Mobil বনাম Shell বনাম Motul (কোনটি সেরা?)

মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন অয়েল হিসেবে বাংলাদেশে জনপ্রিয় ব্রান্ডগুলোর মধ্যে Shell Advance, Motul এবং Mobil অন্যতম। এই ব্রান্ডগুলো মানুষের মাঝে ওয়ার্ড অফ মাউথ হিসেবে কাজ করে। প্রতিটি ব্রান্ডের যেমন কিছু বিশেষত্ব রয়েছে, তেমনি এক্সপার্ট মোটরসাইকেলিস্টদের চোখে ব্রান্ডগুলোর কিছু নেগেটিভ সাইড উঠে এসেছে।
বাইকের রিকমেন্ডেড গ্রেড ওয়েল হিসেবে একেকজন মোটরসাইকেল চালক একেক ক্যাটাগরির কিংবা একেক ব্রান্ডের অয়েল প্রিফার করে, তবে আজ কিছু অভিজ্ঞতা এবং তথ্য উপাত্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব যা আপনাদের সেরা ইঞ্জিন অয়েল বাছাইয়ের ব্যাপারে গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে।
Mobilঃ গাড়ি, মোটরসাইকেল এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর মিলে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মার্কেট শেয়ার বর্তমানে মবিল এর দখলে। তবে মোটরসাইকেল ইন্ডাস্ট্রিতে তারা মার্কেট লিডার নয়, এমনটাই দাবী অনেকের। দেশের আনাচা কানাচে মবিল পাওয়া যায় বলে, বিশেষ করে মবিলের মিনারেল লাইন আপ Mobil Super 4T বেশ জনপ্রিয়।
তবে গ্লোবাল র্যাঙ্কিং এ মবিলের অবস্থান কিছুটা নড়বড়ে। branddirectory এর তথ্য অনুযায়ী মবিলের গ্লোবাল র্যাঙ্কিং ১০। বাংলাদেশে মবিল কিছুটা পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে নকল লুব্রিকেন্ট। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে অরিজিনাল মবিল অয়েল বুঝতে পারা অনেকটাই দুস্কর। আর তাই অনেকেই মবিল ইউজ করতে অনেকটা ভয় পায়।
Motulঃ মতুল একটি জার্মান লুব্রিকেন্ট ব্রান্ড। বাংলাদেশে কোন ধরনের মার্কেটিং ছাড়াই মোটরসাইকেলিস্টদের আস্তার ব্রান্ড হয়ে উঠেছিল মতুল। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং বাইকারদের মাঝে মতুলের গ্রহণযোগ্যতার কারণে মোটরসাইকেল সেগমেন্ট মতুল বাংলাদেশে বেশ ভাল করতে শুরু করে। স্পোর্টস বাইক এবং মতুল সিন্থেটিক অয়েলের চাহিদাই মার্কেটে সব সময় বেশি ছিল।
তবে বাংলাদেশে মতুল ডিস্ট্রিবিউটরশীপ এই ব্রান্ডটিএ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বর্তমানে অন্ততঃ ৩টি কোম্পানী বাংলাদেশে মতুল আমদানী করে। এছাড়া ইন্ডিয়া থেকে প্রতিনিয়ত মতুল বাংলাদেশে ঢুকছে। তাই কোন দেশ থেকে আসছে? কোন ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে আসছে ইত্যাদির ব্যাপারে নজরদারী করা একজন ভোক্তার ব্যাপারে বেশ কঠিন। অন্যদিকে ইদানিং মতুলের ভেজাল পণ্যেও মার্কেট ছয়লাভ হয়েছে।
Shell Advanceঃ শেল একটি ব্রিটিশ-ডাচ জয়েন ভেঞ্চার কোম্পানী এবং বিগত ১৫ বছর ধরে গ্লোবাল নাম্বার ওয়ান লুব্রিকেন্ট শেল। বাংলাদেশে শেল এর অবস্থান ৩য় এবং খুব দ্রুতই তারা উপরে উঠে আসছে। বিশেষ করে শেলের পিওর প্লাস টেকনোলজি এবং স্মুথনেসের কারণে শেল বাইকাররা প্রিফার করে। এবং এখন পর্যন্ত শেলের নকল পণ্য বাজারে দেখা যায় না।
এতো জনপ্রিয় হওয়ায় পরেও শেল বাংলাদেশের আনাচে কানাচে সব জায়গায় পাওয়া যায় না। মিনারেল এবং সিন্থেটিক প্রডাক্ট থাকলেও, তাদের লাইনআপে কোন সেমি-সিন্থেটিক প্রডাক্ট নেই।
আপনার পছন্দ কোনটি? তা কমেন্টে জানান।
আর যে কোন ব্রান্ডের অরিজিলান লুব্রিকেন্ট পেতে অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন vovopip.com এ। ভোভোপিপ ডট কম শুধুমাত্র অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে প্রোডাক্ট সংগ্রহ করে তাদের কাস্টমারদের ডেলিভারী করে। তাই নকল পণ্য থেকে বাঁচতে ভোভোপিপ একটি রেলায়েবল অপশন।
বিঃদ্রঃ উপরে দেয়া তথ্যগুলো বিভিন্ন অনলাইন নিউজপেপার, ডিরেক্টরি, ফোরাম এবং দেশী-বাইকার টিমের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।

মন্তব্য করুন