“ইয়ামাহা ওয়াই কানেক্ট” এবং কিছু সতর্কতা!

গত ১৮ই জুন ভারতে অফিসিয়ালি লঞ্চ হয় ১৫০সিসি’র ক্রসঅভার মোটরসাইকেল Yamaha FZ-X. যেটিতে দেয়া হয়েছে মর্ডাণ টাচ, রেট্রো ডিজাইন এবং ক্লাসিক লুক। Yamaha XSR এর মত একটা ওল্ড স্কুল ফীল রয়েছে এটিতে। আর তাই এর প্রতি আগ্রহের কমতি নেই বাংলাদেশী মোটরসাইকেলিস্টদের। অপেক্ষায় আছে অনেকে, কবে এটি অফিসিয়ালি আনা হবে আমাদের দেশে। জাপানীজ ব্রান্ডগুলো মূলত তাদের রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন, আর তাই কোন মডেল লঞ্চ হলে সেটা পার্শ্ববর্তী দেশে তারা রপ্তানী শুরু করে ৬ – ১২ মাস পর। সুতরাং, বাংলাদেশে এই বাইকটি অফিসিয়ালি লঞ্চ হতে আরো কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।

শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে এই মডেলটি অফিসিয়ালি আনবে এসিআই মোটরস লিমিটেড, যারা কিনা বাংলাদেশে গ্লোবাল ইয়ামাহার একমাত্র অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর। কিন্তু ইতোঃমধ্যে কিছু গ্রে ইম্পোর্টার এই বাইকটি বাংলাদেশে বিক্রি শুরু করেছে। ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি, সেলস আফটার সার্ভিস এবং Y-Connect ফিচারের সুবিধা না দিয়েই বাজারে ছেড়েছে এই বাইকটি। এই বাইকটি কিনে যদি Y-Connect এপ ব্যবহার করতে না পারেন, তাহলে আপনি বড় কিছু মিস করতে যাচ্ছেন।

অনেকে জানতে চাইবে, এই Y-Connect কি?

Y-Connect হচ্ছে মূলত একটি মোবাইল এপ যেটি Yamaha FZ-X এর সাথে ব্লু-টুথে কানেক্ট করে নানা ফিচার উপভোগ করা যায়।

Y-Connect এর ফিচারসমূহঃ

  • মিস কল এবং ইনকামিং এলার্ট
  • এসএমএস এবং ই-মেইল
  • এপ কানেক্টিভিটি
  • ফোন ব্যাটারী লেভেল
  • ফুয়েল কনজামশন
  • মেইনটেনেন্স রিকমেন্ডেশন
  • লাস্ট পার্কিং পজিশন
  • ম্যালফাংশন
  • রেভস ড্যাশবোর্ড
  • গ্রুপ রাইডিং র‍্যাঙ্ক

এই ফিচারগুলো যেমন আকর্ষনীয়, তেমন একজন রাইডারের জন্য বেশ সহায়ক।

Y-Connect এপ কিংবা এই টেকনোলজি এভেইলেবেল করার জন্য আমদানীকারককে অবশ্যই গভার্নমেন্ট অথরাইজড সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়বে। সুতরাং, শুধুমাত্র এসিআই মোটরস লিমিটেড যদি অফিসিয়ালি বাংলাদেশে এই বাইকটি নিয়ে আসে, তবেই গ্রাহকরা এই এপটির সুবিধা ভোগ করতে পারবে। তাই আনঅথরাইজ শপ থেকে FZ-X কেনার আগে ভাবুন বারংবার। মোটরসাইকেলটি কেনার সিদ্ধান্ত নিন ঠান্ডা মাথায়। তবে এটি অফিসিয়ালি আসার পড়ে কেনাই উত্তম।

Yamaha FZ-X এ ব্যবহার হয়েছে FZs V3 এর একই ইঞ্জিন। এটি দেখতে ক্লাসিক, মডার্ণ এবং কম্ফোর্টেবল। এর লুক, বাইক ফাংশনাল এলইডি হেডল্যাম্প এবং ডুয়াল পারপাস টায়ার আপনাকে এর প্রতি এট্রাক্ট করবে। প্রথম দর্শনে এটি কোন ক্যাটেগরির বাইক সেটা নির্ধারণ করতে আপনার বেশ খানিকটা সময় লাগবে। এটি দেখতে একই সাথে ক্যাফে রেসার এবং ক্রুজারের মত। আমাদের মনে হয়, ইয়ামাহা ঠিক এমন একটি প্রডাক্ট বানাতে চেয়েছিল যার কোন প্রতিযোগী বাজারে থাকবে না এবং ঠিক এই কারনে এটা মার্কেটে অনেক পরিমাণ বিক্রি হবে বলে আশা করা যায়।

Related Posts

error: Content is protected !!