বাইকে থ্রটল সার্ভো মটর এর মধ্যে দিয়ে কাজ করে। সেই সার্ভো মটর এর মাধ্যমে ইসিউ থ্রটলকে কন্ট্রোল করে বাইকের স্পিড কমিয়ে আনে এবং ট্র্যাকশন কন্ট্রোল করে।
৩) উপকারিতা:
• যখনই বাইকের স্পিড এবং বাইকের চাকার স্পিড এর মধ্যে হঠাৎ তারতম্য ঘটে তখনই ট্র্যাকশন কন্ট্রোল ফিচারটি রাস্তার সাথে গাড়ির চাকার ঘর্ষণকে নিয়ন্ত্রণ করে গাড়িকে স্ট্যাবল রাখে ও অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা থেকে বাঁচায়।
• লীন অ্যাঙ্গেল সেন্সরের মাধ্যমে ইসিউ জেনে যায় কর্নারিং করার সময় বাইকটি কতটুকু লীন হয়ে আছে। সুতরাং ট্রাকশন কন্ট্রোলের মাধ্যমে অতিরিক্ত স্পিড কন্ট্রোল করে একটি চমৎকার কর্নারিং উপহার দেয়।
• এক্সিডেন্টের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
~ লীভ ফ্রী, রাইড সেইফ /.
লিখেছেনঃ অলি আহাদ খান
Latest posts by একজন দেশি-বাইকার (see all)
- শেল এডভান্স কিনে মালয়েশিয়া মটোজিপি টিকেট জেতার সুযোগ - আগস্ট ১৪, ২০২৩
- Bike Lock Combo: চুরি অসম্ভব? বাইকের ব্যাটারী ১০০% নিরাপদ? - জুলাই ২৪, ২০২৩
- ক্যাশব্যাক ও EMI অফারে বাইক কেনার সুযোগ দিছে টিভিএস সেলস পয়েন্ট - জুলাই ১৯, ২০২৩