Yamaha Saluto 125 এর ইউজার রিভিউ লিখেছেন আশিক মাহমুদ

প্রতিদিনের ছুটে চলা, কম্ফোর্টেবল সিটিং পজিশন, ভালো মাইলেজ, সিটি রাইডের জন্য আরামদায়ক, সাথে এক্সিলারেশনটাও একটু ভালো এমন একটি বাইক আমরা অনেকেই খুঁজি। চলুন তাহলে আর দেড়ী না করে শুরু করা যাক। আজকের গল্পটা ইয়ামাহা সেলুটোকে নিয়ে (১২৫সি সি)।

প্রতিদিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে আমি বাইকটি ব্যবহার করছি, যদিও একটা সপ্তাহ খুব কম সময় একটি বাইকের ভালো মন্দ দিক বোঝার জন্য, তারপরও যেটুকু বুঝলাম সেটা আপনাদের সামনে তুলে ধরা যাক।

আমি আবার যেকোন জিনিসের ভাল দিকটাই সবার প্রথমে দেখি, তাই প্রথমে বাইকটির ভাল দিকগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছি,

ভাল দিকঃ

১। বাইকটির সিট বেশ লম্বা এবং প্রসস্থ, যার ফলে রাইডার এবং পিলিয়ন উভয়েই বাইকটিতে বসে বেশ সাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।

২। বাইকটি নতুন অবস্থায় বেশ স্মুথ, এক কথায় বলতে গেলে খুব কম্ফোর্টেবল।

৩। ১২৫ সিসির বাইক হলেও বাইকটির রেডিপিকাপ বেশ ভালো, যা আপনাকে একটি বেশি সিসির বাইক রাইডের অনুভূতি দিবে।

৪। ইয়ামাহা মানেই ব্রেকিং এ থাকবে অন্য রকম একটা আত্নবিশ্বাস,এই বাইকটিতেও তার ব্যতীক্রম নয়, ১২৫ সিসির বাইক অনুপাতে এর ব্রেকিং বেশ ভালো।

৫। ইঞ্জিন সাউন্ড নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই,তবে সাউন্ড আমার কাছে খারাপ লাগে না।

৬। যদিও বাইকে দুইজনের বেশি বসা উচিত নয়,তারপরও আমরা অনেকেই এমন একটা বাইক খুজি যে বাইকে ফ্যামিলি নিয়ে সহজে চলাচল করা যায়,তাদের জন্য ইয়ামাহা সেলুটো ভালোই হবে।

৭। হর্ণের আওয়াজটাও বেশ জোড়ালো।

প্রাথমিক দিকের সমস্যাগুলোঃ

১। নতুন অবস্থায় বাইকের পেছনের সাসপেন্সন খারাপ রাস্তায় তেমন একটা ফিডব্যাক দেয় না, কিন্তু হতাশ হওয়ার কিছুই নেই,বাইকটি ব্যবহার করুন, একটি নিদিষ্ট সময় পর বাইকের সাসপেন্সন ভালো সাপোর্ট দিতে শুরু করবে।

২। নতুন অবস্থায় বাইকের মাইলেজ কম পাবেন,তাই হতাশ হবেন না, একটু যত্ন সহকারে নিয়মমেনে ২৫০০-৩০০০ কি.মি রাইড করুন মাইলেজ আগামীতে আশাকরি ভালো পাবেন।

এবার আসি বাইকের খারাপ দিক নিয়ে আলোচনায়ঃ

বাইকটির হেডলাইটের আলো আমার কাছে একদম ভালো লাগে নি, আর সবচেয়ে বড় সমস্যা গতি কমলে আলোটাও কমে যাওয়া, এই সিস্টেমটি ব্যক্তিগতভাবে আমার একদম পছন্দ নয়।

ভালো এবং খারাপ মিশ্রিত একটি দিক এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরবোঃ

বাইকটির সামনের এবং পেছনের চাকা বেশ চিকন, এর ভালো দিক যেমন আছে ঠিক তেমনি খারাপ দিকও আছে, চাকা চিকন হওয়াতে আপনি খুব দ্রুত গতি তুলতে সক্ষম হবেন, আর সাথে ভালো মাইলেজ ও পাবেন, আর খারাপ দিক হচ্ছে চিকন চাকা হওয়াতে অনেক রাইডার আত্নবিশ্বাস জনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

রাইড শেয়ারের জন্য কি বাইকটি নেয়া যাবে?

রাইড শেয়ার এখনকার সময়ে বেশ জনপ্রিয় একটা জিনিস, যদিও কিছু আনড়ী বাইকার এর জন্য এর জনপ্রিয়তা দিন দিন নস্ট পাচ্ছে, তবুও বেকার বসে থাকার চাইতে উপার্জন করা উত্তম, যারা রাইড শেয়ারিং এর জন্য এমন একটি বাইক খুজেন যার মাইলেজ ভালো, অনেক কম্ফোটেবল, রাতা এই বাইকটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

পরিশেষে বলতে চাই, নিয়ন্ত্রিত গতিতে নিরাপদে বাইক রাইড করুন ধন্যবাদ।

 

লিখেছেনঃ আশিক মাহমুদ

Related Posts

error: Content is protected !!