বাংলাদেশে ১৫০ সিসি সেগমেন্টে আমার মনে হয় অন্যতম পপুলার একটি নাম হচ্ছে YAMAHA FZS V2, সেই শুরু থেকেই দেখে আসছি এই বাইকের প্রতি মানুষের চাহিদা এবং আকর্ষন। যার অন্যতম কারণ এই বাইকের ব্রেকিং, ব্যালেন্স, কম্ফোর্ট এবং এর মাইলেজ। আমি এখন পর্যন্ত আমার এই বাইক প্রায় ২২০০০+ কিঃমিঃ রাইড করেছি আর সেই রাইডের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবো এই রিভিউয়ে।
প্রথমত বাজারে এতো বাইক থাকতে কেন এই বাইক নিলাম? আসলে বাজারে ১৫০ সিসি সিরিজে বাইকের অভাব নেই। কিন্তু এই বাইকের লুক প্রথমে আমার নজর কাড়ে। ওভারল এর লুক আমার কাছে অনেক বেশি ভাল লাগে যার কারণেই মূলত এই বাইম নেয়া। এছাড়া এর ১৪০ সেকশন মোটা টায়ার এর লুক কে আরো এগ্রেসিভ করে দেয়।
শুনেছি FZ কে কম্ফোর্ট কিং বলা হয়, এবং চালানোর পর সেটা ভাল ভাবেই বুঝেছি এর কম্ফোর্ট লেভেল সত্যি দারুন, আমি অনেক লং রাইড করেছি যেহেতু একজন প্যাশনেট বাইকার সেহেতু অনেক ট্যুরে যাওয়ায়া হয় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। এই দীর্ঘ রাইড গুলোতে কখনো খারাপ অভিজ্ঞতা হয় নি, অনেক সময় রাইডে ফলে কখনো ব্যাক পেইন কিংবা অন্য কোনো সমস্যা ফিল করি নি।
যেহেতু এটি FI ইঞ্জিনের বাইক সেহেতু ভাল ফুয়েল হলে আমার মাইলেজ হাইওয়েতে ৪৫ এবং সিটিতে ৪২+ পেয়ে থাকি রেগুলার। তবে ফুয়েলের উপর অনেকটা নির্ভর করে কেননা আমাদের দেশে ফুয়েলের যা অবস্থা তাতে ভাল মাইলেজ পাওয়া দুস্কর। মাইলেজ নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
আমি খুব ঠান্ডা মাথার রাইডার টপ নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই। তবে এখন পর্যন্ত এর টপ স্পিড ১১৯ কিঃমিঃ/ঘন্টায় পেয়েছি। অনেকে বলেন এর টপ কম তবে আমার মনে হয় টপ তুলতে একটু সময় দিতে হয়।
এই বাইকের এক্সিলারেশন একটু অভিযোগ আছে। হাইওয়েতে রাইডের সময় ওভারটেকের সময় এক্সিলারেশন ভাল হলে ভাল সাপোর্ট পাওয়া যায় তবে সেই ক্ষেত্রে এই বাইক কিছুটা পিছিয়ে থাকবে। আমার মনে হয় এর এক্সিলারেশন কিছুটা বেশি হলে আরো ভাল হতো।
আমি পিলিয়ন নিয়ে বেশ কিছু রাইড করেছি ট্যুর করেছি, পিলিয়নের জন্য এই বাইক একদম পারফেক্ট। পিলিয়ন এবং রাইডার দুজনের জন্য অনেক কম্ফোর্ট একটা এক্সপেরিয়েন্স দিয়েছে। সব মিলিয়ে পিলিয়নের জন্য একদম পারফেক্ট একটা বাইক বলা যায়।
যেহেতু প্রতিটা জিনিসের ভাল এবং খারাপ দিক থাকেই সেহেতু এই বাইকেও কিছু খারাপ দিক রয়েছে যেমনঃ এর এক্সিলারেশন কম আরো ভাল হতে পারতো, টপ স্পিড অনেক কম বাইক হিসেবে, পিলিয়ন নিয়ে রাইডে অনেক সময় নিচে লেগে যায় যেটা বিরক্ত লাগে।
আর এই বাইকের অন্যতম ভাল লাগার বিষয়গুলো হচ্ছে, এর কম্ফোর্ট, ব্রেকিং, মাইলেজ, এবং বাইকের কন্ট্রোলিং। হাই স্পিডেও বাইক অনেক স্ট্যাবল থাকে কোনো প্রকার ভাইব্রেশন নেই বললেই চলে।
সব শেষে বলবো এসি আই মটরসের সেলস আফটার সার্ভিস নিয়ে, আমার মনে হয় এখন পর্যন্ত সেলস আফটার সার্ভিসে এসি আই অনেক এগিয়ে থাকবে। পরিশেষে বলবো বাইকের দামের ব্যাপারে তাদের আর একটু নজর দেয়া দরকার, দাম কিছুটা কমানো হলে ইয়ামাহা ইউজার আরো বেড়ে যাবে আশা করি।
এই ছিলো আমার বাইকের পরিপূর্ণ রিভিউ।
লিখেছেন – Shafiqul Islam Sabbir
- Hero Hunk DD ১৭০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ ( লিখেছেন- শান্ত) - এপ্রিল ২, ২০২৪
- Hero Hunk ১০,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ফাহিম হোসেন তপু) - মার্চ ১১, ২০২৪
- Hero Hunk ৪২,০০০ কিঃমিঃ মালিকানা রিভিউ (লিখেছেন- ইফাজ আহমেদ) - মার্চ ১০, ২০২৪