ইয়ামাহা কর্তৃপক্ষের চাপে ইভ্যালির অফার স্থগিত

আজ ৮ মে ২০২০ সকালে দেশের অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ইয়ামাহা বাইকে ক্যাশব্যাক ঘোষণা করে একটি অফার চালায়। যেখানে লেখা থাকে আগামী ১১ ই মে ইয়ামাহা বাইকে ৬০% পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে এবং তা সোশ্যাল মিডিয়াতে সাথে সাথে ছড়িয়ে যায়।

তবে একই দিনে সন্ধ্যায় ইভ্যালি অফিশিয়াল গ্রুপে কোম্পানিটির সিইও মোঃ রাসেল একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে জানান ইয়ামাহার অফারটি স্থগিত করা হয়েছে।

ব্যাপারটি এমন কেন হলো গোপন সূত্রে এ বিষয়ে ইয়ামাহার বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, ইভ্যালি প্রথম থেকেই ইয়ামাহা নিয়ে বেশকিছু অফার চালিয়েছে যার একটিও তাদের সাথে আগে অনুমতি নেয়ার বিষয়টি ইভ্যালি মনে করেনি। তারপরও যেহেতু হঠাৎ করে ইভ্যালি প্রচুর ইয়ামাহার বুকিং নিয়ে নিয়েছিলো এবং মানুষের টাকা তাদের কাছে আটকে ছিল সেই চিন্তা ভাবনা করে আগেরবার ইয়ামাহা বাংলাদেশ বাইকগুলো ডেলিভারি দেয়। কারণ প্রতিদিন ইয়ামাহা বাংলাদেশের কাছে হাজারো কল এবং ম্যাসেজ আসতো ইভ্যালির বাইক তারা কবে ডেলিভারি দিবে। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাইকিং কমিউনিটিতেও এটা দেখতে পাওয়া যায় অনেকের টাকা জমা দেয়ার তিন মাস চার মাস পার হয়ে গেলেও বাইক পাচ্ছেনা এবং মানুষের ধারণা সৃষ্টি হয় ইয়ামাহা বাংলাদেশ ইভ্যালিকে বাইক ডেলিভারি দিচ্ছে না।

কিন্তু জানা যায় আসলে ব্যাপারটা তো পুরোই ভিন্ন। ইভ্যালির সাথে ইয়ামাহা বাংলাদেশের কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। সারা পৃথিবীতেই ইয়ামাহা একটি নামকরা ব্র্যান্ড এবং তাদের মতে ইভ্যালি নিজেদের প্রমোশনের জন্য ইয়ামাহাতে এরকম আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক দিয়ে ডিলারের কাছ থেকে বাইকগুলো মার্কেট প্রাইসে কিনে নিতে চায়। আগে যেহেতু মানুষের অনেক টাকা অলরেডি ইয়ামাহার জন্য ইভ্যালিতে জমা করা হয়ে গিয়েছিল এবং বাইক না পাওয়া নিয়ে অনেক আক্ষেপ বিভিন্ন গ্রুপে দেখতে পাওয়া যায় তাই তখন ব্র্যান্ডের অফিশিয়াল অনুমতি না সংগ্রহ করাতেও মানুষ যাতে এটলিস্ট অফিশিয়াল বাইক গুলো পায় সেজন্য ইয়ামাহা ইভ্যালিকে বাইক গুলো বাজারমূল্যে দেয়। তবে আজ যখন ইয়ামাহা দেখতে পেলো আবারো ব্র্যান্ডের কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে ঈদ উপলক্ষে ইভ্যালি আগামী ১১ ই মে আবার ইয়ামাহা বাইকে ক্যাশব্যাক অফার চালাচ্ছে, তখন ইয়ামাহা বাংলাদেশ ইভ্যালির সাথে যোগাযোগ করে অফারটি স্থগিত করার চাপ প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন বাংলাদেশে এখন খুব খারাপ একটা সিচুয়েশন চলছে। টাকা বুকিং নিয়ে ইভ্যালি ডেলিভারি দিতে দেরি করলে সেই চাপটা ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের উপরেই এসে পরবে।

এছাড়া ইভ্যালির নিজেদের প্রমোশনের জন্য কোন নামিদামি ব্র্যান্ডের অনুমতি না নিয়েই এভাবে অফার চালানো ব্র্যান্ড ল এর বিপরীতে। এতে করে ব্যান্ডের প্রতি কাস্টমারের মনোবল হারায়। ইয়ামাহা দেশের এই দুঃসময়ে এক একজন বাইকার টাকা জমা দিয়ে পরবর্তীতে সারাদিন ডেলিভারি টেনশনে থাকুক সেটি চায়না। তবে শেষেও এটিও বলেন ডেলিভারির বিষয়টি ইভ্যালি প্রকাশ্যে আগে থেকে কাস্টমারদের অফারের মত কনফার্ম করতে পারলে ইয়ামাহা বাংলাদেশ তা বিবেচনা করবে।