ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পুনরায় বাড়তে পারে মোটরসাইকেল দাম

দেশের বাজারে ডলারের দাম বেড়েছে অনেক এবং আমদানীর ক্ষেত্রে এলসি করতে প্রায় ১২৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে ডলার। আর তাই এই পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে হয়তো অনেকটাই সময়ের প্রয়োজন। এমতাবস্থায় প্রায় সব মোটরসাইকেল কোম্পানী তাদের আমদানী এবং বিপনন চালিয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে ডলারের ঘাটতি এবং এলসি জটিলতার কারণে বাড়ছে আমদানীর সময়সীমা। এছাড়াও বেড়েছে ব্যাংকের সুদের পরিমাণ। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারনে সারা বিশ্বে চলছে এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। শীপমেন্ট চার্জ বাড়ার কারণে সব মিলিয়ে আমদানী খরচে বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি।

বেশ কিছু কোম্পানী দেশেই মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করলেও, এই উৎপাদনে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। কেউ দেশে পার্টস এনে এসেম্বল করছে, আবার কেউ ম্যানুফেকচার শুরু করলেও প্রতিটি পার্টস উৎপাদনে  সক্ষম নয়। আবার অন্যদিকে উৎপাদন শুরু করলেও কাঁচামালের জন্য পথ চেয়ে থাকতে হয় জাপান, চায়না কিংবা ইন্ডিয়ার দিকে। সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশে মোটরসাইকেল আস্তে আস্তে উৎপাদনমুখী হলেও তা পুরোপুরি আমদানী নির্ভর।

শুধু মোটরসাইকেল নয়, বরং এই প্রভাব পড়েছে গাড়ির উপরেও। গাড়ির দামও ইতিমধ্যে বেড়েছে, আগে ১৮ থেকে ২০ লাখের গাড়ি এখন দাম বেড়ে ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকা হয়েছে।

চলতি মাসে বেড়েছে সুজুকির বাইকের দাম। এছাড়াও আরো বেশ কিছু ব্রান্ড তাদের বাইকের দাম বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশী-বাইকারের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারী মাসের ১৫ তারিখের পর বাড়তে পারে জাপানীজ ব্রান্ড ইয়ামাহার বাইকের দামও।

তাই মোটরসাইকেলের দামের উর্ধ্বগতির কথা চিন্তা করলে, যারা মোটরসাইকেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্রুতই কিনে ফেলাটা হয়তো বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

সার্বিক পরিস্থিতির কারণ একদিকে যেমন ভুক্তভোগী ক্রেতারা, তেমনি ব্যবসায়ীক জটিলতায় ভুগছে বেশিরভাগ মোটরসাইকেল কোম্পানী। বিশেষ করে ইন্ডিয়ান মোটরসাইকেল কোম্পানীগুলোর টোটাল সেল কমেছে অনেকটাই।

মন্তব্য করুন