৮০০ পরিবারের পাশে “ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব”

জাপানীজ মোটরসাইকেল ব্রান্ড ইয়ামাহার নাম আমরা সবাই জানি। বাংলাদেশে ইয়ামাহার অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর এসিআই মোটরস লিমিটেড, যারা কিনা ব্যবসার পাশাপাশি বাইকারদের সাথে নিয়ে নানা ধরনের একটিভিটি করে আসছে বেশ কয়েক বছর থেকে। “ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব বাংলাদেশ” মূলত তাদের সহযোগিতায় বেড়ে ওটা ইয়ামাহা রাইডারদের নিয়ে পরিচালিত একটি ক্লাব। গত বছর থেকে নানা রকম ইভেন্ট এবং সামাজিক উদ্দ্যোগে অংশগ্রহণ করে আসছে তারা।

বর্তমানে বাংলাদেশে তথা সারা বিশ্ব কোভিড১৯ ভাইরাসে জর্জরিত। এখন পর্যন্ত সাড়া বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। এবং প্রতিদিন এই সংখ্যা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে চক্রবৃদ্ধি হারে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৫ জন। তবে বাংলাদেশ করোনার যথেষ্ট হুমকীতে আছে বলে জানিয়েছে “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা”।

করোনার এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতিতে। সারা দেশ প্রায় ৩ সপ্তাহের জন্য লক ডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এমতাবস্থায় এই মূহুর্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দিনমজুর এবং দিন আনে দিন খায় এমন মানুষেরা।

দেশের এমন পরিস্থিতিতে এর আগেও নিজেদের অবস্থান থেকে কিছু করার চেষ্টা করেছে “YRC” নামে পরিচিত এই ক্লাবটি। গতকাল ২৯ শে মার্চ ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে “ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব” -এর তত্ত্বাবধায়নে প্রায় ৮০০ দূস্থ্য, অসহায় পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি প্রদান করে তারা।

তবে ঠিক এই সময় উদ্দ্যোগটির পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এসিআই মোটরস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক জনাম সুব্রত রঞ্জন দাশ। বাইকারদের জন্য এবং বাইকারদের নিয়ে নানা ধরনের কার্যক্রমে ইতোঃপূর্বেও আমরা তাকে গুরুদায়িত্ব পালন করতে দেখেছি। এবার তার মেয়ে জন্মদিনকে কেন্দ্র করেই এমন প্ল্যান মাথায় এসেছে বলে তিনি সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন।

তো এই পরিকল্পনা এবং কার্যক্রম তার মুখ থেকে শোনা যাক (জনাব সুব্রত রঞ্জন দাশ এর ফেসবুক পেজ থেকে সংগ্রহীত) –

“আমাদের প্ল্যান ছিলো নিধির এবারের জন্মদিনে দেশের এই দুঃসময়ে নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি চিন্তা করে সকলের কাছে পৌঁছানো অতটা সহজ ছিলো না। এই কঠিন সময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বাইকার পরিবার, ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব, ইয়ামাহার ডিলাররা এবং এসিআই মটরস লিমিটেডের ইয়ামাহা টিম।

তাদের সকলের মিলিত সহায়তায় এবং নিরলস পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এই দুঃসহ সময়েও আমরা দেশের প্রায় ৮০০টি পরিবারের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সফল হয়েছি। অনেকের কাছেই এটা শোঅফ বা লোক দেখানো মনে হতে পারে কিন্তু আমাদের কাছে এটা হিউম্যানিটি চ্যালেঞ্জ। আমাদের দেখে যদি একজনও অনুপ্রানিত হয়ে থাকে সেটাই বড় পাওয়া। আমাদের দেখে ইতিমধ্যে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছে, আমার বন্ধু এবং ভাই লুৎফর রহমান নিউইয়র্ক থেকে আমাদের এই উদ্যোগে আমাদের পাশে অবদান রেখেছেন। এই ভিডিওটা করার পেছনে একটা কারন আছে, নিধির জন্মদিনের সেরা স্মৃতি হিসেবে নিজের কাছে রেখে দেয়া।

যারা আজকে সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে এই উদ্যোগ সফল করতে আমাদের সাথে ছিলো তাদের সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ এবং সবাই দোয়া করবেন আমরা যেন অতি শীঘ্রই এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে পারি।”

বাংলাদেশের সামনে কেমন দিন অপেক্ষা করছে তা আমরা কেউ জানি না। সুতরাং আসুন, আমরা যে যার জায়গা থেকে মানুষের পাশে দাঁড়াই।