আন-অথরাইজড Yamaha FZs V3 কিনলে কি কি সমস্যায় পড়তে পারেন

গত ফেব্রুয়ারী মাসে Yamaha FZs V3 লঞ্চ হয় ভারতসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে। সাধারণত ভারতে লঞ্চ হওয়ার কয়েক মাস পরে যে কোন বাইক বাংলাদেশে আসে। আর তাই আমরা আশা করছি বাংলাদেশে এটি আগামি মে-জুন মাসে অফিসিয়ালি লঞ্চ করা হবে।

তবে ইতোঃমধ্যে দুই-একটি ইম্পোর্টার বাংলাদেশে কিছু সংখ্যক FZ V3 নিয়ে এসেছে এবং দাম নির্ধারন করেছে ২৯৯,৫০০ টাকা। গত বছর হাই-কোর্টের রায় অনুযায়ী বাংলাদেশে গ্লোবাল ইয়ামাহার অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর এসিআই মোটরস লিমিটেড ছাড়া অন্য কোন ইম্পোর্টার ইয়ামাহার বাইক আমদানী করতে পারবে না। কিন্তু কিছু আমদানীকারক এখনো ভারত কিংবা ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন ডিলারশপ থেকে Yamaha FZs V3 এবং Yamaha R15 V3 নিয়ে আসছে। তুলনামূলক কিছুটা বেশি দামে বাইকগুলো বিক্রি করছে রাজধানীর বিভিন্ন শো-রুমে।

হ্যা। যদিও তারা সরকারকে ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়েই বাইকগুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসছে কিন্তু তারা বাইকের দাম রাখছে কিছুটা বেশি, সেলস আফটার সার্ভিস এবং  স্পেয়ার পার্টসের নিশ্চয়তা দিচ্ছে না। শুধু তাই নয় রেজিস্ট্রেশনেও থাকছে অনিশ্চয়তা। শুধুমাত্র বাইক বিক্রি করেই তাদের দায়বদ্ধতা শেষ এমনটিই দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে হাই-কোর্টের রায়ের কারণে এই বাইকগুলোর নাম্বার করতে ক্রেতারা হচ্ছে ভূক্তভোগী। শুধু ইয়ামাহার বাইক নয় বরং হোন্ডা এবং সুজুকিরও বেশ কিছু মডেলের স্পোর্টস বাইক তারা বিক্রি করে থাকলেও ক্রেতাদের কোন প্রকার ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি কিংবা ফ্রী সার্ভিসিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে না।

নতুন মডেলের কোন বাইক দেশে এলে অনেকের বাড়তি আগ্রহ কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অধিক আগ্রহে চিন্তা ভাবনা না করে এই বাইকগুলো কিনার সিদ্ধাত নেয়া এবং পরবর্তীতে দূর্ভোগ পোহানো মোটেই কাম্য নয়। ইতোঃমধ্যে সোশাল মিডিয়াতে অনেকেই তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এই বাইকগুলো রেজিস্ট্রেশনের জটিলতা নিয়ে।

টাকা খরচ করে যেহেতু একটি পছন্দের বাইক কিনব, সুতরাং আমাদের উচিত সেই সব শো-রুম কিংবা অথরাইজড ডিলার শপ থেকে বাইক কেনা, যারা সেলস আফটার সার্ভিস নিশ্চিত করবে, ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি থাকবে এবং শুধুমাত্র বাইক বিক্রি করেই দায়বদ্ধতা শেষ এমনটি করবে না।

সব সময় হেলমেট পড়ে বাইক চালাবেন।

Related Posts

error: Content is protected !!