দেশের বাজারে ডলারের দাম বেড়েছে অনেক এবং আমদানীর ক্ষেত্রে এলসি করতে প্রায় ১০৮ টাকায় কিনতে হচ্ছে ডলার। আর তাই এই পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে হয়তো অনেকটাই সময়ের প্রয়োজন। এমতাবস্থায় প্রায় সব মোটরসাইকেল কোম্পানী তাদের আমদানী এবং বিপনন চালিয়ে যাচ্ছে।
সুতরাং, স্টক শেষ হওয়া এবং ডলার রেটের স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত মোটরসাইকেলের হয়তো আগামী বাজেট পর্যন্ত কমার তেমন কোন সুযোগ নেই। অন্য দিকে মোটরসাইকেল মার্কেটে কিছুটা মন্দা থাকার কারণে কোম্পানীগুলো কিছু হিমসিম খাচ্ছে। আর তাই বরং দাম কমা নয়, বাড়ার সুযোগ রয়েছে বলেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
বেশ কিছু কোম্পানী দেশেই মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করলেও, এই উৎপাদনে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। কেউ দেশে পার্টস এনে এসেম্বল করছে, কেউ সিবিইউ বাইক আনছে আবার কেউ ম্যানুফেকচার শুরু করলেও প্রতিটি পার্টস উৎপাদনে সক্ষম নয়। আবার অন্যদিকে উৎপাদন শুরু করলেও কাঁচামালের জন্য পথ চেয়ে থাকতে হয় জাপান, চায়না কিংবা ইন্ডিয়ার দিকে। সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশে মোটরসাইকেল আস্তে আস্তে উৎপাদনমুখী হলেও তা পুরোপুরি আমদানী নির্ভর।
অন্যদিকে মোটরসাইকেলের উপর আরোপ করা খসড়া নীতিমালাও প্রভাব ফেলেছে মোটরসাইকেল বিক্রির উপর। ঢাকা সিটিতে ৩০ কিঃমিঃ প্রতি ঘন্টা বেগে মোটরসাইকেল চালানো, হাইওয়েতে পিলিয়ন ছাড়া বাইক চালানো, ১২৬ সিসি’র নিচের বাইক নিয়ে হাইওয়েতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, ঈদ এবং পূজার আগে-পরে ১০ দিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি নানা কারণে এটি বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলেছে সাধারণ ক্রেতা এবং মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে। এখানেই শেষ নয়, ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি এবং পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল বন্ধ অনির্দিষ্ট কালের জন্য যেগুলোর প্রভাবও ফেলেছে এই ইন্ডাস্ট্রিতে।
বাজাজ, টিভিএস, হিরো, রানার, ইয়ামাহা, সুজুকি, হোন্ডা সহ প্রায় সকল কোম্পানী মোটরসাইকেলের দাম বাড়িয়েছে এক দফা। পরিস্থিতি অনুকূলে না আসলে ফের এক দফা দাম বাড়বে এমনটা ধারণা করা হচ্ছে। ঈদের আগে কিংবা ঈদের পরে এই দাম বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
- টানা ১৮ বছর লুব্রিকেন্ট মার্কেটের শীর্ষে Shell - ডিসেম্বর ১, ২০২৪
- শেল এডভান্স কিনে মালয়েশিয়া মটোজিপি টিকেট জেতার সুযোগ - আগস্ট ১৪, ২০২৩
- Bike Lock Combo: চুরি অসম্ভব? বাইকের ব্যাটারী ১০০% নিরাপদ? - জুলাই ২৪, ২০২৩